অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বোর্ডে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিসিবির একজন পরিচালক সুজনের দায়িত্ব ছাড়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
লম্বা সময় ধরে বিসিবিতে একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সুজন। সর্বশেষ তিনি গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিসিবি পরিচালকের পদে থাকার সময়ে জাতীয় দলের সাথেও কাজ করেছেন সুজন। বিভিন্ন সময় টিম ডিরেক্টর, অন্তর্বর্তীকালিন কোচ, টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জের ধরে দেশের নানা অঙ্গনে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। সুজনের আগে বিসিবি পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো প্রভাবশালী পরিচালকরা।
এদিকে, বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন নাজমুল হাসান পাপন। রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান পাপন। তার পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরিফুল ইসলামকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল গণি, সিনিয়র সাংবাদিক সুবীর বসাক, মোস্তফা কামাল, মেয়রপত্নী সুলতানা নাসরিন ঝুমা, কিশোরগঞ্জের ক্রিকেট কোচ আশরাফ উদ্দিন স্বপন, সাবেক ক্রিকেটার শহীদুল হক লাভলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রিকেটার আরিফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকার চেক ও একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনার জবাবে ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম বিশ্বমানের ক্রিকেটার হওয়ার আকাংখা প্রকাশ করে বলেন, আমি বড়দের বিশ্বকাপ জেতাতে চাই। এর জন্য যত পরিশ্রম করতে হয় আমি করবো ইনশাল্লাহ।
পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, নিজ জেলার কৃতী ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। শুধু ক্রিকেটার নয়, যে কোনো ক্ষেত্রে যিনি ভালো অবদান রাখবেন তাদেরকেও আমি অনুপ্রাণিত করবো। এ জেলার ক্রিকেট তথা খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও প্রসারে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম সম্প্রতি শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ ২০২৪ এ বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও ফারজানা পারভীন দম্পতির সন্তান তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার পিতা-মাতাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
স্পোটর্স ডেস্ক :
উগান্ডা এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। জিম্বাবুয়ের মতো দলকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানে। পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয় পেয়েছে দলটি। তবে এবার ফের হেরে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আকিল হোসেনের স্পিনে উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় সি গ্রুপের ম্যাচে আজ ৯ জুন রবিবার ১৩৪ রানে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২ ওভারে উগান্ডাকে ৩৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডা আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৫৮ রান। যা ছিল এই বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। লজ্জার সেই রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলো আফ্রিকা অঞ্চলের দলটি। ৩৯ রানে সব উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে আলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লো উগান্ডা। বিশ্বকাপে এর আগে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের।
২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল ডাচরা। দ্বিতীয় রেকর্ডটিও তাদেরই দখলে। সেবারও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ আসরে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল ডাচরা। আর আজ ডাচদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে উগান্ডা। ডাচদের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য ডাচদের চেয়ে ৯ বল বেশি খেলেছে উগান্ডা। ডাচরা যেখানে ১০.৩ ওভার খেরেছে সেখানে উগান্ডা খেলেছে ১২ ওভার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং এবং জনসন চার্লস দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। উগান্ডাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আলপেস রামজানি। ৪.৩ ওভারে ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। দলীয় ৪১ এবং ব্যাক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন তিনি। চার্লসকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন নিকোলাস পুরান। আজ তার সামনে ছিল টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কিন্তু অল্পের জন্য রেকর্ড গড়া হয়নি তারা। ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। রেকর্ড গড়ার পথে বেশ ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ২২ রানে মাসাবার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফির যান পুরান।
