ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাপড়ে মোড়ানো নবজাতকের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 13 September 2024, 530 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিনের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

banner

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে পৌর শহরের ট্যাংকের পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে শহরের ট্যাংকের পাড়ের সামনে ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক বাচ্চার মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো বলেন, ট্যাংকের পাড়ের আশপাশে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। কেউ হয়তো রাতে অবৈধভাবে গর্ভপাত করে নবজাতকের মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে যান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

জীবিত নবজাতক দাফনের চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক : চাঁদপুর শহরের পৌর কবরস্থানে অবিশ্বাস্য ও হৃদয়বিদারক Read more

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

আমরা ক্ষমতায় গেলে এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 3419 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের দশ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয় ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের পুনিয়াউটস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, পল্টনে বিএনপির জনাতঙ্কের ভয়ে পল্টনে সভা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। তিনি আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে বলেন, তারা এখন চামচামিতে লিপ্ত। ছাত্রলীগকে পকেট মার এবং মোবাইল চোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ভারে মঞ্চ থেকে ধপাস করে ভেঙ্গে পড়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। এমনিভাবে একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ধপাস করে ভেঙ্গ পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তাদের ২৭ দফা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো। কেন করবো? আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিনা ভোটের ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে একে দলীয় একটা বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা এমনভাবে পরিণত করেছে, যে ভবিষ্যতে কোনো সংসদে এটি পরিবর্তন করা যাবে না। এটিকে বেআইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ। সংবিধান সংস্কার করার এখতিয়ার রাখতে পারেন না। এই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যে বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। দল মত নির্বিশেষে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো।
তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত সময়ে স্বাধীনতা স্বপক্ষকে ও বিপক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে সামনে এনে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা জাতিকে বিভক্ত করা থেকে ফিরিয়ে আনবো। আমরা সকলকে দেখিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দলীয় সরকার অধীনে অবাধ সুস্থ নির্বাচন না হবে, ততদিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে। জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সুযোগ দিতে হবে। সংবিধানের মালিক জনগন। জনগণ তার মালিকানা হারিয়েছে। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেই সময়কার নির্বিচনে প্রায় সকল আসনের জয়লাভ করেছিল। দু-একটিতে ন্যাপ ও জাসদের প্রার্থী জয়লাভ করলেও পড়ে তাদেরকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
তিনি তার পিতা অলি আহাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমার পিতা সেই সময়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরে নির্বাচনের ফলাফল বদলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয় দেখানো হয়েছে। সেই থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ভোট কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হয়ে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্রপতির কোন ক্ষমতা নাই। তিনি কেবল জানাজা পড়েন আর ফিতা কাটেন। এর বাইরে তার আর কোন কাজ নেই। এই ফিতা কাটা আর জানাজা পরা থেকে রাষ্ট্রপতিকে বের করে নিয়ে আসবো আমরা। যেখানে আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত করবো। টানা দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। এছাড়া আমরা বলেছি, সংসদকে আমরা দুই কক্ষে বিভক্ত করবো। একটি হবে উচ্চকক্ষ অপরটি হবে নিম্নকক্ষ। সংদকে কার্যকর করার জন্যে এই উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে দেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন লুটপাটের সর্ব রাজ্য। বিদ্যুৎ খাত, ব্যাঙ্ক খাত, রাস্তাঘাট অবকাঠামোগত খাতে লোটপাট করা হচ্ছে। সে জন্য কমিশন গঠন করবো। শ্বেতপত্র প্রকাশ করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত আদালতে সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সভাপতি যে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন একজন জজ সাহেবকে, এটা আদালতে চলতে পারে না। তিনি আদালতের সমালোচনা করে বলেন, আপনারা বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখলে জামিন দেন না। সরকারের ইশারায় আপনারা চলেছেন। এখন এর জন্য আপনারা দায়ী।
মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মীর্জা ফকরুল অত্যন্ত সজ্জন রাজনীতিবিদ। তাকে রাত ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। তাকে চারদিন ধরে কোন ডিভিশন দেওয়া হয় নাই। হাইকোর্ট রিট করে ডিভিশন নিতে হয়েছে। তার নাম না থাকায় সত্ত্বেও তিনি জামিন পাননি। এটাই বাংলাদেশের আদালতের অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ তৈরী করবো। সেই বিচার বিভাগ দল মত নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ দেখাবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করবো। কারণ প্রশাসনে তো এখন লীগ ছাড়া আর কিছু নাই। পুলিশ লীগ, ক্যাডার লীগ, বিচারক বিচারক লীগ। এই লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
রুমিন বলেন- আমরা মিডিয়া কমিশন গঠন করবো, মিডিয়া কিভাবে পক্ষপাত মূলক আচরণ করে। পক্ষপাত মূলক খবর পড়ে। তিনি টকশো প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপনারা টকশো গুলো দেখেছেন, কতটুকু ধোকা দেয় তারা। আমরা দু’একটা কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগের চ্যালা, আওয়ামী লীগের দলের একজন বক্তা কথা বলা শুরু করে দেয়। এরকম মিডিয়া আমরা চাই না। আমরা নিরপেক্ষ মিডিয়া তৈরি করবো। তিনি বলেন, ডিজিটাল এ্যাক্ট এর ভয় দেখিয়ে মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। তথ্য কমিশনার চাপ দিয়ে মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ধরনের চাপ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে হবে না।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যে গুম, খুন, নির্যাতন, হেফাজতে রেখে নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার প্রত্যেকটি বিচার করবো।
শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে জিডিপির পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করতে গিয়ে ফকির হয়ে যাচ্ছে। তাদের জমি জমা বিক্রি করতে হচ্ছে। সে অবস্থা থেকে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করবো।
সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ, সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারান সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলার ৪ উপজেলায় বন্যায় ভেসে গেছে প্রায় ১৯ কোটি টাকার মাছ

আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 August 2024, 1768 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’

বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।

মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’

এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।

আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন : ৫ প্রার্থী বৈধ, ১ প্রার্থী বাতিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 12 October 2023, 1043 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে মৃত ব্যক্তিসহ পাঁচ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইব্রাহীমের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বাকি পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

banner

আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়ন দাখিলের সময় মোট ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। এরমধ্য থেকে নির্বাচন কমিশন দৈবচয়নের মাধ্যমে ১০ জনের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ১০ জনের মধ্যে চারজন কোনো স্বাক্ষর করেননি। তালিকায় একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে।

মনোনয়ন বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাতীয়পার্টির আব্দুল হামিদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল)।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৩-১৭ অক্টোবরের মধ্যে প্রার্থী আপিল করতে পারবেন। ১৮ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

২১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 10 January 2023, 1705 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:

banner

আগামী ২১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এদিন সাধারণ সভাও অনুষ্ঠিত হবে। প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৩ এর নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মুস্তাফা মুন্না গত ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৮ এবং অনুচ্ছেদ-৮, ধারা-১ অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৩ এর সময়সূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয়, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি একই সময়ে ও স্থানে মনোনয়নপত্র জমাদান। ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ১৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ২১ জানুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ। এরআগে সাধারণ সভা অনু্ষ্িঠত হবে।

স্কুলে অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 September 2024, 535 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা শহরের গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলে নানা অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ এনে যৌক্তিক সংস্কার ও বিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ নানা জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

banner

আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তারা বিক্ষোভ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের প্রশ্রয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধা, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা, বদরুন্নাহার, ফারজানা আক্তারসহ একাধিক শিক্ষকরা বিভিন্ন অনিয়ম দুনীর্তির সাথে জড়িত। শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে তারা পরীক্ষার সময় নাম্বার কমিয়ে দেয়।

এছাড়া শিক্ষকরা অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করান এবং সেখান থেকে ১০ পার্সেন্ট টাকা প্রধান শিক্ষক নিয়ে থাকেন। এছাড়াও দেড় বছর ধরে তাদেরকে টিফিনও দেওয়া হয় না। এ অবস্থায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সব ধরনের অর্থ সম্পর্কিত ধোয়াশা দূর করতে সরকারি অডিটের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি জেলার বাইরে আছি। কাল এসে তাদের অভিযোগ শুনব।