চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, তৃনমূল থেকে জেলা সদর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা এবং অনগ্রসরতা বিবেচনায় জেলা পরিষদ থেকে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতের মত গোপনীয়তা বা অর্থলোটপাটের অভিযোগ করার কোন সুযোগ থাকবেনা।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। সভায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলা পরিষদের রাজস্ব এডিপি ও সংসদ সদস্যদের চাহিত প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দের আওতা সর্ব মোট প্রায় ১১ কোটি টাকার দুই শতাধিক প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
এসব প্রকল্পের মধ্যে জেলা ঈদগাহ ময়দানের বাউন্ডারি দেয়াল, স্টেডিয়াম গেইট নির্মাণ, ডাকবাংলা স্থাপন ও সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ প্রকল্প উল্লেখ যোগ্য।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান অলিও, কসবা উপজেলা চেয়াম্যান অ্যাড. রাশেদুজ্জামান কাওসার, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঠাকুর, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন ভূইয়া, নবীনগর পৌরমেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরমেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী এবং প্যানেল চেয়ারম্যান (১) মোঃ আব্দুল আজিজ (২) মোঃ নাছির উদ্দিন (৩) সনি আক্তার, সদস্য সামসুল কিবরিয়া রাজা ও রুমানুল ফেরদৌসী সহ কর্মকর্তা সদস্য নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি কালীবাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ শেষে কালীবাড়ি মোড়ের মোল্লা প্লাজার সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম গোলাপের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও আনিছুর মঞ্জু, সদর উপজেলা যুবদরেল আহবায়ক জিয়াউল হক প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশ জেলা কারাগারের ফটক থেকে বারবার মিথ্যা মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তার করে। বক্তারা অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ৩০ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া থেকে লেনিন গ্রেফতার হয়।
আজ ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
লেলিন শহরের কাজীপাড়া এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে লেনিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা ও একটি নাশকতা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তাহার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আগামী ২১ আগস্ট সোমবার জেলা আওয়ামীলীগ আহুত “সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ” কে সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল করার জন্য সদর উপজেলাধীন প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিলসহ জনসভায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, জায়েদুল হক, আবুল কালাম ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. শাহনুর ইসলাম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, অ্যাড. লোকমান হোসেন, রবিউল হোসেন রুবেল, শাহদাত হোসেন শোভন, আব্দুল মালেক চৌধুরী ও আশরাফ উদ্দিন খান আশা প্রমুখ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তৃতা করেন।
‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া, বুকের মাঝেবিশ্বলোকের পাবি সাড়া’ এই শ্লোগানকে নিয়ে গতকাল শনিবার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সম্মেলন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে বিকালে সাংগঠনিক অধিবেশনে একুশে পদক প্রাপ্তবাচিক শিল্পী ও জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্যদুলাল পোদ্দার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ।
বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেনজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামিল ফোরকান।
দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রদীপ প্রজ্বলন ও বোধন সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি। জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মানবর্দ্ধন পালের সভাপতিত্বেবিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবুল ফারাহ পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহসভাপতি অরুনাভ পোদ্দার।
অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রশীলন সম্মাননা প্রদান করা হয়দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব একুশে পদক পাপ্ত রবীন্দ্রগুণী মফিদুল হক কে। আবৃত্তিও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামিল ফোরকান ও নুসরাত জাহান জেরিন।
সম্মেলনে মানবর্দ্ধন পালকে সভাপতি ও মাসুদ উর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং জামিনুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের দুদিন পর রাব্বি (১৬) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চড় মারার জেরে রাব্বিকে হত্যা করেন তার বন্ধু সাগর।
আজ ১৯ জুন সোমবার বিকেলে জেলা শহরের পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাব্বি শহরের মেড্ডা আরামবাগ এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ১৭ জুন শনিবার রাতে মোবাইল বেচাকেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় রাব্বি। পরে তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় রোববার (১৮ জুন) পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তকালে রাব্বি নিখোঁজের পেছনে তার বন্ধু ফুলবাড়িয়া এলাকার সাগরের (১৯) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। রাতে সাগরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে সাগরের মা লিলি বেগমকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তিনি জানান, রাত ২টার পর সাগরের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এসময় সাগরের মায়ের মোবাইল ফোনে একটি কল রেকর্ড পায় পুলিশ। সেই রেকর্ডে সাগরকে তার মাকে বলতে শোনা যায়, রাব্বি তাকে একবার চড় দিয়েছিল। তাই তাকে মেরে এলাকার একবাড়ির ঝুপড়িতে ফেলে দিয়ে তিনি ঢাকায় পালিয়ে গেছেন। পরে কল রেকর্ড অনুযায়ী পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে পশ্চিম ফুলবাড়িয়ায় একটি বাড়ির ঝুপড়িতে রাব্বির মরদেহ পাওয়া যায়।
ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সাগরকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।