চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আয়োজনে আগামী রবিবার বাদ যোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তমঞ্চে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার; দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা; সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রবর্তন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। উক্ত গণসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলা ও অধিকাংশ ইউনিয়নে যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক সফর করেছেন এবং অব্যাহত আছে। জেলার সর্বত্র পোস্টার, হ্যান্ডবিল, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের দ্বারা প্রচারণা চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ফ্ল্যাশিং প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী শনিবার প্রতিটি উপজেলায় দাওয়াতি মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গণসমাবেশ সর্বাত্মক সফল করার জন্য জেলাবাসীকে আহবান জানিয়েছেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, চীফ হুইপ ও চারবারের এমপি অ্যাড. হারুন আল রশিদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আইন কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তার মৌলভীপাড়া কার্যালয়ে ফুলের শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিব উল্লাহ, সহযোগী অধ্যক্ষ অ্যাড. সায়দুল্লাহ মৃধা, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. মো. আলমগীর, সহকারী অধ্যক্ষ অ্যাড. এ এস এম ইউনুছ ভূইয়া, অফিস সহকারী আক্তার হোসেন, অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন সুমন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত সবাই তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে হারুন আল রশিদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সবার প্রতি।
তিনি বলেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে আমার অর্পিত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। সবার ভালবাসায় মুগ্ধ আমি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করে দেবার প্রতিবাদে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে জেলা সিএনজি অটোরিকশা পরিবহন মালিক সমিতি।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিআরটিএ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
মালিক সমিতির নেতারা সাংবাদিকদের জানান, ২০২৩ সালে সরকারিভাবে জেলার প্রায় তিন হাজার সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা হয়। এরমধ্যে ২১০০ অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার পর কোনো ঘোষণা ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে সিএনজি চালকেরা সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এ সময় তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকৃত বাহনের রেজিস্ট্রেশন প্রদানের দাবি জানান। অন্যথায় অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন মালিক নেতারা।
এ বিষয়ে জেলা রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দালাল ও মালিক সমিতির একটি চক্র মালিকদের কাছ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। তাই এই কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। অচিরেই সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলীপের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আজ ১৯ আগস্ট সোমবার শহরের পৌর সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে জেলা আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলীপের সভাপতিত্বে এবং জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আরমান মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, যুগ্ম সম্পাদক রুমেলুর রহমান রুমেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মাসুদুর রহমান, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান জুয়েল, ওয়াহিদুর রহমান, পৌর যুবদলের আহবায়ক সজিবুর রহমান, ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনার পাশাপাশি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থ্যতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
মামলা করার পরদিনই মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শহরের কাজীপাড়া গোকর্ণ রোডের বাসিন্দা মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। এতে গত ৪ আগষ্ট শহরের মৌলভীপাড়া ও পৌর মুক্ত মঞ্চ এলাকায় সংগঠিত ঘটনার বিষয়ে দায়ের করা এই মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ২৪০জনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো এক-দেড়শো জনকে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট ১ থেকে ৫নং আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা তিনিসহ কয়েকজন সাক্ষীর উপর হামলা করেন। এতে তারা বেশ কয়েকজন আহত হন। এছাড়া আসামীরা ব্যাংক এশিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করে। আদালত মামলাটিকে নথিভুক্ত করতে সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামীদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, ডাক্তার আবু সায়ীদ, ডাক্তার ডিউক চৌধুরী, ব্যবসায়ী আশিষ পাল, পৈরতলার কাউসার মিয়া, মধ্যপাড়ার আল মামুন, রাধুনী হোটেলের মো: ফখরুল হাসান, কসবার গোপীনাথপুরের প্রিন্সিপাল আকরাম খান, সদরের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: মহসীন মিয়া, নাটাই উত্তরের আবু সায়ীদ চেয়ারম্যান, কালীসীমার শাহআলম চেয়ারম্যান, নাটাই দক্ষিণের সাবেক চেয়ারম্যান কদর আলম সিদ্দিকী, ইউপি সচিব মান্না চক্রবর্তী।
গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।
বাদী মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও এবিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজী হননি। বাদী পক্ষের একজন আইনজীবি জহিরুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহারের কারন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান-বাদী বলেছেন স্বাক্ষীদের ভুল তথ্য বা তার ভুল বুঝাবুঝির কারনে মামলা করেছিলাম। আমি মামলা চালাবোনা। প্রত্যাহার করে নিলাম।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় এক যাত্রী আহত হয়েছে। আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে জেলা শহরের পৈরতলা-পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ গামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সালাহউদ্দিন ফরহাদ জানান, বিকেলে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার আগ মূহুর্তে পৈরতলা-পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় রেল লাইনের দুই পাশ থেকে কে বা কারা পাথর ছোড়তে থাকে।
ট্রেনের ‘জ’ বগিতে থাকা সিলেটগামী অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক যাত্রী আহত হয়। পরে ট্রেনের যাত্রীরা ভয়ে ট্রেনের জানালা বন্ধ করতে থাকে। এসময় ট্রেনের গ্লাস ছিটকে পরে আরও কয়েক জন যাত্রী সামান্য আহত হয়। তবে নির্ধারিত যাত্রা বিরতি না থাকায় ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করেননি বলে জানান তিনি।
এ দিকে ট্রেনে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা আহত হয়েছে তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি। কারা হামলা করেছে এ বিষয়টিও নিশ্চিত নই। ট্রেনটি বিরতিহীন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ হাতেম আলী ভূইয়া জানান, আমরা জানতে পেরেছি পৈরতলা রেলক্রংসি এলাকায় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কারা হামলা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা এই হামলা করেছে। যারাই হামলা করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্ট করা হচ্ছে।