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে দলটি। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার খুব একটা সুযোগ দেননি উগান্ডার বোলাররা। জনসন চার্লস (৪৪), রোভম্যান পাওয়েল (২৩) ও শেরফান রাদারফোর্ড (২২) কাউকেই খোলসের বাইরে বের হতে দেয়নি ব্রায়ান মাসাবার দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয় ঝড় আটকে দেয় তারা। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। শুরুতে ধীরেগতিতে রান করলেও পরে রানের চাকায় গতি আনেন এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাসেলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৬টি চারের মার। উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আলপেশ রামজানি, কসমস কেউয়াটা ও দীনেশ নাকরানি।
উগান্ডার সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭৪। তবে সেই টার্গেটকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরে থাক, উগান্ডার ব্যাটিং লাইনআপ মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি পুরো ম্যাচজুড়ে। উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক স্পিনার আকিল। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুকাসাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আকিল। সেই শুরু, এরপর একে একে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনিই। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল।
৪ ওভার বল করে ১১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল। উগান্ডার ইনিংসের মাত্র একজন ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংক। ২৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে তখন বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। এক জুমা মিয়াগি শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন লজ্জার রেকর্ড এড়াতে। তার ১৩ রানেও অবশ্য লজ্জা এড়াতে পারেনি উগান্ডা। ৩৯ রানে অলআউট হয়ে নেদারল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। ১২ ওভারের মাঝেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে ১৩৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভার ১৭৩/৫
উগান্ডা: ১২ ওভার ৩৯/১০
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে যে কত মানুষ আর্জেন্টিনার ভক্ত তার কেউ বলতে পারবে না। তবে ৪ বছর পর পর যখন ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয় তখন দেখা মিলে। তখন লাখ লাখ ভক্ত আর্জেন্টিনার সাফল্য কামনায় রাত জেগে খেলা দেখেন। আর সে দলের পক্ষে স্লোগান তুলেন। সেই আর্জেন্টিনা দলের মহা তারকা এলেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে দেখা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা আর্জেন্টিনার ভক্ত তা জানে না কেউ। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শিরোপার অপেক্ষা দূর হয়েছিল। অপেক্ষা দূর হয়েছিল মাশরাফির।
নিজের প্রিয় দলকে বিশ্বকাপ জিততে দেখবেন এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নিজেও। সেই স্বপ্ন কাতারে পূরণ করেছেন মেসি, ডি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। মাশরাফির এবং কোটি ফুটবলপ্রেমির স্বপ্ন পূরণের অন্যতম নায়ক মার্টিনেজ এখন বাংলাদেশে।
১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে সোমবার ভোরেই বাংলাদেশে এসেছেন। সকালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মাশরাফি। মেয়ে হুমায়রা ও ছেলে সাহেলকে নিয়ে মাশরাফি সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।
খুব কাছ থেকে তারা দেখেছেন মার্টিনেজকে। ছবি তুলেছেন। সাদা-নীল জার্সিতে পেয়েছেন অটোগ্রাফ। অল্প কিছুক্ষণের জন্য মার্টিনেজকে কাছে পেয়ে মুগ্ধ মাশরাফি। এত আন্তরিকতা দেখাবেন তা ভাবতেও পারেননি তিনি।
মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার পর বিমুগ্ধ হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে লিখেছেন মাশরাফি, ‘এমিকে ভালো লাগার শুরু কোপা আমেরিকা থেকেই, যেখানে সে টাইব্রেকারে দুটি গোল আটকে দিয়ে দলকে জয় এনে দিল। কত বছর পর বড় কোনো শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা! লিওনেল মেসিও পেল দেশের হয়ে প্রথম বড় ট্রফির স্বাদ। স্বাভাবিকভাবেই পাখির চোখে তাকিয়ে ছিলাম বিশ্বকাপের দিকে। কিন্তু সৌদি আরবের সাথে হেরে মনে হয়েছিল, আরেকটি বিশ্বকাপও হয়তো শেষ হবে হতাশায়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো এবং পরে বিশ্বকাপ জয় দেখতে পারাটা ছিল অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের মতো।’
‘সেই জয়ের অন্যতম নায়ক এমির সঙ্গে দেখা হলো আমাদের এই ঢাকায়। খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা, কিন্তু দারুণ এক অনুভূতি। বিশ্বকাপ জয়ী দলের গোলকিপার চোখের সামনে! সে তো জানে না, আমার এবং আমার মতো আরও কত কোটি মানুষের কত বছরের অপেক্ষা শেষ হলো, যেদিন তার ঐ হাত ধরেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করলো!’
