চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার বাস স্ট্যান্ডে বন্যা পরবর্তী পুনবার্সন পরিকল্পনা বিষয়ে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কসবা-আখাউড়া আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কবির আহমেদ ভূইয়া।
দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, বিএনপি নেতা বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, সদস্য সচিব মোঃ আক্তার খান, কসবা উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব শরীফুল হক স্বপন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মহসীন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মাছুম ভূইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন রাজু, বিএনপি নেতা কামাল ভূইয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক জাবেদ আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, স্বেরাচার আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। নির্যাতন করেছে, গুম করেছে। বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমরা কথা বলতে পারিনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেলে পালিয়েছে। ৎৎগত ১৫ বছরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের বহু নেতাকর্মীর ত্যাগের বিনিময়ে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাজারো ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। কবির আহমেদ ভূইয়া নিজেও গুমের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান। কিন্তু মিডিয়ায় দ্রুত তার গুমের খবর ছড়িয়ে পড়ায় তিনি তাকে ছেড়ে গুমকারীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এই আপনারা যে কাজটি করেছে এই কাজটি এই বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এই কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের আয়োজনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সুপ্রিম রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়ত আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষী দিচ্ছে। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মোজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি তারা কখনো সাক্ষী দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতে না। তারা বলেছে আমি এইটুকু করেছি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন আমরা ৫ম সংশোধনী মামলায় বলেছি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিল এই কাজটি ছিল বেআইনী কাজ ছিল। ৫ম সংশোধনী মামলা তখন বিচারপতিরা বলেছেন অবৈধ। এবং বলেছেন ৫ম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ। তারা আরও বলেছেন সায়েম সাহেবের ক্ষমতা দখল ও আহরণ ছিল বেআইনী। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনী ছিল। এই বেআইনী কাজটি তারা জাজম্যান দিয়ে বলেছেন বেআইনী। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে এইটাও ছিল বেআইনী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তারনায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বেআইনী কাজের প্রতিবাদ করেছে ও একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল। তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেই দিনের এ্যাকশন আর আমাদের ৫ম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিমকোর্ট যে কথা বলেছেন। কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি। আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অংকুর কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ৫ম শ্রেণীর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে পৌরশহরের সিরাজালয়ে বিদ্যালয় চত্বর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর হয়ে উঠে বিদ্যালয় চত্বর।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শফিকুল আলম তুরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর এনাম খাদেম, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রাধাকৃষ্ণ নুনিয়া, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হান্নান খাদেম, সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু, রুবেল আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন, রেলওয়ে জেলা স্কাউটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির লিটন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে অংকুর কিন্ডারগার্টেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এজন্য স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকদের ভূয়শী প্রশংসা করেন বক্তারা। বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদেরকে অভিনন্দন জানান। যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকে প্রতি অনুরোধ জানান। হতাশ না হয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করার জন্য অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন। এ স্কুল দায়িত্বশীল ভূমিকা
আলোচনা শেষে প্লে গ্রুপ থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ছাত্রছাত্রীরা।
পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অতিথিকে সম্মাননা স্মারক উপহার দেন প্রতিষ্ঠান প্রধান শফিকুল আলম তুরান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ফারজানা আক্তার, তানিয়া আক্তার, সোনিয়া সুলতানা, আকলিমা আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ.আই সম্রাট খাদেম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে অংকুর কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার তানভীর আহমেদ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে ফারুক আহমেদ ও গনেস চন্দ্র দাস নামে আরো দুজন শিক্ষক হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বছর এসএসসি পরীক্ষায় আখাউড়া উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল খারাপ হয়। এর মধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭২ জন পাস করে। পাসের হার ৫৪.৫৫। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবক সমাবেশ করছে শিক্ষা অফিস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন।
মারধরের শিকার ইংরেজির শিক্ষক তানভীর আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশে পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় শিক্ষকদেরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন কয়েকজন অভিভাবক। এ সময় প্রধান শিক্ষক ছাড়া অন্য শিক্ষকদেরকে সমাবেশে বসার ও কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সমাবেশ শেষে বিদ্যালয়ের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় দেবগ্রাম গ্রামের শেখ সোহেল ও জসিম উদ্দিন দেওয়ানসহ আরো একজন অভিভাবক এসে আমাকে কিল-ঘুষিসহ মারধর করে। এ সময় শিক্ষক ফারুক আহমেদ ও গনেস চন্দ্র দাস আমাকে রক্ষা করতে এলে তারাও হামলার শিকার হন।
তানভীর আহমেদ আরও বলেন, শেখ সোহেল হুমকি দিয়েছেন আমি বিদ্যালয়ে গেলে আমার হাত-পা ভেঙে ফেলবে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, শিক্ষকদেরকে অপমান করার জন্য কিছু লোককে সাজিয়ে সমাবেশে আনা হয়। তানভীর এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় তারা তার ওপর চড়াও হন।
তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কোনো ক্লাস নেন না। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া অনেক ছাত্রছাত্রীকে চূড়ান্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এজন্যই ফলাফল খারাপ হয়েছে। সমাবেশে বিষয়গুলো আমাদেরকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ সোহেল বলেন, আমি ওই শিক্ষককে মারধর করিনি। উল্টো তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। হুমকি দেওয়ার কথা সত্য নয়।
এ বিষয়ে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানাব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। শিক্ষকের ওপর হামলা হয়ে থাকলে ঘটনাটি দুঃখজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল থেকে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ছুটির সময় বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে আজ ৩ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে রপ্তানি হয়। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে এক ভারতীয় যাত্রীর কাছ থেকে দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১৭ বক্স ওষুধ জব্দ করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
১৫ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ওষুধগুলো জব্দ করা হয়।
তবে আনোয়ারা বেগম (৪৬) নামের ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহরের দক্ষিণ রামনগর এলাকায়।
স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ভারতীয় যাত্রী আনোয়ারা বেগম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্নের পর ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় তার ব্যাগ থেকে ১৭ বক্স ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধের দাম কয়েক লাখ টাকা। পরবর্তীতে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শুল্ক কর্তৃপক্ষ ওষুধগুলো জব্দ করে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাদরুল হাসান চৌধুরী জানান, ওষুধগুলো জব্দ করে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।