অনলাইন ডেস্ক :
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে একদিনেই ২৯২টি মামলা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। ঢাকা মহানগরীতে এসব মামলায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান এসব তথ্য জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার একদিনে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ২৯২টি মামলা ও ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
ওবায়দুর রহমান আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে ছয় লাখ নয় হাজার টাকা তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাবার ড্যাম ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লেগে ১৮৭ মণ ধানভর্তি একটি নৌকা তলিয়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ধানভর্তি নৌকাটি পানিতে ডুবে যাওয়ার ভিডিও ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর জিঞ্জিরাম নদীর রাবার ড্যাম ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী একই ইউনিয়নের আলগার চর গ্রাম থেকে ১৮৭ মণ ধান কিনে নৌকায় সায়দাবাদ ঘাটে যাচ্ছিলেন। পথে খেওয়ার চর এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর ওপর রাবার ড্যাম ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লাগে নৌকাটির। এ সময় পানির তীব্র স্রোতের কারণে ধানভর্তি নৌকাটির মাঝখানে ভেঙে তলিয়ে যায়। এতে ১৮৭ মণ ধান ও একটি শ্যালোমেশিনসহ নৌকাটি তলিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টার পর মাত্র চার মণ ধান উদ্ধার করেন। তবে এ দুর্ঘটনায় নৌকায় থাকা ৬ জন মাঝি বেঁচে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ধান ব্যবসায়ী নুর ইসলাম জানান, ধারদেনা করে কোনোমতে এই ব্যবসা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। হঠাৎ এই ক্ষতি হয়ে গেলো। আমি পথে বসে গেলাম।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, ধানভর্তি একটি নৌকা ব্রিজের পিলারে থাক্কা লেগে নদীতে ডুবে গেছে। ওই নৌকাটিতে আনুমানিক ১৯০ মণ ধান ছিল বলে জানতে পেরেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি প্রাইভেটকারে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পরই চালকসহ গাড়িতে থাকা দুই জন দ্রুত বেরিয়ে আসায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আজ ৭ মে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্মরত সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান জানান, হঠাৎ একটি প্রাইভেটকারে আগুন জ্বলতে দেখি। এ সময় পথচারীদের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুন লাগার পর চালকসহ দুইজন দ্রুত নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আগুন নেভানোর পর গাড়িটিকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান আশিকুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। চিন্ময়কে গ্রেফতার করার কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, পুলিশের একটি অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডিবি গ্রেফতার করেছে। যারা আবেদন করেছে, তাদের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হবে।
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, সোমবার বিকেলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিয়ে যায় ডিবি। তাঁর ঢাকা থেকে বিমানে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঢাকায় গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আদালতে হাজির করা হবে। এ মামলায় তিনিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন।
গত ৩১ অক্টোবর ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় করা এ মামলায় চিম্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে৷ ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওই দিন চন্দন কুমারসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ মামলার পর ইসকন প্রবর্তক ধাম অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি মামলাটি সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেন। ওই বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, আমাদের আন্দোলন ৫ আগস্টের পর সনাতনীদের ওপর চালানো হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে, এই আন্দোলন বর্তমান সরকার কিংবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।’
অনলাইন ডেস্ক :
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের রাজনীতি ছিল গুম-খুন ও প্রতিহিংসার এবং আলেম-উলামাকে জেল-জুলুম করার। এ কারণে ভারতে পালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মাটিতে তার ঠাঁই হয়নি।’
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৮টায় মাধবপুর স্টেডিয়ামে খেলাফত মজলিশ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় খেলাফত মজলিশের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
মামুনুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও দেশের সব শ্রেণির মানুষের আন্দোলনে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে। এটি বাংলাদেশের মুক্তির মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই চেতনাকে ধারণ করতে হবে। ১৯৭১ সালে ইসলামের কথা বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কাজ করেছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেছেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর দেশের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী দোসররা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু জনতা তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ইস্পাতকঠিন শপথ নিতে হবে। পাড়া-মহল্লায় সংগ্রামপরিষদ গঠন করতে হবে।’
মামুনুল হক বলেছেন, ‘ভারতের বানের পানিতে এ দেশের মানুষের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। ভারত এটি অন্যায় করেছে। বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য করতে দেওয়া হবে না। রবীন্দ্রনাথ ও ভারতের বাবুদের সংস্কৃতি এ দেশে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’
এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের রাজনীতি ছিল গুম-খুন ও প্রতিহিংসার। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা, নিরীহ মায়ের কোল খালি করা। আলেম-উলামাকে জেল-জুলুম করা। এ কারণে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাটিতে তার ঠাঁই হয়নি।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আর রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। শেখ মুজিব ’৭৪ সালে মানুষ হত্যা করে বাকশাল গঠন করায় ৭৫ সালে তাকে জীবন দিতে হয়েছে।’ তিনি সারা দেশের আলেম-উলামাকে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গা-রাজবাড়ি রেলপথের ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নওপাড়া মহল্লায় রেলের এক হাজার ছয়শত স্লিপারের ক্লিপ খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা আসার পথে ঘটনাস্থলের আগেই ট্রেনটি থামিয়ে দেন রেলওয়ে পুলিশ। ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান ট্রেনের যাত্রীরা।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাঙ্গার সাথে রাজবাড়ীর রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এর দুই ঘণ্টা পর রেল লাইনের স্লিপারের ক্লিপগুলি আবার স্থাপন করার পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় পুলিশ।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, রেললাইনের স্লিপারের এক হাজার ছয়শত ক্লিপ খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে রাজবাড়ী থেকে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অভিজ্ঞরা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক করে।
ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, ফরিদপুরের বাখুন্ডা ও পুখুরিয়া পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় নিয়মিতই ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারা হয়। মাঝে মাঝে যাত্রীরাও আহত হন। তবে এবারের ঘটনা সুপরিকল্পিতভাবে কোনও সংবদ্ধচক্র করে থাকতে পারে। এঘটনায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ওসি সোমনাথ বসু বলেন, ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মামলা হবে।খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।