চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন এবং পেশাদার সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা রোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়।
৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহবায়ক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সদস্য সচিব সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন।
সদস্যরা হলেন সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও প্রেসক্লাবের সদস্য জালাল উদ্দিন রুমি।
কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা বিষয়ে প্রেসক্লাবে অভিযোগ বুথ খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
এতে জেলার ভুক্তভোগীরা লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে পারবেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাবকে এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে পুরো জেলায় ভুয়া সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, অপসাংবাদিকতার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পেশাদারিত্ব, সৎ নির্ভীক সাংবাদিকতার লক্ষ্যে, সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে সভায় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আরজুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কমিটির সদস্য সচিব আল আমীন শাহীন, সদস্য সৈয়দ মোঃ আকরাম, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও জালাল উদ্দিন রুমি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী, তিতাস ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বেতার এবং টেলিভিশন শিল্পী সেহেলি মাসুদ এর মৃত্যুতে শোকাহত শিল্পী বৃন্দের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন সোহেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক পিযুষ কান্তি আচার্য্য, গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, গীতিকার ইব্রাহিম খান সাদাত, সাগর মিউজিক প্লাস এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ সাগর বৈশাখী শিল্পিী গোষ্ঠীর সভাপতি রঙ্গধনু স্টুডিওর সত্বাধিকারী শিল্পী দেবাশীষ দেবু, শ্যামা কাউসার, কণ্ঠ শিল্পী সেলিম রেজা,শিল্পী আলমগীর পলাশ, জেসমিন জাহান, গীতিকার নুসরাত জাহান জেরিন, পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পী এমিল মোরসালিন, অ্যাড. দিলশাদ আরা, সঙ্গীত প্রশিক্ষক মণিকা আচার্য্য, বায়োজিদ বোস্তামি, সাথী ইসলাম, উর্মিলা প্রিয়া, সৈয়দ মারুফ, তাহজীব আহমেদ চৌধুরী, অমিত সহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শোকাহত শিল্পী বৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী সেহেলি মাসুদ মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন উনার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তিনি মাতৃসুলভ আচরণে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
’পর্যটন পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়েছে ।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা , মুক্তিযোদ্ধা , শিক্ষক , সাংবাদিক ,এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্মের পর শিশুদের ধাপে ধাপে দেওয়া সম্প্রসারিত টিকা দান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা গত এক মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোথাও নেই। ফলে কেন্দ্র এসেও সন্তানদের নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন মায়েরা। একাধিকবার এসেও টিকা না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ইপিআই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধযোগ্য বিভিন্ন ধাপে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা। সময়সূচি অনুযায়ী টিকা না নিলে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে না।
শিশু জন্মের পর প্রথম বিসিজি টিকা দিতে হয়। বয়স ছয় সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। একই সময় পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হয়। কমপক্ষে চার সপ্তাহর ব্যবধানে এ সব টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দিতে হয়। শিশুর ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৫ মাস হলেই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত একমাস ধরে বিসিজি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুত নেই। ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকাগুলো দেওয়া যাচ্ছে না।
গত শনিবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ইপিআই টিকা কেন্দ্রে স্টাফরা অলস সময় পার করছেন। মাঝে মধ্যে বিসিজি টিকা দিতে নবজাতকদের নিয়ে মায়েরা আসছেন। তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে টিকাগুলো দিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
টিকার জন্য সন্তানকে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন আসমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চার তৃতীয় ধাপের টিকা দেওয়ার সময় ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আসার পর জানানো হয়েছিল টিকা নেই। কয়েকদিন পর আসবে। আজকে আসার পর টিকা কেন্দ্র থেকে একই কথা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
নাজনীন বেগম নামের আরেক নারী বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রথম টিকা দিয়েছিলাম ২৮দিনের মাথায়। আজকে ছিল দ্বিতীয় ডোজের তারিখ। কিন্তু টিকা না থাকায় পরে আসতে বলেছে।’
এ বিষয়ে জেলার ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একবছরে ৯১ হাজার শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রতি তিন মাস পর পর টিকা পাঠানো হয়। এতদিন ঢাকাতেই টিকা ছিল না। আমরা কিছুদিনের মধ্যে টিকা পেয়ে যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, টিকার জন্য আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে, চেষ্টা করে যাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মো: ওয়ালিউল্লাহ নিবিড় (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিবিড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল এলাকার আমান মিয়ার ছেলে। সে শহরের ইউনাইটেড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো।
রেলওয়ে পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের স্বজনেরা জানান, রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের দরজায় বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসছিলেন নিবিড়। ট্রেনটি স্টেশনের ফ্লাটর্ফমে প্রবেশ করার সময় ফ্ল্যাটফর্মের দেয়ালে ধাক্কা লেগে ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে যায় সে। পরে স্টেশনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবারের অনআপত্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।