অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ও ফ্যাশন আইকন ছিলেন সালমান শাহ। আজ এই স্বপ্নের নায়ককে হারানোর ২৮ বছর। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশের একাধিক তদন্ত শেষে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার ও ভক্তরা এই তদন্ত কখনও গ্রহণ করেননি। বরং তাদের দাবি, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য আজো উদঘাটিত হয়নি।
বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে সালমান শাহ’র ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অমর এই নায়কের। এতে তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন সালমান। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তালিকায় রয়েছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো সিনেমা।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।
সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।
সালমান শাহ চলে গেছেন দুই যুগের বেশি সময় হয়ে গেছে। সে সময় থেকেই তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মধ্যেই, যা এখনো চলমান। এ নায়ককে নিয়ে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পোড়ামন ২’-তে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ একটি গান উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। গানের শিরোনাম ছিল ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’। এ ছাড়া সালমান শাহর সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা তাকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না।
ভক্তদের হৃদয়ে এখনও অমর তাদের ‘স্বপ্নের নায়ক’। তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে দর্শকদের অন্তরে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভেনিস ইন্টারকালচার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও বুদাপেস্ট চলচ্চিত্র উৎসবে গোলাম রাব্বানী পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আনটাং’ অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। নির্মাতা তথ্যটি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। গোলাম রাব্বানীর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মিজানুর রহমান, প্রসুন আজাদ, চন্দনা বিশ্বাস, জয়নাল আবেদীন ও মানিক সাহা প্রমুখ।
মানুষের বাক স্বাধীনতা ও কথা বলার মৌলিক অধিকারের গল্প নিয়ে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে নির্মিত এই চলচ্চিত্র এরই মধ্যে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। হিল চলচ্চিত্র উৎসব, বিইউএফ ফিল্ম ফেস্ট, ইন্ডিপেনডেন্ট চলচ্চিত্র উৎসব, ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির কয়েকটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবিটির মিউজিক ও সাউন্ড করেছেন আকিব শাওন ও বাউলা নাজমুল। ছবির একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রাশেদ সাগর। সানজিদ মাহমুদের প্রোডাকশন ডিজাইনে ছবিটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন রয় সন্দীপ। এর আগে গোলাম রাব্বানী নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ছুরত’। ছবিটি ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের স্পিরিচুয়াল চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল ম্যানশন অ্যাওয়ার্ড পায়। মুক্তির অপেক্ষায় আছে এই নির্মাতার ‘স্টিচ লাইফ’ ও ‘নিশি’ নামে দুইটি ছোট ছবি।
২০২৪ সালেই মুক্তি পেয়েছে গোলাম রাব্বানীর চিত্রনাট্য ও সংলাপে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ময়ূরাক্ষী’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন রাশিদ পলাশ। মুক্তির অপেক্ষায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রঙবাজার’। গোলাম রাব্বানীর চিত্রনাট্য ও সংলাপে এ ছবিটিও নির্মাণ করেছেন রাশিদ পলাশ।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছিল না জয়ের রেকর্ড। একবারের মোকাবিলায় ৮ উইকেটে হার। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যরূপে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বাটলার শিবির। বাংলাদেশ পেয়েছে ৬ উইকেটের দাপুটে এক জয়, দুই ওভার হাতে রেখেই। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের লিড ১-০ ব্যবধানে। জয়তু টাইগার শিবির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে দুই ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ, ১৫৮/৪।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। কুরান, ওকস, আর্চার নিজেদের প্রথম ওভারে মার খাওয়ার পর চতুর্থ ওভারে আসেন স্পিনার আদিল রশিদ। এসেই উইকেট পান তিনি। বোল্ড করে দেন ১৪ বলে ২১ রান করা রনিকে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।
এরপর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে আর্চারের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। শান্ত ও হৃদয়ের বিধ্বংসী জুটি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে চট্টগ্রামে ঝড় তুলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে করে রানের চাকা ঘুরান তিনিই। উডের এক ওভারে টানা চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করেন। ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় পঞ্চাশ এটি তার।
এরপরই অবশ্য বিদায় নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়। মঈন আলির বলে কুরানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করেন হৃদয়।
ফিফটির পর আগাতে পারেননি শান্ত। উডের বলে হয়ে যান বোল্ড। ৩০ বলে আট চারে ৫১ রান করে ফেরেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাকিব-আফিফ। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ২৪ বলে ছয়টি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে দুই চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড ও মঈন আলি।
