চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস. এম. জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা ও ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপের সভাপতিত্বে সভায় বক্তা রাখেন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ হায়েনারা আমাদের দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট এর উপরও আক্রমণ করেছে। আর আমরা ঘরে বসে থাকবো না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণ মানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা কোন অপরাধীকে পশ্রয় দেইনা। আইন সবার জন্য সমান, আইনের অধিকার সবাই সমানভাবে ভোগ করবে।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে কেন শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আরো দায়িত্বশীল ও মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে দেশের কথা ভাবতে হবে। আমরা সবাই যদি সরকারি বিধিবিধান মেনে চলি তাহলেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ঈদমুখী মানুষ যাতায়তে যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা কাউতলী মোড়ের অবৈধ টেম্পুস্ট্যান্ডটি অপসারণ, শহরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার, মহাসড়ক ফোরলেনে সম্প্রসারনের জন্য জনগনের ভোগান্তি দূরীকরন ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট নাসির, সদর উপজেলা ইউসিসিএর সভাপতি আবু কাউছার, ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, আব্দুর রশীদ, আবদুল হাকিম মোল্লা ও আলামিনুল হক পাবেল প্রমুখ। সভায় সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগন ও সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। আজ ২৬ জুন বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
সুমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে নূরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বেতবাড়িয়া গ্রামের সুরমা আক্তার পাখির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নূরুল ইসলামের। তাদের মধ্যে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা-বার্তা হত। কথা-বার্তার সূত্রে নূরুল ইসলাম প্রায় সময় পাখির সঙ্গে দেখা করতে রাতে তাদের বাড়িতে আসতো। এদিকে সুরমা আক্তার পাখির সঙ্গে তার চাচাত ভাই সুমন মিয়াও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। কিছু দিন আগে নূরুল ইসলাম পাখিদের বাড়িতে এসে সুমন ও পাখির সম্পর্ক দেখতে পান। পাখির সঙ্গে সুমন প্রায় সময় রাত্রিযাপনও করতেন। গত কিছু দিন আগে নূরুল ইসলাম পাখির সঙ্গে দেখা করতে আসলে সুমন মিয়া বাধা দেন এবং তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার ভোরে নূরুল ইসলাম পাখিদের বাড়িতে এসে দেখে সুমন পাখির ঘরে ঘুমাচ্ছে। পরে নূরুল ইসলাম ঘরে ঢুকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে সুমনকে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা সুমনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, ঘাতক নূরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. শাহবুদ্দিন চুপ্পুকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে পদত্যাগের দাবি জানায় তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান সড়ক ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন-শিক্ষার্থী বায়েজিদুর রহমান সিয়াম, বোরহান উদ্দিন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন, যেন এখনো তিনি প্রধানমন্ত্রী আছেন। দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রপতি অপসারণে প্রয়োজনে সংবিধান মানা হবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নওমুসলিম মো. আলী আকবরের লাশ গ্রহণ করেনি পরিবার। দাফন করেছে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছ থেকে বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন লাশ গ্রহণ করে আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার বাদ আছর মেড্ডা সার গোডাউন চত্বরে জানাযার পর বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত বছরের জুলাই মাসের ৩ তারিখে ধর্মান্তরিত হয়ে ঘর ছাড়েন মো. আলী আকবর (৪৫)। অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর পাড়স্থ খেয়াঘাটের গাছের নীচে অবসান ঘটে তার জীবন সংগ্রামের।
২৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড় বাকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের তিতাস নদীর পাড়স্থ খেয়াঘাটের গাছের নীচে শারিরীক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে মো. আলী আকবরের মৃত্যু হয়। সদর মডেল থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, মো. আলী আকবরের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর কামলা বাজার এলাকায়। তার নাম প্রেমাংশু রঞ্জন রায়, বাবা-হিমাংশু শেখর রায় ও মা-ফনী বালা রায়। প্রেমাংশু রঞ্জন রায় বিয়ে করেনি। সে গত বছরের জুলাই মাসের ৩ তারিখ ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তার সঙ্গে সম্পর্কছেদ করে।
ওসি আরো জানান, মো. আলী আকবরের মৃত্যুর খবর তার চাচা সিতু চন্দ্র রায় ও দুই ভাইকে জানালে এবং লাশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করলে তারা লাশ গ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরে আলী আকবরের লাশ গ্রহণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তারপর বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনকে লাশ দাফনের চিঠি পাঠায়। তিনি লাশ গ্রহণ করে শনিবার বাদ আছর মেড্ডা স্যার গোডাউন চত্বরে জানাযার নামাযের পর তিতাস পাড়ের বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানে দাফন করেন।
নওমুসলিম আলী আকবরের জানাযার নামায ও মোনাজাত করেন মেড্ডা বিএডিসি স্যার গোডাউন জামে মসজিদ ইমাম মাওলানা আবির উল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ ও মানবিক কাজ দিয়ে জেলায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে তারা জেলায় টেলি-মেডিসিন সেবা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ২৪ ঘণ্টা ফ্রিতে রক্তদান করে যাচ্ছে। যা এই প্রথম কোন সংগঠন এত গুলো কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ১২৫টি বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ সম্পন্ন করেছে বাতিঘর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ জুলাই সোমবার দুপুর একটার দিকে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার বাসিন্দা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে পৌর কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদাতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।