চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি। ফজলে করিম ছাড়াও আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম রাউজানের (চট্টগ্রাম-৬) সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করেছে বিজিবি।
২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ানের একটি সূত্র ফজলে করিম চৌধুরীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল সোয়া ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনজন বিজিবি হেফাজতে আছেন। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। স্থানীয় একটি পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সমঝোতা করে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় বিজিবি তিনজনকে আটক করে। ফজলে করিম ছাড়াও আটক অন্য দুজন হলেন হান্নান ও নাইম।
ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
কিন্তু ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নবম জাতীয় সংসদে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মনোনীত হয়ে তিনি পুনরায় সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র-জনতার অসহযোগ তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগষ্টের নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যকান্ডের বিচার হয়েছে। এই হত্যাকান্ড করে এখনও যে খুনীরা বেঁচে আছে তাদেরকে ধৃত করে বাংলাদেশের মাটিতে এনে আদালতের রায় কার্য করবো।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়ার বাইরে নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর ছায়া এত বিশাল তা বাংলাদেশকে ঢেকে রেখেছে। আমরা কেউ-ই সেই ছায়ার বাইরে নয়। সকলে মিলে আল্লাহর কাছে আমাদের নেতা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চাইব। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া চাইব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শোক দিবস পালন করবো। ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে তাকে সহযোগিতা করব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া উপজেলার ৫ নং দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বেলা ১২ টার দিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে আগামী ২ বছরের জন্য অনুমোদন দেন।
এসময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবদুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ পারভেজ, মোসাদ্দেক ভূইয়া, সজিব ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রাফসান জানি, ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুর রহমান সজীব, আখাউড়া উপজেলা প্রবাসী আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নব গঠিত সংগঠনের আরিফ ভূইয়া বলেন, ৯ জনকে উপদেষ্টা করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতি আমাকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজন মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী’কে করা হয়। এই কমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ জুন মঙ্গলবার থেকে ২ জুলাই রবিবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৬ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।