আখাউড়ায় এক প্রবাসীর বাড়িতে এসি লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হুজাইফা (২৫) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে পৌর শহরের খড়মপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হুজাইফা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. বুলবুল মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার খড়মপুর দক্ষিণপাড়ার প্রবাসী মো. জহির খাদেমের বাড়িতে এসি মিস্ত্রি হুজাইফা কাজ করতে যান। রুমের মধ্যে এসি লাগানোর পর এতে সংযোগ দিতে গেলে অসাবধানতাবশত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে খোঁজ নিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গরুর মাংসে পোকা সাদৃশ মাছির ডিম থাকার কারণে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ এবং হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের কারণেও জরিমানা করা হয়। আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারস্থ মাংসের বাজার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় মাংস বিক্রেতা মাইনুদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার পর মহেশপুর ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কারণে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ঢাকা হোটেল স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মাংস ক্রেতা মনির হোসেন জানান, শনিবার সকালে সড়ক বাজারের হানিফ মিয়ার দোকান থেকে আমি মাংস ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যাই। বাড়িতে গেলে আমার স্ত্রী বাজারের ব্যাগ থেকে মাংস খুলে দেখে মাংসের মধ্যে পোকা দেখা যায়। পরে এই বিষয়টি আমি আখাউড়া সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত চক্রবর্তীকে অবহিত করি। তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাংস ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছিলাম একজন ক্রেতা গরুর মাংস কিনেছে, মাংসের মধ্যে ছোট ছোট পোকা রয়েছে। পরে জানা গেল, এটা আসলে মাছির ডিম। আমরা দোকানে গিয়ে দেখলাম প্রচুর পরিমাণে বড় বড় মাছি মাংসের উপর বসছে। সেখানেও মাছির ডিম ছিলো। মূলত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য বিক্রি এবং টাকার বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য না দেওয়ার কারণে ভোক্তা অধিকার আইনের অধীনে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে মহেশপুর ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কারণে ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিজিবির অভিযানে ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা সীমান্ত এলাকা থেকে এসব ওষুধ জব্দ করা হয়। তবে এ সময় চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ. এম.জাবের বিন জব্বার জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গঙ্গাসাগর বিওপির টহল দল ২০২৪/৫ এস পিলারের ৫০০ গজ অভ্যন্তরে বাউতলা এলাকায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় চোরাকারবারিরা ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা বস্তাভর্তি ওষুধ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তা থেকে ১৪ হাজার পিস নাইমি সোলিড ট্যাবলেট ও এক লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ পিস সিনিকি জেড ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় হত্যা মামলার এক আসামীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মানিক কান্দি এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৫০)। তার পাসপোর্ট নম্বর ঊঋ ০০৮৯৪৬২।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ডেস্কে তার পাসপোর্ট জমা দিলে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করার সময় তার পাসপোর্টি ইমিগ্রেশন ডাটাবেইজে কালো দেখায়। এসময় ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানাযায়, তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিতাস থানায় একটি হত্যা মামাল হয়, সেই হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ দেওয়ান মোর্শেদুল হক জানান, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আটক স্বপনের পাসপোর্টটি ইমিগ্রেশন ডাটাবেইজে কালো তালিকাভুক্ত ছিল। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশেষ অভিযানে আলোচিত মোরছালিন ভূঁইয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে। তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানা পুলিশ এ তথ্য জানায়।
আখাউড়া থানার ওসি মো.নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে ধরখার হাইওয়ে রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ডেকে নিয়ে মোরছালিন ভূঁইয়াকে (২৬) হত্যা করা হয়। পরদিন রবিবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোরছালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল্লাহসহ অন্য আসামিরা গা-ঢাকা দেন।