চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস. এম. জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা ও ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপের সভাপতিত্বে সভায় বক্তা রাখেন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ হায়েনারা আমাদের দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট এর উপরও আক্রমণ করেছে। আর আমরা ঘরে বসে থাকবো না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ আজ ৮ অক্টোবর রবিবার শুরু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইলস্থ সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সপ্তাহের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ১৭৬টি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলগামী ৫ থেকে ১৬ বছরের ৮ লক্ষ ২২ হাজর ৮২ জন ছাত্র ছাত্রীকে কৃমি বড়ি খাওয়ানো হবে। এছাড়া স্কুল বহির্ভূত ৬ হাজার ৬৬২ জন ছাত্রছাত্রীকেও এই কৃমি বড়ি খাওয়ানো হবে।
আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বড়ি খাওয়ানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, চীফ হুইপ ও চারবারের এমপি অ্যাড. হারুন আল রশিদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তার মৌলভীপাড়া কার্যালয়ে ফুলের শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিব উল্লাহ, সহযোগী অধ্যক্ষ অ্যাড. সায়দুল্লাহ মৃধা, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. মো. আলমগীর, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. এ এস এম ইউনুছ ভূইয়া, অফিস সহকারী আক্তার হোসেন, অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন সুমন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত সবাই তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে হারুন আল রশিদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সবার প্রতি।
তিনি বলেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে আমার অর্পিত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। সবার ভালবাসায় মুগ্ধ আমি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই) আয়োজিত ‘৭৫তম প্লাটিনাম জুবিলী বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্স-২০২৩’-এ যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) ভারত গেছেন।
ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজিক্যাল এর মেম্বার ডা. মতিনকে বার্ষিক এই কনফারেন্সে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই)।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের কলকাতার আইটিসি রয়্যালে শুরু হওয়া এ বার্ষিক কনফারেন্স শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। কনফারেন্সে যোগ দিতে আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০২২ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্সেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ডা. মতিন।
এবারের কনফারেন্সে ইউরোপীয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির সদস্যসহ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার কার্ডিলওজিস্ট অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
বার্ষিক কনফারেন্সে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিকবিজ্ঞানের নবতম সংযোজন, সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার, হৃদরোগের জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করাসহ হৃদরোগের সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণ। কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা চিকিৎসকগণ লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে হৃদরোগীদেরকে বিশ্বমানের সেবাদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং এতে রোগীরাও আগের তুলনায় আরও বেশি উপকৃত হন। কনফারেন্স উপলক্ষে চিকিৎসকদের আগমণ ও অবস্থান প্রতিবছর কার্ডিওলজিস্টদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম)। আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার দারুল উলুম হাফেজিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুর রহিমের ৫ সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ মোহাম্মদ আবদুল মতিন (সেলিম) নিজের দক্ষতায় রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ডোপিং কন্ট্রোল টিমে একমাত্র বাংলাদেশি ‘ডোপিং কন্ট্রোল চ্যাপেরন’ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একজন সৌভাগ্যবান হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। তিনি রাশিয়ার রুস্তভ স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও ক্লিনিক্যাল অরডিনাটুরা কোর্স সম্পন্ন করেন সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরেরই ঐতিহ্যবাহী নর্থ ওয়েস্টার্ন স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে। একই শহরের পাত্রোভ্সকায়া এলাকার সিটি হসপিটালে কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের হার্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই বছর। এরপর একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে গেছেন নিজের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্টে দেশের পতাকাকে তুলে ধরেছেন নানাভাবে। রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ফিফা ও অর্গানাইজেশন কমিটির বিভিন্ন অডিশনে অংশ নেন এবং রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ডোপিং কন্ট্রোল’ টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) বলেন, ২০২২ সনে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কনফারেন্সে বিশ্বের নামি-দামি কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করি, কনফারেন্স থেকে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের হৃদরোগীদেরকে আরও সহজভাবে মানসম্মত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় মহিলা পরিষদ।
ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণপূর্বক দ্রুত গ্রেপ্তারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। সেই সাথে নারী ও কন্যার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানায়। সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে নিখোঁজের চার দিন পর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত দুই ছাত্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার নিহত ওই দুই ছাত্রী মাদ্রাসায় যায়। ২৪ আগস্ট শনিবার মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ফোনে নিহতের পরিবারকে জানানো হয় তারা দুজন মাদ্রাসায় নেই। তাদের খোঁজ পাওয়া না গেলে পরিবারের লোকজন মাদ্রাসার ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তা দেখতে দেন নাই। তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার উত্তরপাড়া বায়তুল করিম মসজিদের মুয়াজ্জিন আজান দিতে যাওয়ার সময় টর্চের আলোতে রাস্তার পাশের জমিতে লাশ দুটি পরে থাকতে দেখেন। তার ডাকাডাকিতে আশপাশের লোকজন এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহত দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী ও কন্যারা নিষ্ঠুর সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সহিংসতা হত্যাকাণ্ডে পরিণত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমরুল কায়েস (৩০) নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যার দিকে শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কায়েস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
হামলায় আহত কায়েস বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রতিপক্ষ ভূইয়া গোষ্ঠীর এমরান, কামাল, শিপনের সাথে ধানী জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারা আমাদের জমি জোরজবর করে দখল করে নেয়। আমরা একাধিক বার বাধা দিলেও তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখলে নেয়। সন্ধ্যার দিকে শহরের কুমারশীল মোড়ে একটি ফার্মেসী থেকে ঔষুধ ক্রয় করে বাড়ি ফেরার পথে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে আমাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে। আমার উপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইতগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।