চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরসহ সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও আন্যান্য শিক্ষকদের বল প্রয়োগে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব মোসাম্মৎ কাউসার বেগমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, ইব্রাহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস রহমান, শিক্ষক শাজাহান কবির, শিক্ষক ইয়ার হোসেন, শিক্ষক পার্থ পালসহ প্রমুখ। নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ কাউসার বেগম বলেন, সারাদেশে আমাদের শিক্ষক সমাজের উপর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। শিক্ষকদের বল প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এসব বলপ্রয়োগ বন্ধ করে শিক্ষকগণের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমরা শিক্ষক সমাজ কর্মবিরতিতে যাবো।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষক সমাজ। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির ফরহাদ শামীম বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যসস্থা নেওয়ার আশ^াস প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে লামিয়া নামের দেড় বছরের এক শিশু।
আজ ১৮ জুন রবিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লামিয়া কুড়িঘর গ্রামের মধ্য উত্তরপাড়া এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে।
শিশু লামিয়ার দাদি আমেনা বেগম বলেন, দুপুরে লামিয়া বাড়ির উঠানে রাজহাঁসের সঙ্গে খেলা করছিল। এসময় বাড়ির পাশের পাটক্ষেত থেকে একটি শিয়াল উঠানে এসে লামিয়ার মাথায় ও মুখে কামড় দেয়। এসময় শিশুটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়। পরে লামিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তারা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন।
আমেনা বেগম আরো বলেন, এ এলাকায় শিয়ালের উৎপাত বেশি। শিয়ালগুলো বাড়ির হাঁস-মুরগি খেয়ে ফেলে। মানুষসহ কেউ শিয়াল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু বিশেষজ্ঞ তৌকতুল ইসলাম চয়ন বলেন, শিয়ালের কামড়ে একটি শিশু আহত হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিষধর সাপের কামড়ে সোনিয়া (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯টায় নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সোনিয়া ওই এলাকার মজনু খানের মেয়ে। সোনিয়া বিটঘর উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
সোনিয়ার বাবা মজনু মিয়া জানান, তার মেয়ে সোনিয়া রাতে শখের বসে হাতে মেহেদী দিচ্ছিল। এসময় সোফায় বসা অবস্থায় একটি বিষধর সাপ তার বাম পায়ে কামড় দিলে সোনিয়া সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তারা সোনিয়াকে রাত ৯টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোনিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকেরা। সোনিয়ার পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন ছিল। বিষধর সাপের কামড়েই সোনিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
সফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রছুল্লাবাদ বাজারে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সমাবেশে নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী জহিরুল হক জরু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল।
ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী হেলাল, যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল হক পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল হক বেদন, সহ-সভাপতি ও রছুল্লাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি দুলু মিয়া ব্যাপারী, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন নান্টুসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে পরিচিত করান।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সরোদবিশারদ। বাবা সঙ্গীতজ্ঞ সবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ, মা সুন্দরী বেগম। ছোটবেলায় তার বড় ভাই ফকির (তাপস) আফতাব উদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। সুরের সন্ধানে মাত্র ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলে যোগ দিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। ওই সময় তিনি জারি-সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গানের সাথে পরিচিত হন। পরে কলকাতায় গিয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ওরফে নুলো গোপালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বাঁশি, পিকলু, সেতার, ম্যান্ডোলিন, বেঞ্জো ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন সঙ্গীত পরিচালক অমৃত লাল দত্ত ওরফে হাবু দত্তের কাছে। সেই সাথে তিনি লবো সাহেব নামে এক গোয়ানিজ ব্যান্ডমাস্টারের কাছে পাশ্চাত্য রীতিতে এবং বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অমর দাসের কাছে দেশীয় পদ্ধতিতে বেহালা শেখেন। এ ছাড়া হাজারী ওস্তাদের কাছে শেখেন মৃদঙ্গ ও তবলা। ১৯১৮ সালের পর তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। আলাউদ্দিন খাঁ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মদিনা ভবনে মারা যান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যু কোনো দিবসই পালন করা হয় না। অপর দিকে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নামে-বেনামে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমিজমা, বাড়িঘর, নিজ হাতে তৈরি করা মসজিদের জায়গা ও পুকুর। সবমিলিয়ে নিজ জন্মভূমিতেই অবহেলিত উপমহাদেশের সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য বীর আবু আব্বাস ভূঁইয়া তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দ্বিতীয় দফা গণসংযোগ করেছেন।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের একাধিক স্থানে নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বেলা ১১টার দিকে বড়াইল ইউনিয়নের বড়াইল বাজারে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর দুপুরে তিনি গোসাইপুর বাজার পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সভা করেন। সভা শেষ করে তিনি পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বাজারে গণসংযোগ করেন এবং কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছুটি ঘোষণার পরপর ওই প্রতিষ্ঠান চত্বরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি ১৯৪৯ সালে এই বিদ্যালয় উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদচারণার কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে নির্মিত স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় শেষে তিনি বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারে গণসংযোগ করেন। সরকারের উন্নয়ন বার্তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মিছিল ও স্লোগানসহ গণসংযোগে অংশ নেন।
স্থানীয় বড়াইল ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মোল্লা, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক জহির রায়হান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম টনিক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হিরণ, নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম নাঈমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।