অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী পারভেজ রেজা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে মামলা করা হয়।
এ মামলায় আদালতে হাজির হন আরিফুল হক চৌধুরী। মামলার অন্যতম আসামি বাবর ঢাকায় কারাগারে বন্দি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে আদালতের বিচারক বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিএনপি সরকারের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে ২০০৭ সালের ২৮ মে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আটক করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর মধ্যে দুইটা মামলা জন্মদিন পালন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করার অভিযোগে করা। বাকি তিনটি মানহানির অভিযোগে করা।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে সিএমএম আদালতের বিচারক মাহবুব আলম ও তোফাজ্জল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
ভুয়া জন্মদিন পালনসহ মানহানির ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। খালাসের রায় ঘোষণার পর মাসুদ আহমেদ তালুকদার নিজেই গণমাধ্যমকে রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, চার বছর আগে মামলার বাদী মৃত্যুবরণ করায় খালাস পেয়েছেন বেগম জিয়া।
এছাড়া সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরো সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। এছাড়া বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানিসহ আরো অনেক মামলা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা হবে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়র জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেথ তরা হয়, আগামী ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আরো বলা হয়, প্রথম পর্বের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১ ঘণ্টার এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বলা হয়েছিল, চলতি মাসের ২৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তা পিছিয়ে আগামী ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢালাও হারে মামলা দিয়ে মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেল্টার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসবের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেন সারজিস।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস এসব অন্যায় অপকর্ম থেকে দলটির নেতাকর্মীদের বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
সেই সাথে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।
সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, ‘মিথ্যা মামলা দেওয়ার পূর্বে ফোন দিয়ে মামলায় আসামি হিসেবে নাম না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় নাম দেওয়ার পর নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যায়-আপকর্মে জড়িত ছিল না তারপরও চাপে রাখার জন্য কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হচ্ছে।’
সারজিস আরো লিখেছেন, ‘অপরদিকে টাকা কিংবা ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য সন্ত্রাসীকে শেল্টার দেওয়া হচ্ছে।’
এসবের পেছনে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি জানিয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু কালপ্রিট নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য এখানে সবচেয়ে বেশি।’
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে ভাগ বাটোয়ারায় জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ এনে সারজিস বলেন, ‘অধিকাংশ পুলিশ এক্ষেত্রে আগের মতই সঙ্গ দিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের চাটুকার মনোভাবের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাগ বাটোয়ারা করে কাজ চলছে।’
পোস্টের শেষাংশে রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে সারজিস বলেন, ‘সময় থাকতে এসব অন্যায় অপকর্ম, মামলা বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন।
জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।’ সূত্র : যায়যায়দিন
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। থানার ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওসিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। ২০ জুন তাদেরকে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক। বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
বাদী মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ী।
বাদী মজিবুর ও এজাহার সূত্র জানায়, শাহজাহানদের সঙ্গে মজিবুরদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে শাহজাহান তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন জেল খেটে মজিবুর জামিনে মুক্ত হয়। এদিকে তিনি জেলে থাকাকালীন ২৪ এপ্রিল শাহজাহানরা তার (মজিবুর) দোকানের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে। একপর্যায়ে তারা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে জেল থেকে বের হয়ে ৪ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা দায়ের করে। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেফতারি পরোয়ানা নথিভুক্ত করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার রাত ৩টার দিকে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেন।
একইদিন সকাল ৬টায় শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাসার সামনে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন। এ নিয়ে বাদী পরিবার নিয়ে আতংকে রয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোন চিঠিও পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই ভাই মো. মেহেদি হাসান নুর (২০) ও মো. ইব্রাহীম (১০) দুমকী উপজেলার নলদোয়ানি গ্রামের মো. সোহরাব হোসেন এর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত দুই শিশুর বাবা সোহরাব হোসেন খুলনায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে গত রবিবার মির্জাগঞ্জে রামপুর গ্রামে নানা আব্দুল কাদের মুসুল্লির বাড়িতে মায়ের সাথে দুই ভাই বেড়াতে আসে। দুপুর ১টার দিকে দুই ভাই নানা বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। তারা দুজনেই সাঁতার জানত না। গোসল করে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাঠাঁলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে দুই শিশু মেহেদি হাসান নুর ও মো. ইব্রাহীম নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।