চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের অপসারণের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি দুই-তিনগুন বেশি নিয়ে অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। ১৪ বছর যাবত উপাধ্যক্ষ নিয়ে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শান্তা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টানদের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। কিন্তু সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিলনা।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। এ সময় নবাগত পুলিশ সুপার বলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। শক্তিশালী গণমাধ্যম আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ভিন্ন পেশার হলেও উভয়ের লক্ষ্য এক এবং অভিন্ন। আমরা একে অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবো। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খান সাদাত, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ক্লাব সদস্য মনজুরুল আলম,নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন,সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এমরানুল ইসলাম, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অফিসার ইনচার্জ মো: সাহেদ উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিজ নিজ অঙ্গনে অবদান রাখায় দেশের নয়জন গুণীকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিপদক দেয়া হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে “গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদ” আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড সার্বিক সহযোগিতা করে।
নয়টি ক্যাটাগরিতে পদক পাওয়া গুনীজনেরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক এ.বি.এম আবদুল্লাহ (চিকিৎসা), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আতিকুল ইসলাম (শিক্ষা), কথা সাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক (সাহিত্য), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস (প্রশাসন), পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ মনিরুজ্জামান (আইন-শৃঙ্খলা) এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আবদুল্লাহ (সাংবাদিকতা), শিল্পী ও সংগীত পরিচালক শুভ্র দেব (সংগীত), জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ (সংস্কৃতি, পুরুষ) ও অভিনেত্রী তারিন জাহান (সংস্কৃতি, নারী)।
পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদকের পাশাপাশি নানা উপহার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গেস্ট অব অনার ছিলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদের উপদেষ্টা ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
বক্তব্য রাখেন গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদের সভাপতি এম. আবদুল বাছেদ, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, ফ্যাক্টর থ্রি সল্যুশনের সিইও সাহেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ৮জন গুনী উপস্থিত থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হকে পারেননি কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক। তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। পরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন ও পদকপ্রাপ্ত নয়জনের জীবন ও কর্মের উপর নয়টি পৃথক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোর সংগীত পরিবেশন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল—মামুন সরকার ও পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
টুর্ণামেন্টে জেলার জেলার নয়টি উপজেলার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১০টি দল অংশ নিবে। স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। খেলার রেফারি আনা হবে ঢাকা থেকে। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় বাছাই উম্মুক্ত হওয়ায় যে কোন ফুটবলার যে কোন দলে খেলতে পারবেন।
উদ্বোধনী খেলায় পৌরসভার একাদশের সাথে নবীনগর উপজেলা একাদশ অংশ নিবে। উদ্বোধনী দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল সোয়া তিনটায় খেলা শুরু হবে। খেলার মোট সময় ৯০ মিনিট। বিরতির জন্য সময় বরাদ্দ ১০ মিনিট। খেলা চলাকালীন সময়ে প্রত্যেক দল ৫জন করে খেলোয়ার পরিবর্তন করতে পারবে। কোনো খেলোয়াড় যদি পর পর দুই বার হলুদ কার্ড পান, তাহলে ওই খেলোয়াড় পরবর্তী খেলায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। খেলা হবে নকআউট পদ্ধতিতে।
তিনি বলেন, খেলায় যে কোনো আপত্তি থাকলে খেলা শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে পাঁচ হাজর টাকা আপত্তি ফিসহ (অফেরতযোগ্য) লিখিতভাবে সরাসরি আপিল কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। আপিল কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবাদ নিষ্পত্তি করবেন। প্রতিটি খেলা শুরুর পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রুপ ছবি তুলে রাখা হবে। যাতে প্রতিটি দলের খেলোয়াড় চিহ্নিত করা যায়। এক দলের খেলোয়াড় যাতে অন্য দলে খেলতে না পারে। টুর্ণামেন্টে ১৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ফাইনাল খেলায় চট্টগ্রামের বিভাগী কমিশনার তোফায়েল ইসলাম এবং পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ—মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূর ই ইসলাম অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ক্রীড়া অফিসারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিএনপির নেতারা যতো সহজে জেল হতে ছাড়া পাচ্ছেন আমরা কিন্তু এমন সুযোগ পাইনি। বছরের পর বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির শাসন আমাদের জন্য যেমন সুখকর ছিলোনা তেমনি সুখকর ছিলোনা। তাই বিএনপি বারবার ডেকেও জনতাকে তাদের দিকে টানতে পারছেনা।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেখানে যেখানে ছিদ্র আছে তা তদন্ত করে ছিদ্র ঢেকে দিতে হবে। যেসব জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে তা দূর করতে হবে। তারজন্য নিয়মিত সম্মেলন, কমিটি গঠন করতে হবে। দলের পরিক্ষীত তরুন নেতাদের পদে আনতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর বারী চৌধুরী মন্টু।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহবুবুল আলম খোকন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা শাহআলম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড লোকসান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন,জেলা তাতী লী সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূহঞা,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মুসলিম মিয়া।