বাংলাদেশ দল : রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের জালে ঋতাভরী চক্রবর্তী। আভাস মিলছিলো আগেই। দীপাবলিতে বলিউডের সংলাপ লেখক সুমিত অরোরার সাথে প্রেমের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রেমিকের সাথে প্রকাশ্যে এনেছিলেন ছবি। এরপর বড়দিনে টলিপাড়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে আলাপ করিয়ে দেন মনের মানুষকে। নতুন বছরের শুরুটাও করেছেন ভালবাসার মানুষের বাহুডোরে। এবার সেই চর্চিত প্রেমিকের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অভিনেত্রী।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর পরিকল্পনা অভিনেত্রীর।
জানা যায়, বাঙালি ও পাঞ্জাবি রীতি অনুসারে বিয়ে করবেন অভিনেত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ঘরোয়াভাবে। তবে প্রীতিভোজ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সুমিত অরোরা শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’, ‘স্ত্রী’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ান’ ছবির সংলাপ লেখক। এ ছাড়াও সোনাক্ষী সিন্হা অভিনীত ‘দাহাড়’ ও মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজের সংলাপও লিখেছেন তিনি।
২০২৩ সাল থেকে এই লেখকের প্রায় সব ছবিতেই ধারাবাহিকভাবে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। সেখানেই লেখককে কখনও ‘বেবি’ বলে সম্বোধন করেছেন, কখনও লিখেছেন, ‘তুমি আমার হিরো’।
প্রায়শই সুমিতের সাথে আদুরে ছবি ভাগ করে নেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উষ্ণ রসায়নে বার বার মনের মানুষের বাহুলগ্না তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিহাইর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাঠে ২৩ ডিসেম্বর সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৬ টিমের মাসব্যাপী প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আজ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেসার্স মোক্তার ব্রিকস লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার বিল্টার্স লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার ওয়েল মিল এন্ড স্টক হাউস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মোক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,খেলা ধুলার মাধ্যমে যুবকরা বিকশিত হয়।খেলা ধুলার মাধ্যমে যুবকরা মাদকের করাল গ্রাস থেকে বিরত থাকবে আর এই যুবকরাই একদিন দেশের সেরা খেলোয়াড় হিসবে খ্যাতি লাভ করবে।তারা দেশর বিভিন্ন জায়গায় খেলে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।এই ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছি, যাতে উঠতি বয়সের যুবকরা বিপদগামী না হয় বিভিন্ন অপকর্মের দিকে না ঝুকতে পারে।উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে শেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন হান্নান,ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল আলম, নাটাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগীতিক সম্পাদক মোঃ শাহানুর মিয়া,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আবু হানিফ,জেলা তাতী দলের সাধারন সম্পাদক হাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।বাংলা টাইগার একাদশ ও মিজান একাদশ ফাইনাল খেলায় ।বাংলা টাইগার একাদশ জয়ী লাভ করে প্রথম পুরস্কার গ্রহন করেন।উক্ত খেলার আয়োজনে ছিলেন, আজহার, সোহেল, হানিফ, সুমন, সালাউদ্দিন, মিজান, মনির, নজরুল, রাজিব, অনিক, রাকিব হাসান প্রমূখ।
অনলাইন ডেস্ক :
জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পি সোনু নিগম সম্প্রতি পুনেতে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় হঠাৎ মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসুস্থতার খবর তিনি নিজেই জানান।
প্রথমে বিষয়টিতে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও পরে আর গান গাইতে পারছিলেন না যন্ত্রণায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে কনসার্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। যে পিঠের ব্যাথায় একেবারে কাতর, তা তার শেয়ার করা ভিডিওতেই স্পষ্ট। চিকিৎসার জন্য গাড়িতে তোলার সময় ব্যাথায় কেঁদে ফেলেন। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘ব্যাক পেইন’ কতোটা গুরুতর ছিল, সেই যন্ত্রণার মুহূর্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিন আমার কাছে। মনে হচ্ছে যেন মেরুদণ্ডে সুঁচ ফোটানো হচ্ছে।’ তারপরই যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা গেছে তাকে।
বিছানায় বিশ্রাম নিতে নিতে গায়ক বলেন, ‘স্টেজে পারফর্ম করার সময় আমি প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। যাইহোক, আমি কোনোভাবে সামলে উঠতে পেরেছি এবং আমার অনুষ্ঠান সেরেছি। আমি খুশি যে, আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল।’
অসুস্থতার সময় সোনু নিগমকে তার টিমের সদস্যরা সাহায্য করেছেন। নিজের পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। সোনুর এই অবস্থা দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভক্তরা। সুস্থ হওয়ার জন্য করছেন প্রার্থনা।
শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণ করা কর্তব্য বলেই মনে করেন সোনু। তাই ব্যাথা নিয়েও তিনি ভক্তদের জন্য সেরাটা দিতে পেরে খুশি। পুনেতে পারফর্ম করার আগে সোনু আরো একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, শিল্পী মাটিতে শুয়ে রেওয়াজ করছেন। ব্যাথা নিয়েও তার গানের চর্চায় কোনও কমতি নেই। শিল্পীকে ভক্তরাও প্রশংসায় ভরিয়েছেন।