চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নেতৃবৃন্দ আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিনের নিকট সৌজন্য সাক্ষাৎপূর্বক ৯ দফা দাবি পেশ করেন।
এ সময় তিনি আন্তরিকভাবে দাবিগুলো সমর্থন করেন এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পেশ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ, আন্দোলনের জেলা শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ আসাদুল করিম প্রমুখ। দাবিগুলো হলো-
১। ২০২১ সাল থেকে বন্ধ হওয়া পৌর এলাকার সম্মানিত ইমামগণকে ঈদুল ফিতরের পূর্বে দেওয়া সম্মানি ভাতা পুনরায় চালু করা।
২। উপর্যুক্ত সম্মানিত ভাতা কমপক্ষে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা।
৩। প্রকৃত রিকসা চালকদের লাইসেন্স প্রদান করা।
৪। একজনকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান না করা।
৫। পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত রিকসা ও অটোর ভাড়া কার্যকর করা। নিয়মিত মনিটরিং করা এবং অভিযান চালানো।
৬। ফুটপাত ও রাস্তায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা ও নিয়মিত অভিযান চালানো।
৭। হকারদের পুনর্বাসন করা।
৮। পৌরসভায় হেল্প ডেস্ক অতি আবশ্যকীয়। এর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৯। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিভাগে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানী বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা (বিরাসার-পাইকপাড়া) খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার পাইকপাড়া চকলেট ফ্যাক্টরীর সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস।
উদ্বোধনের পরপরই ভেকু নিয়ে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী, জামাল হোসেন, ওমর ফারুক জীবনসহ পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি-ঘরের ময়লা আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে।
এছাড়াও খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধ দখলবাজরা স্থাপনা নির্মাণ করে খালটি দখল করে রেখেছে। অতিমাত্রায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলায় খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়না । ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালটি পরিষ্কার করা হলে ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হবে। ফলে বৃষ্টি হলেও শহরে কোন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেনা।
এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত বলেন, পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর এলাকার সকল খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের বিরাসার থেকে পাাইকপাড়া তিতাস নদী পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ন এই খালটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। খালের পাশের রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। খালের যে ময়লা-আবর্জনা আমরা অপসারণ করছি তা ডাম্পিংনে নেওয়া হয়েছে। এই খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর টাউন খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবো। শুধু তাই নয়, পৌর এলাকায় যত পুকুর আছে সেইসব এলাকার কাউন্সিলরদের নিয়ে পুকুরগুলোও ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আশার পক্ষ থেকে ৪০০শত কম্বল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এই কম্বল হস্তান্তর করা হয়।
আশার পক্ষ থেকে আশার সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কম্বলগুলো হস্তান্তর করেন।
এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজক পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানানোর জন্য, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং বিভিন্ন উপজেলার সাবেক কমান্ডাদের যৌথ উদ্যোগে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল-১০ টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিরোধ যুদ্ধ সূচনা কারীদের অন্যতম ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের তৎকালীন সিপাহসালার সাবেক সেনা প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. জেনারেল হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক।
সমাবেশে সফল করার লক্ষ্যে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, হাজী রজব আলী, রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, আবদুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম ধনু, মোঃ ফসিউর রহমান হাসান, আবু হানিফ, মোঃ সহিদুল্লাহ, মতিউর রহমান, মোঃ ইসমত আলী, এড. আখতার হোসেন সাঈদ, এম ওয়াছেল সিদ্দিকী, মোঃ আবু হোরায়রাহ, মোঃ আনোয়ারুল হক, মোঃ রইছ মিয়া, জাকির হোসেন, ওমালেক ভূঁইয়া, মোঃ আ: সামাদ প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত আব্দুর রহমান (৫) সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের সুমন মোল্লার ছেলে ও একই এলাকার রহমত মিয়ার ছেলে আবদুল্লা (৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে পরিবারের সবাই ঘরে ছিলো। এ সময় শিশু আব্দুর রহমান ও আবদুল্লা বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলার এক পর্যায়ে শিশু দুইজন বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশু দুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে শিশুদের জুতা ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয়রা দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’’ মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের এক জরুরী প্রস্তুতি সভা আজ ১৩মে শনিবার সকাল ১০টায় রেড ক্রিসেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিটের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ¦ মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জায়েদুল হক ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নজরুল ইসলাম , শাহাজাদা, মাসুকুল কবীর, সালাউদ্দিন সরকার, ইউনিট লেবেল অফিসার পঙ্কজ সরকার, যুব রেড ক্রিসেন্টের পক্ষে ফাহিম মুনতাসির আফরিন আক্তার জুই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে সম্ভাব্য ঘূূর্ণিঝড় ‘‘মোখায়’’ ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরী সাহায্যে যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়। তাছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী তত্ত্বাবধানে জরুরী পরিস্তিতি মোকাবেলায় পচিশ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।