‘আজকে সে সাক্ষাতের মাঝেই একবার ট্রাউজার উঠিয়ে দেখাল, পায়ের ঠিক সেই জায়গায় একটি ট্যাটু করিয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ বাঁশির ১৮ সেকেন্ড আগে কোলো মুয়ানির শটটি আটকিয়ে দিয়েছিল যে জায়গা দিয়ে। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হলো, আসলে বিশ্বকাপটাতো ওখানেই জিতে নিয়েছে।’
‘আজকে আসলে বেশি ভালো লাগছে আমার সন্তানদের জন্য। যখন বললাম, ‘এমি আসছে, তোমাদের কি দেখা করার ইচ্ছা আছে?’ ওরা লাফাচ্ছিল। সবশেষ দুটি দিন ওরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিল না এমিকে দেখবে বলে। আজকে এমির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বললাম, ‘বাচ্চারা তোমার অটোগ্রাফ নিতে চায়।’ সে এত আন্তরিকতা দেখাল, এক কথায় অসাধারণ। এমনকি সে ছবিও তুলে দিল ওদের সঙ্গে। এখন তারা মহাখুশি, আর ওদের খুশিতে আমিও এখন মহাখুশি।’
‘এমি, আপনাকে স্বাগত এই বাংলার মাটিতে। এখানে আপনাদের অগণিত ভক্ত আছে, যুগ যুগ ধরে। আশা করি, আপনারও ভালো লাগছে এই মাটিতে পা রেখে।’
‘পাশাপাশি এটাও ভাবি, সত্যি বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ ফুটবলে কোয়ালিফাই করবে আর আমরা আমাদের পতাকা নিয়ে মিছিল করব, ইনশাল্লাহ। অনেকের কাছে এখন এটা অবাস্তব মনে হতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, কাজটা কঠিন, খুব কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। স্বপ্ন পূরণের সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি, ইনশাল্লাহ।’
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলো না উগান্ডা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ব্রায়ান মাসাবার দল। তুলনামূলক শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি দলটি।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার গায়ানায় গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখােমুখি হয় আফগানিস্তান ও উগান্ডা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই দেড়শো পার করে দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান। ১৫৪ রানের মাথায় জাদরানকে বোল্ড করে উগান্ডাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ব্রায়ান মাসাবা। ৪৬ বলে ৯ চার এবং ১ ছক্কায় ৭০ রান করেন ইবরাহিম জাদরান। এরপর দ্রুত ফিরে যান গুরবাজও। ৪৫ বলে ৪টি করে সমান চার-ছক্কায় ৭০ রান করেন গুরবাজ। ডানহাতি এই ওপেনারকে থামান আলপেশ রমজানি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
১৮৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় উগান্ডা। ফজলহক ফারুকীর করা ইনিংসের প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে দুর্দান্ত শট খেলেন রোনাক প্যাটেল। কিন্তু এই ওপেনার পরের বলেই পরাস্ত হন। তিনে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি রোগার মুকাসা। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে উগান্ডা। সেখান থেকে দলকে টেনে নিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। ধুঁকতে থাকা উগান্ডা মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ৪ ওভার বাকি থাকতেই। তাদের হয়ে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবিনসন উবোয়া। দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন রিয়াজাত আলী শাহ। তার ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এটা ফারুকীর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক ও রশিদ খান। একই ভেন্যুতে আফগানদের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ৭ জুন।
অনলাইন ডেস্ক :
সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় ভারত। দু’বছর আগে যাদেরকে ৩-০ গোলে তারা হারিয়েছিল। এবার আবারও তাদের উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আজ (নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার ম্যাচে বাংলাদেশের ড্র প্রয়োজন ছিল সেমিফাইনাল খেলতে। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে সাবিনারা ৩-১ গোলের দাপুটে জয় আদায় করে নিয়েছেন। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। আজ মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য সেই প্রভাব পড়েনি। তিন গোলের দুটি তহুরা খাতুনের, আরেকটি আফিদা খন্দকারের। ভারতের গোলটি করেন অধিনায়ক বালা দেবী। ম্যাচের চারটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
এর আগে শুরুর একাদশে দুই পরিবর্তন করে মারিয়া মান্দা ও মাসুরা পারভীনকে সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ পিটার বাটলার। ১৫ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কর্নার ভারতীয় গোলরক্ষক ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারেননি। বল এসে পড়ে বাংলাদেশের আফিদার কাছে। ভারতীয় ডিফেন্ডাররা ব্লক করার আগেই তিনি শট নেন। ভারতীয় গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে গোললাইন অতিক্রম করে তার শটটি। এরপরই বাংলাদেশ গোল উৎসবে মাতে।
গোলের পর বাংলাদেশ আরও সুন্দর ফুটবল খেলা উপহার দেয়। অল্প সময়েই তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণায়। ২৮ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডারের ভুলে আরেকটি গোল পায় বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি ভারতীয় ডিফেন্ডার। তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড তহুরার গায়ে লেগে সেই বলটি জালে জড়ায়।
৪২ মিনিটে তৃতীয় দফায় ব্যবধান বাড়ায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র বল দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে বক্সের ওপর বল পান তহুরা খাতুন। জোরালো শটে গোল করেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে ভারত এক গোল পরিশোধ করে। ভারতের আক্রমণে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা গ্রিপ করতে পারেননি। গোলরক্ষকের হাত ফসকে যাওয়া বলে হেড দিয়ে জালে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক বালা দেবী।
বিরতির পর ভারত গোলের কয়েকটি সুযোগ পায়। প্রতিবারই বাধা হয়ে দাড়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। রুপ্নার পারফরম্যান্সে ভারত দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি। বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে স্বপ্না রাণী, সানজিদাকে নামান। অবশ্য বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে তেমন গোলের সুযোগ পায়নি। ফলে প্রথমার্ধের একই ব্যবধান নিয়েই দুই দল মাঠ ছাড়ে।