চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এক শিক্ষকের আকষ্মিক মৃত্যুতে লাশ কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিতার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উত্তেজিত ছাত্র-জনতা লাশবাহী খাটিয়া নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে সেখানে অবস্থান পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ওই শিক্ষকের মৃত্যুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযুক্ত করে বিচার দাবি করা হয়। নিহত ওই শিক্ষক হলেন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি) এরফানুল ইসলাম শরীফ। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত লাশ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে ছাত্র ও নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন তাদেরকে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বস্ত করেন। পরে স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
নিহত শিক্ষকের ছোট ভাই মোঃ আওলাদ হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি’র মানসিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আওলাদ হোসেন বলেন, শহরের রাধানগরে তাদের বাড়ি। বাড়ির পূর্ব সীমানা ঘেঁষে উপজেলা পরিষদের একটি পুকুর আছে। পুকুর পাড়ে একটি ছোট গেইট আছে। এটি দিয়ে তারা মাঝে মধ্যে উপজেলা পরিষদের মসজিদে নামাজ পড়তে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও শিক্ষক শরীফের বাসায় গিয়ে তাকে খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে পুকুরের পাড়ে গেট রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চলে যান। পরে দুপুরে ইউএনও শরীফের কর্মস্থল হীরাপুর স্কুলে গিয়ে তার ভাই শিক্ষক শরীফের সাথে খারাপ আচরণ করে মানসিক নির্যাতন করেন। ইউএনওর নির্যাতনে তার ভাই মারা গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ইউএনও’র বিচার দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বেলা পোনে ১২টার দিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে সাথে নিয়ে স্কুলে যান। এক পর্যায়ে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি অফিস কক্ষে এরফানুল ইসলাম শরীফের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। এ সময় অন্য শিক্ষকদেরকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন। প্রায় ২০ মিনিট কথা বলার পর ইউএনও বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ইউএনও চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর শিক্ষক শরীফ বুকে ব্যাথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি করে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন ইউএনও মেডাম শিক্ষক শরীফের সাথে একান্তে কথা বলেছেন। আমাদেরকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাই দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে বলতো পারবো না।
জানতে চাইলে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি বলেন, আমি তাকে নির্যাতন করিনি। আমি ওই স্কুলের সভাপতি সেজন্য স্কুলে গিয়ে তার বেতনভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে একান্তে কথা বলেছি। উপজেলা পরিষদের পুকুরের পাশে তাদের বাড়ির গেইট থাকায় সেটি দেখার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টাসহ ৭ বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। ঈদুল ফিতরের পর ২০ টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য ফরম সংগ্রহ করে গাজীর বাজারস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ফরম জমা দেন।
তাদেরকে বরণ করে নেয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মজুন মিয়া, অহিদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়াসহ অন্যরা। তারা সবাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
যোগদানকৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া, দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মেম্বার, যুবদল নেতা মোরশেদ মিয়া, বিএনপি সমর্থক সাইফুল ইসলাম, কালা মিয়া ও নজরুল মিয়া। মূলত কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে মন্ত্রীকে সম্মান ও ভালোবেসে বিএনপির ওই নেতারা আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এ সময়ে বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন আওয়ামীলীগের নেতারা। আরও কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর আওয়ামীলীগে যোগদান করার সম্ভাবনা রয়েছেও বলে তারা জানান।
জানতে চাইলে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত আবুল কালাম মেম্বার বলেন, আমি ইউপি সদস্য থাকাকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। আইনমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে ভালোবেসে আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।
বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে অনেক দিন যাবত রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। এলাকার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। তাছাড়া আমার নিজেরও ইচ্ছা ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে নতুনরা আসবে এটাই স্বাভাবিক। মূলত তারা মন্ত্রী মহোদয়কে (আইনমন্ত্রী) ভালোবেসে ও সম্মান করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাই। তাদের যোগদানের মাধ্যমে দল আরও শক্তিশালী হবে বলে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগের অনেক বড় দল। নতুন যারা এসেছেন তারা ধৈর্য্য ধরে দলের পক্ষে কাজ করলে দল যথা সময়ে তাদেরকে নিশ্চই মূল্যায়ন করবে।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, ২০০৮ সালের পর দলের দু:সময় থেকেই তারা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাদেরকে ছাড়াই আমরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছি।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজনু মিয়া বলেন, যারা আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড এবং নেতাদের আচার ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে দলে যোগদান করতে চায় তাদেরকে আমরা যোগদান করাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫টি ফরম বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ ১০ জুন সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামে স্কুল সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক পদে দুইবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন না। অন্যান্য পদেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশলে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছেন।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কমিটির সাবেক সভাপতি ও ভূমিদাতা আবুল বাশার মোবারকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ কমিটির তিনজন সদস্যের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, কমিটির সদস্য আবুল বাশার, সাবেক সদস্য সহিদ মিয়া (মেম্বার), আবু তাহের প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. সেলিনা বেগম বলেন, আমি যাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অভিযোগ করছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ব্যাবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমির ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শিপ্রানাথ, সাংবাদিক জালাল হোসেন মামুন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যন (পুরুষ) পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যতই ভোটের দিন এগিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ভোটের লড়াই। শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের কর্মী সমর্থকেরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেনা। নিজ প্রার্থীর জন্য ভোটাদের কাছে ভোট চাইছেন। করছেন উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ। শহর থেকে গ্রামীন জনপদে প্রার্থীদের পোষ্টার শোভা পাচ্ছে। বেলা ২টার পর শুরু হয় মাইকের প্রচার।
জানা গেছে, এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও দলীয় মনোনয়ন দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সকলের অংশগ্রহণের সুযোগ রেখে নির্বাচন উন্মুক্ত রেখেছে।
সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়া দুই বারের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া সত্বেও উপজেলা পর্যায়ে তার পরিচিতি কম। ভোটারদের মধ্যে আলোচনা আছে, মুরাদ হোসেন মানুষের সাথে মিশেছেন কম।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন তিন বার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এসব কারণে উপজেলা জুড়ে মনির হোসেনের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। অভিজ্ঞতা ও পরিচিতির কারণে তিনি অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ত্রি-মুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। মোঃ জুয়েল রানা (টিউবওয়েল), সাহাবউদ্দিন বেগ (মাইক) ও মাজিদুল ইসলামের (চশমা) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় শাহাব উদ্দিন উপজেলা জুড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পিয়ারা বেগম পিওনা (হাঁস) এবং রোকসানা আক্তার (কলস) এর মধ্যে তীব্র লড়ায়ের আভাস পাওয়া গেছে। তবে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় এবং মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় পিওনা আক্তার সবার কাছে পরিচিত। রোকসানা আক্তারের বাড়ি ধরখার ইউনিয়নে এবং স্বামীর বাড়ি মনিয়ন্দ ইউনিয়নে। ওই দুই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পেলে তিনি চমক সৃষ্টি করতে পারেন। এছাড়া তানজিনা আক্তার (ফুটবল) এবং রিনা আক্তার (পদ্ম ফুল) তারাও ভোটের লড়াইয়ে দাপটের সাথে লড়ছেন।
তবে ভোটের হিসাব যাই হোক, সাধারণ মানুষের ভাবনায় সুষ্ঠু ভোট। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগ করতে চায়।
৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে আখাউড়া আখাউড়া উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৭০। এরমধ্যে পুরুষ ৬৫ হাজার ৯৭৬, মহিলা ৬১ হাজার ৮৯১ এবং হিজড়া ভোট ৩।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় স্ত্রীর দেয়া অভিযোগে মোঃ রিপন মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে কারাদন্ড প্রদান ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাহাতুল ইসলাম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর এলাকার দেবগ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া নামের ওই যুবক আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর অভিযোগ সে মাদকাসক্ত। মাদক সেবন করে প্রায়ই সে স্ত্রীকে মারধর করে। বিকেলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত রিপনকে মিয়াকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।