চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কর্মসূচিতে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একুশের পদাবলি অনুষ্ঠান হয়েছে।
স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
প্রধান বক্তা ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক মাজহারুল করিম অভি, পথিক টিভির সিইও লিটন হোসেন জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল, সুর তাল সঙ্গীত নিকেতন এর পরিচালক দেবাশীষ দেবু, বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন, উপস্থাপক আবদুন মতিন শিপন।
হাবিবুর রহমান পারভেজ ও নুসরাত জাহান জেরিন সঞ্চালনায় আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আশরাফ পিকো, আল আমীন শাহীন, হাবিবুর রহমান পারভেজ, নুসরাত জাহান বুশরা, লিটন হোসেন জিহাদ, পাবলো চৌধুরী, নুসরাত জাহান জেরিন,উৎস সরকার, সিয়াম আরামিন, নাবিল আবদুল্লাহ, সাহেবর জিয়াসমিন তাপসী, ফাহমিদা আক্তার, প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাচী, প্রাচুর্য চৌধুরী, লাভিয়া জান্নাত, অঅপসানা, ইসমাত নাভিলা, সামিহা, মারজিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরগুনার তালতলীতে ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে বিসমিল্লাহ্ ড্রাগ হাউজের মালিক সাদিক মো. মামুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিদ দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিদ দত্ত জানান, ভেজাল ঔষধ সংরক্ষণ, বিভিন্ন ধরনের স্যাম্পল বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের কারণে বিসমিল্লাহ ড্রাগ হাউসের মালিক সাদিক মো. মামুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় আরও পাঁচ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ। তিনি আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশের কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনীর সালাম গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ লাইন্সের এক কল্যাণ সভায় মিলিত হন।
পরে বেলা ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কোনো ভুল করে থাকলে, তার জন্য করজোড়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
একই সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, তাঁদের কারও দায়িত্বকর্তব্যে অবহেলার কারণে তরুণ প্রজন্ম যদি তাঁদের ভুল বোঝে, ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে সে দোষে যেন তাঁরা শাস্তি পান। যেকোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে রাজি আছেন। কিন্তু তাঁদের ব্যর্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করা হলে তাঁরা কষ্ট পান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভুল না বুঝতে আহ্বান জানান।
সরকারের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যে দূরত্ব হয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের দোষ নেই। এটি আমাদের দোষ। এই দায় আমাদের, যারা আমরা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই ব্যর্থতা আমারও।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এটা কখনোই তাদের প্রতি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করতে হবে। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসনের পথ বেছে না নিয়ে আমরা যদি তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হই, স্নেহ–মমতা নিয়ে তাঁদের কাছে বসি, তাঁদের কথা শুনি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস, অবশ্যই এই ভুল–বোঝাবুঝির দূরত্ব দূর হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের সঙ্গে যে চেষ্টা করছে, তা সফল হবে না।’
শোকসভায় বক্তব্যের শুরুতে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আমাদের এই শোকসভা, আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করছি, উপস্থিত হয়েছি, যখন আমাদের এই বাংলাদেশ, শিশু, কিশোর, কিশোরী, আমাদের সন্তানেরা একটি আন্দোলনে আছে। যখন আমাদের সরকারের সঙ্গে এই ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেদের একটি ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে দেশে–বিদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে অশান্ত করা ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের যৌক্তিক কোটাবিরোধী আন্দোলন রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে করেছেন। তাঁদের এক মাস আন্দোলনে কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের কেউ তাঁদের কোনো জায়গায় কোনো আঘাত করেনি। তারাও কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। পুলিশ কোথাও শক্তি প্রয়োগ করেনি। কিন্তু মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে অশান্তির চেষ্টা করে বিএনপি–জামায়াত, ছাত্রদল–শিবির, জঙ্গি সন্ত্রাসীরা।
তবে সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘যে দূরত্ব ও ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আমাদের দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ঘর, প্রতিবেশী ও প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের চোখের ভাষা আমাদের বুঝতে হবে। তাঁদের মনের কথা বুঝতে হবে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক প্রাণহানি এবং দেশ টানা ৫ দিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় সরকারের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রীও সমালোচনার মুখে রয়েছেন। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করলেও তিনি বলেছেন, মহাখালীতে ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও ফাইবার কেবল কাটা পড়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তাহলে সে আমি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়ার দায় আমার। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য যদি কারও শাস্তি হয়, তাহলে আমার হওয়া উচিত। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হচ্ছে?’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসানোর জন্য কিছু মুখোশধারী, চক্রান্তকারী টিভিতে ভালো মিষ্টি কথা বলছেন। এ ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করতে সময় লাগবে।
গুজব প্রতিরোধ করতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যদি তিনি ব্যর্থ হন, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের সদস্যরা প্রতিমন্ত্রীকে দোষারোপ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত কতসংখ্যক শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন, তার তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
২৫ আগস্ট রবিবার অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমানের সই করা জরুরি চিঠিতে এ তথ্য জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদে কতজন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন, সে বিষয়ে সংযুক্ত পত্রের ছক মোতাবেক একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য আগামী ২৮ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে নিয়োগ শাখার ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
ই-মেইল ঠিকানাটি হলো-ad.recruitdpe@yahoo.com। এই ঠিকানায় এক্সেল ফরম্যাটে সফট কপি ও পিডিএফ কপি মেইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও বিভিন্ন অফিসে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে এক ঘণ্টার ‘কলম বিরতি’ পালন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। কলম বিরতি পালনকালে কর্মকর্তাগণ বলেন, উপসচিব পুল কোনো বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়।
সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অপকৌশল ও অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ রহিত করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এরূপ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে গভীর ষড়যন্ত্র ও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামান্তর।
এসময় কর্মকর্তাগণ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে যা মৌলিক অধিকার ও জুলাই-বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। যেহেতু প্রশাসন ক্যাডার নাগরিকদের কোনো অনগ্রসর অংশ নয়, সেহেতু উক্ত ক্যাডারের জন্য উপসচিব পুলে কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেরও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিষদ কলম বিরতি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ।