অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ওজোনস্তর রক্ষায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির
ফ্রিজ ও এসি এবং নন-সিএফসি ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত। টেকনিশিয়ানদেরও ওজোনস্তরের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থ নির্গমন রোধে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব। ত্বকের ক্যান্সার ও চোখের ছানি পড়া রোধে ওজোনস্তর রক্ষা জরুরি। এজন্য বিশ্ববাসীকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘করবো ওজোনস্তর সংরক্ষণ, রুখবো জলবায়ু পরিবর্তন’ প্রতিপাদ্যে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ পরিবেশ অধিদপ্তর অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নারীদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ তারা ফ্রিজ বা এসি কেনার সময় সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। এছাড়া, গণমাধ্যমকে জনসচেতনতা তৈরির কাজে ভূমিকা রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও বক্তব্য রাখেন। এসময় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকালে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে শাহবাগ থেকে জাতীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ওজোনস্তর রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কে টোলঘরের পাশে বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছে ট্রাফিক পুলিশের দুইটি টিম। মোটরসাইকেলের হেলমেট, অন্যান্য গাড়ির কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র না পেলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা। এসময় সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দেখে টোলঘরের উল্টো পথে যাওয়ার সময় পালাতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ ১৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মোটর সাইকেলের চালকের হাতে জখম হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পরে পালানোর চেষ্টা করা মোটর সাইকেল আরোহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি এলাকার জহরুল ইসলামের ছেলে মো. নাজমুল হককে আটক করে পুলিশ ও স্থানীয়রা। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে আইন লঙ্ঘন করার দায়ে কয়েকটি ধারায় মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এসময় তার মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলের চালক আব্দুর রহিম পলাশ বলেন, স্বাভাবিক গতিতে টোল ঘর পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ করে উল্টোপথে তীব্র গতিতে বিপরীত দিক থেকে একটি মোটর সাইকেল এসে সরাসরি ধাক্কা দেয়। এসময় গাড়ি নিয়ে পড়ে যাই। হাতে ও গাড়ির সামনের দিকে আঘাত লেগেছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার ও নাজমুলকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ হাসান জানান, ঘটনাটি দেখে প্রথমে আমাদের ধারণা হয়েছিল, তার কাছে অবৈধ কিছু থাকার কারণে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরেকটি গাড়িতে ধাক্কা দেয়। কিন্তু পরে পুলিশ গাড়ি ও তার দেহ তল্লাশি করে কিছুই পায়নি।
নাজমুল হক বলেন, আমার গাড়ির কাগজপত্র সবই আছে। কিন্তু তা বাসায় রয়েছে। এমনকি সাথে হেলেমেটও ছিল না। তাই মামলার ভয়ে উল্টোপথে পালাতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট গাজিউল ইসলাম বলেন, বিকেল থেকে সেতু চত্বরে বিশেষ অভিযান চলছে। জনগণের জানমাল নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করছি। সে (নাজমুল) বলতে পারতো সমস্যা রয়েছে। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু তা না করে উল্টোপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে। এসময় তার কাছে হেলমেটসহ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবন ধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি ও বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর পর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না। কেননা, ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই সব কিছু নয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবে। এবং এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।
অনলাইন ডেস্ক :
আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৭ জন। মূলত ভারী বর্ষণের জেরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বাড়ির ছাদ ধসে পড়ার কারণে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। মূলত ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।
এদিকে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুদের অবস্থাও বিপর্যস্ত। প্রায় ২০০টি গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মুখপাত্র। এছাড়া প্রায় ৮০০ হেক্টর কৃষি জমি ও ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বন্যায় সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত পশ্চিম ফারাহ, হেরাত, কান্দাহার ও জাবুল প্রদেশ। দেশটির আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে, এখনই বিপর্যয় কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ প্রদেশে আগামী দিনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ৩৪টি প্রদেশের সিংহভাগই এই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ১১ নভেম্বর শনিবার। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের আজকের দিনে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মধ্য দিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তা সেজে কল করে কৌশলে ওটিপি জেনে নেয় ওরা। এরপর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হাতিয়ে নেয় অর্থ। এমন একটি প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অপরদিকে একই সংস্থার অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা সেজে কল্যাণ তহবিলের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত তিনজন। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এ অভিযান চালানো হয়।
সিআইডি ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতারকরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর ক্লোন করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা সেজে এজেন্টদের ফোন করে। নম্বরটিতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সমাধানের নামে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নেয়। এভাবে এক এজেন্টের ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এ ঘটনায় গত বছরের আগস্টে ঢাকার লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়। তদন্তে নেমে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
তারা হলো- মোস্তাক হাওলাদার, আবদুল হালিম ফরাজি, মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ওরফে কপাল ও সুজন শেখ।
অপর চক্রের সদস্যরা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদান পাওয়া কর্মচারীদের নামের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করত। এরপর সরকারি কর্মকর্তা সেজে ফোন করে বলত, অনুদানের টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলতে হবে। তাই এটিএম কার্ড থাকলে সেটির নম্বর জানাতে হবে। অনেকেই না বুঝে নম্বর দিয়ে দেন। পরে তারা ওই নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে সেটি জানতে চায়। আর ওটিপি পেলে সহজেই ভুক্তভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত তারা। এভাবে তারা ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত বছরের জুলাই মাসে রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে প্রতারণায় জড়িত হৃদয় মাতুব্বর হেলাল, তুহিন সরদার ও সজিব আকাশ।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারী কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।