চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় আবদুল কাইয়ুম (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার স্ত্রী। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের সরকারপাড়া এলাকা থেকে কাইয়ুমকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাইশা (৩০) ও উজ্জল মিয়া (৩০) নামে আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। কাইয়ুম ওই এলাকার মৃত আবদুন নূরের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাইয়ুম তার নিজ বাড়িতে মাইশা ও উজ্জলকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় কাইয়ুমের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের তিনজনকে আটক করে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাজীপাড়ায় ক্রিকেট টিম প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কাজীপাড়ায় অবস্থিত জেলা ঈদগাহ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রিকেট টিমের আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ ও ৮নং ওয়ার্ড কাজীপাড়ার কাউন্সিলর মীর মোঃ শাহীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মোঃ জুয়েল রহমান, পেশেন্ট কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আশিকুর রহমান পিয়াস ও রাজিব খেলাঘরের স্বত্বাধিকারী মোঃ রাজিব।
এসময় ক্রিকেট টিম প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল খেলায় ক্রিকেট টিম এ (রুমান একাদশ) বনাম ক্রিকেট টিম সি (সিহাব একাদশ) এর মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ক্রিকেট টিম সি (সিহাব একাদশ) কে ৮ উইকেটে হারিয়ে বিজয়ী হয় ক্রিকেট টিম এ (রুমান একাদশ)।
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বিজয়ী ও রানারআপ দলের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করে। বিজয়ী দল পায় ২০ হাজার টাকা ও রানারআপ দল পায় ১০ হাজার টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই হত্যা করেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। এটি মৃত ইস্যু।
তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এম.পি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এখন সরকারের সব অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন বলি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তখন তারা বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের আস্থা দেশের জনগণের ওপর। আর জামায়াত-বিএনপির আস্থা বিদেশিদের ওপর, যারা ’৭১ সালে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ’৭৪ সালে যারা ত্রাণের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বিদেশি শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন বা পলিথিন মোড়ানো পোস্টার ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষার সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
এ সময় ‘তরী বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর প্রার্থীগণের নির্বাচনী পোস্টার প্লাস্টিক লেমিনেশন ও নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো হচ্ছে। এসব পোষ্টার শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মাটি, নদী, জলাশয় তথা পরিবেশ দূষিত ও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা জানি- পলিথিন অপচনশীল পদার্থ, এর পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকে, ফলে মাটি ও পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও গুণাগুণ নষ্ট করে। পলিথিন জলাবদ্ধতা, নদী দূষণ, নদীর জীববৈচিত্র ও নাব্যতা বিনষ্ট করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ সনের ৬নং আইনে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি কোনো সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপণ দ্বারা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারি করতে বা উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকবেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, যারা আইন প্রণেতা হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তাঁরাই আইন পরিপন্থি কাজ করছেন।
তাই পরিবেশ রক্ষার বৃহৎ স্বার্থে নদী ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক লেমিনেশন ও পলিথিন মোড়ানো পোষ্টার ব্যবহার বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রেরণ করেছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ”।
এ সময় শামীম আহমেদ ছাড়াও খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরীর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সুশান্ত পাল, মো. খাইরুজ্জামান ইমরান, নাজমুল খান, মো. হেকিম, শাহ্ আবদুল মনসুর আলামিন, অমৃত ঋষি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক গোলকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ফুটবল দল বনাম কসবা উপজেলা ফুটবল দল।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ আশিক হাসান উল্লাহ, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বীর চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায়টি গোল শূন্য থাকাই টাইব্রেকারের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ৪-৩ গোলে কসবা উপজেলা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শীপের গৌরব অর্জন করে। পরে প্রধান অতিথি বিজয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এদিকে ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম মাঠের গ্যালারি দর্শকদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দর্শকদের আনন্দ উল্লাসে পুরো স্টেডিয়াম খেলার মাঠের যৌবন ফিরে আসে। দুই দলের সমর্থনের দর্শকরা জয়ধ্বনি মাধ্যমে পুরো মাঠ মুখরিত করে রাখে।