চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের অপসারণের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি দুই-তিনগুন বেশি নিয়ে অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। ১৪ বছর যাবত উপাধ্যক্ষ নিয়ে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শান্তা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টানদের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। কিন্তু সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিলনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বিপিএমসহ ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ মনিটরিং কার্যক্রম চালান।
এ সময় তারা শহরের আনন্দবাজার, জগৎবাজার, সড়ক বাজার, কোর্ট রোডসহ বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে পন্যের মূল্য নিয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানের ক্রয় মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্য সঠিকতা যাচাই করেন।
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম না বাড়ানো, দোকানে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত না করা এবং সঠিক মূল্যতালিকা টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, যদি কোনো ব্যবসায়ী পণ্য মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বিক্রি করেন, তাহলে সে ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে। বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের বাজারগুলোতেও নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ আলমগীর কবির, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবাকে সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিসেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সোমবার সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ মে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, গনপূর্ত বিভাগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ লুৎফুর রহমান, জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রতন মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাবেল, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, তরীর সভাপতি শামীম আহমেদ প্রমুখ।
ভূমিসেবা উপলক্ষে স্লাইডের মাধ্যমে সেবা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৬টি ভূমি অফিস আছেন। সেখানে জনগন যাতে সহজেই ভূমি সেবা পায়, জনগনকে যাতে কোন ধরনের ভোগান্তি পড়তে না হয়, সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবাকে সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত কাজ করা গেলেও জনগনকে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যত্ন করে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ল্যান্ড সার্ভে কমিশন গঠন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যাতে ২০ দিনের মধ্যে ই-নামজারি করা যায় সেজন্য কাজ চলছে। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সভায় সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, ভূমি অফিসের কর্মচারী, কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি সেবা বুথ উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির মানববন্ধনের নামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ তাদের শান্তি সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
অপর দিকে, সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সামান্য দূরে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সমাবেশের আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির মানববন্ধনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। পরে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে শান্তি সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, বিএনপি মানববন্ধনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে। এই মানববন্ধনে যারা এসেছেন তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
অপর দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। এটা আমাদের পূর্ব নির্ধারিত ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছিলো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশের যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের আগে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকগণ।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন পয়াগ নরসিংসার এ বারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান, বুধল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহেদ আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অনেক পিছিয়ে আছে। বেতন, বিভিন্ন ধরনের ভাতা, ডাক্তারি খরচসহ সবকিছুতে তারা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। তাই বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে জাতীয়করণ করে সকল প্রকার বৈষম্য মুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
’ইন্টারনেটে তথ্য পেলে, জনগণের শান্তি মেলে’ এই শ্লোগান নিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে ।
এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সচেতন নাগরিক কমিটির সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসার আসাদুজ্ঝামান কাউসার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মোস্তফা মুন্না, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুর রহমান, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুন্সী তোফায়েল হোসেন, ডাঃ মাহমুদুল হাসান, ডিষ্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, বীর মু্িক্তযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, টিআইবির এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ, ডাবের সভাপতি এস এম শাহিন প্রমুখ। সভায় টিআইবির এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ ওয়েব পোর্টাল পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।