অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন কে, সেটি নির্ধারিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বি কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিতর্কে কমালা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে হ্যারিস বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবার জন্য ট্রাম্পের ‘কোনও পরিকল্পনা নেই’।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯ টায় মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের আয়োজনে কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের সাথে হাত মেলান কমালা। এরপর কমালার তার বক্তব্য শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শুরু হয় বিতর্ক।
নিজের বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কমালা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি নিজের মতো করে আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন।’
তিনি কীভাবে গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করবেন এবং হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবেন জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধই হতো না। কমালা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, আমার বিশ্বাস দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না।’
এসময় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তোলেন কেন হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করেননি কমালা হ্যারিস।
ট্রাস্প বলেন, ‘তিনি এই সব বিস্ময়কর জিনিস করতে যাচ্ছেন। কেন তিনি এটা করেননি? তিনি সেখানে (হোয়াইট হাউসে) সাড়ে তিন বছর ধরে আছেন। সীমান্ত ঠিক করতে তাদের সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে।’
তিনি বাইডেন এবং হ্যারিসকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটান।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সেটি নির্ধারিত হবে আগামী পাঁচ নভেম্বরের নির্বাচনে। প্রাথমিকভাবে এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। মূলত এরপর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলকান, উভয় শিবিরেই নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে বেশ জোর প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আসলে কী হবে? মার্কিন নাগরিকরা কি প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট বেছে নিবেন, নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবেন?
উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানায় একটি কারখানায় গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।
এ ঘটনায় অচেতন হয়ে পড়েছেন আরো ১১ জন। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। এ ছাড়া চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডেরও একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘিরে রেখেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতি তিওয়ানা বলেছেন, অবশ্যই গ্যাস লিক করে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) সেখানে রয়েছে এবং উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছে এবং ১১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।’
গ্যাসের ধরন ও উৎস সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। এনডিআরএফ বিষয়টি তদন্ত করবে। এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে এলাকাটি দ্রুত খালি করা। কারণ এলাকাটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, লুধিয়ানার গিয়াসপুরা এলাকায় একটি কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক।
সূত্র : এনডিটিভি
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী, খুনী ও অগ্নি সন্ত্রাসীরা কখনই যেন ফিরতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলের হলরুমে আমেরিকায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খুনী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আর কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করুন। এই বিএনপি-জামাত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একে আবারো উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাগুলোকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্যে বিএনপি জামাত জোটের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। বিএনপি-জামাত জোট ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে আমাদেরই বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে মাথা উঁচু করে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলতে হবে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি।
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা অনেক অবদান রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান কারণ, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেম্যিটান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের পরও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নতসহ অনেক দেশ সংকটে পড়লেও বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনও ভালো।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন যেন বাংলাদেশ কোন সংকটে না পড়ে।
দেশের দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কোন চরম দারিদ্র্য থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সারাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বাড়ি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ লাখ লোককে বাড়ি দিয়েছেন এবং তাদের জীবিকা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, কারণ সরকার প্রতিটি গৃহহীন লোককে বিনামূল্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ লক্ষে আরো ৬০ হাজার ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অন্ষ্ঠুান পরিচালনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর সীমান্ত থেকে মনিকা রায় (৫৬) নামে এক ভারতীয় নাগরিক আটক করেছে বিজিবি। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির হাতে আটক ওই নারী বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়ায় তার মেয়ের বাড়িতে চার মাস বেড়ানো শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) নামে এক মানবপাচারকারীকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। ভারতে যাওয়ার সময় উপজেলার হাফপুর নামে সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, মনিকা রায় ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার পারুলিয়া গ্রামের প্রেম লাল রায়ের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, চার মাস আগে ফেনী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলস্টেশনে এসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বাংলাদেশি মানব পাচারকারী দালালের সহযোগিতায় পূর্ব কালাছড়া নামক এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় আধার কার্ড, ভারতীয় ৫৩৫ রূপি, বাংলাদেশি ৬০০ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তাকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, বাংলাদেশি মানব পাচারকারি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রনাইতলা গ্রামের মতিলাল চক্রবর্তীর ছেলে বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) কে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কসবা বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাফপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২-৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচারে সহায়তা করার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। তাকে কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। মঙ্গলবার লুকাশেঙ্কোকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে বেলারুশের সরকারি গণমাধ্যম।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াগনারপ্রধানকে যে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমি দেখছি, প্রিগোজিন এই উড়োজাহাজে রয়েছেন। হ্যাঁ, তিনি আজ বেলারুশে এসেছেন।’
ওয়াগনার বাহিনীর খরচে প্রিগোজিন বেলারুশে থাকবেন বলে জানান লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, ওয়াগনারের যোদ্ধাদের জন্য কোনো ক্যাম্প নির্মাণ করছে না বেলারুশ। তবে তারা যদি চান, তাহলে বেলারুশে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
ওয়াগনারের যোদ্ধাদের জন্য বেলারুশে কোনো নিয়োগকেন্দ্র খোলা হবে না জানিয়ে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘পরিত্যক্ত একটি সামরিক ঘাঁটিতে আমরা ওয়াগনারের যোদ্ধাদের থাকার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের কাছে সবকিছু আছে। আপনারা নিজেদের তাঁবুগুলো খাটিয়ে নিন।’
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বেল্টার খবরে বলা, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে লুকাশেঙ্কো বলেন, তিনি যুদ্ধ থেকে ওয়াগনার গ্রুপের নেওয়া অভিজ্ঞতা শুনতে চাইবেন এবং তাদের কাছ থেকে শিখতে চাইবেন। লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘যদি তাদের কমান্ডার আমাদের কাছে আসেন, আমাদের সহযোগিতা করেন…আমাদের বলেন, আমাদের জন্য এখন কী গুরুত্বপূর্ণ…এটা অমূল্য। ওয়াগনারের কাছ থেকে আমাদের এটাই নেওয়ার আছে।’
ওয়াগনারের উপস্থিতির কারণে তার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো। বেলারুশ কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর সতর্ক নজর রাখবে।
বিদ্রোহ থেকে পিছু হটার দুই দিন পর সোমবার এক অডিও বার্তা দেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তাতে তিনি বলেন, রাশিয়ার সরকারকে উৎখাত করতে তিনি বিদ্রোহ করেননি। তার বিদ্রোহ ছিল রুশ সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। রুশ সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের দাবিতে পরদিন শনিবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি ও ওয়াগনার যোদ্ধারা। পথে বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণে নেন তারা। পরে সেদিন রাতে লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
বিদ্রোহ থেকে সরে আসা নিয়ে প্রিগোজিনের সঙ্গে ক্রেমলিনের একটি সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী, বিদ্রোহের জেরে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়া হবে। ওয়াগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর প্রিগোজিনকে বেলারুশে ‘নির্বাসন’-এ যেতে হবে।
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ওয়াগনার সদস্যরা। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহরে যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তারা। তবে অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতিসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রিগোজিন। সর্বশেষ শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়েছে – এমন অভিযোগের পর বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি।