অনলাইন ডেস্ক :
রামেক হাসপাতালে নওগাঁর এক নারী একসাথে পাঁচ ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাঁচটি নবজাতক প্রসব করেন তিনি। পাঁচ নবজাতক ও মা সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রামেকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
ঐ প্রসূতি মেরিনা খাতুন (৩৫) নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল মজিদের (৪০) স্ত্রী। এই দম্পতির আরো দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির পর অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাগুলোর জন্ম হয়। বাচ্চাগুলোর মধ্যে দু’টির ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম, দু’টির ১ কেজি ৩০০ গ্রাম এবং ১টি’র ওজন ১ কেজি।
প্রসূতি মেরিনা খাতুনের মামা শ্বশুর নয়ন বাবু জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা আগে থেকে জানতাম তিনটি সন্তান হবে। এ জন্য ভাগ্নে বউ মেরিনাকে দেখাশোনার জন্য পাঁচ নারীকে নিয়োজিত করেছিলাম। তবে মেরিনা সুস্থই ছিলেন। খাওয়া দাওয়াসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে করেছেন। গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা উঠার পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা প্রসূতিকে রামেক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এরপর মেরিনাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে সিজারিয়ান অস্ত্রপচারের মাধ্যমে একে একে পাঁচটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়।
রামেক হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান রোকেয়া খাতুন বলেন, তার অধীনেই ঐ প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রসূতির উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের সমস্যা ছিল। এ জন্য প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয়েছে। মা ও সন্তানরা সুস্থ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা তদন্তের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে এবং সেখানেই এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আজ ১৮ জুন রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের এক কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।
চলারপথে ডেস্ক :
সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে আবারও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘বিপদ আসতে পারে, সতর্ক থাকুন।’
আজ ০১ মার্চ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই সতর্কতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের বাইরে থাকায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছেন- জানতে চাইলে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যান্য নিদের্শনা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। আমনের ফলন ভালো হয়েছে এবার। বোরো উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনোভাবেই যেন জমি পতিত ফেলে রাখা না হয় আবারও সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে একটি কারখানার এক সিকিউরিটি গার্ড নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন আরো একজন। নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আব্দুল কাদের (৫৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাসিন্দা।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার আমির দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কুটুরিয়া এলাকার একটি কারখানায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারা মাথা ও গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, মজিবর দেওয়ানের ভাই আমির দেওয়ানের বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের তিন সদস্য। পরে আমির দেওয়ান ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এ সময় আমিরের ভাই মজিবর বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে জানালা দিয়ে ডাকাতদের দেখতে পায়। এ সময় শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মজিবরের ছেলে। ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চিৎকার দিয়ে ও বাড়ির দিকে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, যাওয়ার সময় মামুন দেওয়ানের বাড়ির সামনে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী আহত হলে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাড়িওয়ালা ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর গুলি বিনিময় হয়। ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আশুলিয়ার থানা পুলিশ।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে দলীয় প্রভাব মুক্ত করতে ১৩ দফা দাবি তুলেছেন সাংবাদিকরা। দাবির পক্ষে আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার আরিফুল সাজ্জাত ও আহম্মদ ফয়েজ এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোকে আগামী তিনদিনের (সোমবার) মধ্যে দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর দলীয় লেজুড়ভিত্তির কারণে সাংবাদিকতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম ও কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ। এর সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। যার কারণে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাধারণ গণমাধ্যমকর্মীরা আক্রমণের শিকার এবং নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ এবং জাতির কাছে অবিশ্বাসের পাত্রে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থার অবসান জরুরি।
দাবিগুলো হলো-
১. ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বন্টন করতে হবে।
৬. উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৭. গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি বন্ধ করতে হবে।
৮. গণমাধ্যম পরিচালনার ধরণসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।
৯. গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশ বিরোধী নিবর্তনমূলক আইনের সব ধারা বাতিল করতে হবে।
১০. আইসিটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
১১. সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
১২. বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন ও হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
১৩. সব গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে সে নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে দিয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আজ ২৪ জুন শনিবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নগরীর কালীজিরা এলাকায় সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের তিনশ’ অতিথি আপ্যায়ন করেন আয়োজকরা। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ ধরে উৎসবের আমেজ ছিল কেন্দ্রটিতে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, শনিবার ওই কেন্দ্রে পুনর্বাসিত মেয়েদের ১৭ ও ১৮ তম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রিত রহিমার (১৯) বিয়ে হয়েছে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাগুয়া এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রাসেল হোসেনের সঙ্গে। অপরদিকে তামান্নার (২১) বিয়ে হয়েছে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি এলাকার মুদি দোকানি ফরিদ হোসেনের সঙ্গে। রহিমা ৮ বছর এবং তামান্ন ওই কেন্দ্রে ৪ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে আশ্রয় হয় তাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রহিমার বাড়ি পিরোজপুরে এবং তামান্নার বাড়ি জেলার মেহেন্দিগঞ্জ বলে তারা জানিয়েছেন।
সাজ্জাদ পারভেজ আরো জানান, সামাজিকভাবে কথা পাকাপাকি করে তাদের বিয়ে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। বিয়ের পোশাক কেনা, পুনর্বাসন কেন্দ্র সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদসহ বিয়ের আয়োজনে কমতি ছিলো না। অনুষ্ঠানে উভয় বর ও কনেকে সেলাই মেশিন, লেপ-তোষক, ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ পারভেজ। আশ্রিত হওয়ার পরও ব্যাপক আয়োজনে পরম মমতায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করায় খুশী বলে জানিয়েছেন তামান্না ও রহিমা।
তামান্নার বর ফরিদ হোসেন ও রহিমার বর রাসেল হোসেন জানান, এর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রে এসে ওই তরুণীদের বিয়ের জন্য পছন্দ হয় তাদের। এরপর পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এতে খুশি তাদের পরিবারের সবাই।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে হওয়ায় ওই কেন্দ্রের সকলে খুশি। আমাদের মেয়েরা যাতে ভালো থাকে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে প্রশাসনের। ভবিষ্যতেও তাদের খোঁজ খবর রাখা হবে। তাদের স্বাবলম্বী করার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক।