চলারপথে রিপোর্ট :
রক্তদান হোক আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার, এই স্লোগানকে সামনে রেখে আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের হলরুম মিলনায়তন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাঁজালা পারভীন (রুহি)।
প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) ডা. আসাদুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান, আখাউড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার আলাউদ্দিন সিরাজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নাসির উদ্দিন প্রিন্সিপাল আখাউড়া টেকনিক্যাল আলিয়া মাদ্রাসা, সাজ্জাদ হোসেন সহকারী প্রধান শিক্ষক তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন হারুনুর রশিদ উপদেষ্টা অত্র সংগঠন। বিশেষ আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু, আবির, মোঃ শাহাবউদ্দিন আহমেদ, অপু সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা রবিন খান, হামজাদ হোসেন কাজী লুভনা আক্তার সহ অত্র সংগঠনের সকল সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মনির হোসেন মাস্টার উপদেষ্টা অত্র সংগঠন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে অবদান রাখাই আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি এবং অত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রধান করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যে এই সংগঠনটির সদস্যদের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠনটির সাফলতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের জন্য অত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি বিশেষ আহবান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি।
সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি সম্বলিত একটি লিফলেটে ‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে রমজান মাসে জিনিষপত্রের সরবরাহ, সংকটের গুজব ছড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধির প্রবনতা এবং অতিরিক্ত জিনিষ ক্রয়ের ব্যপারে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শনেরও আহবান মন্ত্রী। আজ ৩ মার্চ রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দলীয় নেতাকর্মী ও পৌর কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে পৌরশহরের সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আইনমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রচারপত্রটি বিতরণ করেছেন।
‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে আইনমন্ত্রীর প্রচারপত্রে লেখা আছে, ‘রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর যাতে কোনো ধরণের ঘাটতি বা সংকট না দেখা দেয়, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে যথাসময়ে আপনাদের হাতের নাগালে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘রোজা শুরুর পূর্ব মুহুর্তে আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা ঘাটতির আশঙ্কা করে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত, প্রচুর পরিমাণ নিত্য পণ্যসামগ্রী একসাথে ক্রয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ি বাজারে কৃত্রিম ঘাটতি ও সংকটের গুজব ছড়িয়ে অযৌক্তিভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে সাধারন জনগণকে অনেক সময় কষ্ট ভোগ করতে হয়। তিনি আহবান জানান, রমজান মাস আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। শুধুমাত্র পানাহার করে বিরত থাকাই রমজানের শিক্ষা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।
আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শণ করে আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল। ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে একটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। এছাড়া অনেকে একসঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে জিনিসের দাম বাড়াতে নিজের অজান্তেই সহযোগিতা করে। এসব থেকে উত্তোরণে আইনমন্ত্রী সাধারন মানুষের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরন করা হবে। মাইকিং আকারেও প্রচার করা হবে।
লিফলেট বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া, বাহার মিয়া, শিপন হায়দার, সফিকুল ইসলাম স্বপন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মিলি আক্তার, নার্গিস বেগম, রেখা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ হান্নান মেম্বার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা জাতীয়করণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের পদে পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে আখাউড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার প্রধান, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির নিকট হস্তান্তর করেন শিক্ষকরা। উপজেলায় ১৬ মাধ্যমিক স্কুল ও ৫টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমোদাবাদ শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, কর্মকমঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ভূইয়া, কল্লা শহীদ দাখিল মাদরাসার সুপার মুফতি কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ করেছে। এসময় শিক্ষায় বৈষম্য থাকা কাম্য নয়। সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একই কাজ করি। কিন্তু আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। তাছাড়া, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলেও অনেক যোগ্য শিক্ষক আছে। আমাদেরকে সরকারিকরণ করা হলে সকল শিক্ষক থেকে যোগ্য শিক্ষককে পদায়ন করা হতো। সরকারি কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে প্রশাসনিক পদে আনার কারণে বৈষম্য হচ্ছে। বক্তারা, বেসরকারি শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণ করার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট দাবি জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ নাসির উদ্দিন, টনকী সাদেকুল উলুম ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুজিবুর রহমান, রানীখার সৈয়দ আব্দুল হান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান, হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃতে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূণ্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার ম‚খ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে।
সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবো। তছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করবো।
সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোন স্থাপনা করার নিয়ম নাই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ উভয় উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি।
ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে উত্তর-প‚র্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবধর্মান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এজন্য কানেক্টিভিটির কোন বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা।
এ পর্যন্ত দু’পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
বিএসএফ’র আপত্তির কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপডেট আছে। শিগ্রই দেখবেন। অপেক্ষা করেন সমাধান দেখবেন।
এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মোঃ আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস।
ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জেলা পর্যায়ে মাহমুদা আখতার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। মাহমুদা আখতার আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া মো. মাহবুবুল আলম শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার উপজেলার ভান্ডুসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষার মান উন্নয়নে বহুমুখী অবদান রাখায় জেলা বাছাই কমিটি ওই দুজনকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মাহমুদা আখতার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা গোপিনাথপুর আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এর আগে ২০২২ সালে তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হন।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মাহমুদা আখতার বলেন, আসলে যে কোনো ভালো কৃতিত্ব বা অর্জন হলো আনন্দের। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সব সময় বিদ্যালয়ের ভালো করার চেষ্টা করেছি। আমাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এ অর্জন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ উপজেলাবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম।