চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় চার হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ রুবেল ভূইয়া (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার তুলাই শিমুল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রুবেল ভূইয়া উপজেলার মিনারকোট গ্রামের লিটন ভূঁইয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকাল নয়টার দিকে তুলাই শিমুল গ্রামের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে চার হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রুবেল ভূইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগেও তিনটি মাদকের মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিয়ে, গায়ে হলুদ, পুজা, খেলা-ধুলা বা মিছিলে বাদ্য বাজানোর জন্য ডাক পরে তাদের। কাঁধে ঢোল ঝুলিয়ে দু’হাতে ঢাকে কাঠির বারি দিয়ে ছন্দের আওয়াজ তুলেন। সেই ছন্দে মানুষ নেচে গেয়ে আনন্দ করে। মানুষকে আনন্দ দিয়েই চলে ঢুলিদের সংসার। পুজা এলেই কদর বাড়ে তাদের। ঢাকের বাদ্য ছাড়া পুজার আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ। তাই আসছে দুর্গাপুজায় বাদ্য বাজানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের করুয়াতলী ঋষিদাস পাড়ার ঢুলিরা। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা।
সোমবার দুপুরে ঋষি পাড়ায় ঢুকতেই কানে আসে ঢোলের আওয়াজ টেম-টে টেটেম..টেম.। সেই আওয়াজের ছন্দে শিহরণ জাগায়। মনে করিয়ে দেয় পুজা আসছে। উঠানে গিয়ে দেখা যায় বাদ্যযন্ত্র পরখ করে নিচ্ছেন ঢুলিরা। কেউ বা আঙ্গুলের আলতো ঁেছায়ায় ঢোলে তাল তুলছেন। তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক।
ঢুলিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য ঢাক-ঢোল বাদ্য-বাজনার পেশা ধরে রেখেছে ঋষিদাস পাড়ার ৫/৬টি পরিবার। বিয়ে-গায়ে হলুদ, পুজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। তাছাড়া ঢাক-ঢোল মেরামত আর মাঝে মধ্যে বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করেও কিছু আয় হয়। তা দিয়েই চলে সংসার। তবে তাদের ভাষ্য, দিন দিন আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। তবু বাপ-দাদার পেশা বলে আকড়ে ধরে রেখেছেন।
ঢুলির সর্দার বিশাম্বর ঋসি প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ডোল বাজাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা ঢুলি ছিলেন। ১০/১২ বছর বয়স থেকে বাবার সাথে ঢোল বাজাতে বিভিন্ন জায়গায় যেতাম। এভাবেই ঢোল বাজানো শিখি। শখ থেকেই ঢোল বাজানো পেশা হয়ে গেছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি বাবার পেশা ধরে রেখেছি। প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ঢোল বাজানোর সাথে জড়িত আছি। ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। তিন ছেলে আছে তারাও আমার সাথে বাজনা বাজায়।
তিনি আরও বলেন, বছরের অন্য সময় বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে বাদ্য বাজনার ডাক পরে। বছরের ২০/২৫টি অনুষ্ঠান করতে পারি। তবে পুজার সময় কাজের চাপ বাড়ে। এবার দুর্গাপুজায় ৪টি মন্ডপে কাজ পেয়েছি। একটি মন্ডপে ১০/১২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। লোকজনকে দিয়ে নিজের কিছু থাকে। বাপ-দাদা এ পেশায় ছিল। আমিও করছি। আমার ছেলেরাও করবে। তিনি বলেন আয় রোজগারের পাশাপাশি, ভক্ত-বৃন্দ আনন্দ পায় এটাই আমাদের আনন্দ।
কথা হয় রাখাল ঋসির সাথে। তিনি বলেন, ৬৫ বছর বয়স হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই ঢাক-ডোল বাজাই। পুজার সময় রোজগার বেশি হয়। তাই সারা বছর পুজার জন্য অপেক্ষা করি। ঢাক বাজাতে বিভিন্ন জেলাতে চলে যাই। পুজাতে ঢাক বাজিয়ে বেশি আনন্দ পাই। তিনি আরও বলেন, বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে ২/৩ হাজার টাকা পাওয়া যাই। এভাবেই আমাদের সংসার চলে। বয়স হয়েছে। জানি না আর কত দিন ঢোল বাজানোর কাজ করতে পারবো। আখাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ^জিত পাল বাবু বলেন, পুজার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার। এটি আদিকাল থেকেই ছিল। এখনও আছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আয়ের স্বল্পতার কারণে অনেকেই এ পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ঋষিদাস পাড়ার কয়েকটি পরিবার পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে কোন রকমে টিকে আছে। আশা করি, সরকারসহ স্থানীয়রা তাদের প্রতি নজর দিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৪ জুন বুধবার দুপুরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি উদযাপনে আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন, বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং আগরতলা স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও বিএসএফ সদস্যদের ফুল-মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলামসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গায়ে কাঁটাযুক্ত এই ফল দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। এটি বিদেশী ফল রামবুটান।
আখাউড়ায় প্রথম বারের মত রামবুটান চাষ করে সফল হয়েছেন প্রবাস ফেরত রাজু আহমেদ মোল্লা। তিনি আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম নাছির মোল্লার পুত্র। কৃষি কাজে রাজু মোল্লার খুবই আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ৮০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে কাঁঠাল, লিচু, বড়ই, লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।
এদিকে রাজু মোল্লার রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে ভীড় করেন। রাজু মোল্লার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে চাঁনপুর গ্রামে রাজু মোল্লার ফুলকলি গার্ডেন গাউসে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার পাতার ফাঁেক চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকাড়ে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশেও বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফল পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
চাষী রাজু আহমেদ মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মজীবন কাটিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি পরিবারের প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসি। দেশে এসেই হঠাৎ করে বেকার হয়ে পড়ি। তারপর কৃষিকাজটা মন থেকে বেছে নিলাম। হালাল পথে আয়-রোজগার করার এটা ভালো পথ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন জায়গা যেন অনাবাদি না থাকে। তাই আমি প্রতিটি জায়গায় কৃষি এবং ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি। এটা করতে আমার ভালো লাগে। কৃষিকাজ-গাছের যত্ন করে আমার সময় কেটে যায়। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি ফল বিক্রি করে ভালো আয় হয়। আল্লাহর রহমতে আমি মোটামুটি স্বাবলম্বী এবং ভালো আছি।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে একটি রামবুটান ফলের চারা নিয়ে এসেছিলাম। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় চারাটি রোপন করে যাই। ৬/৭ বছর পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক বছর অল্প পরিমাণে ফল আসতো। নিজেরাও খেয়েছি। কিছু আত্মীয় স্বজনকে দিয়েছি।
এবছর প্রায় এক মন ফল এসেছে। ৩০-৩৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাম্বুটান ফল চাষ করতে বাড়তি কোন পরিশ্রম করতে হয় না। লিচু গাছের মতই চারা রোপন করে দিলে আস্তে গাছ বড় হয়ে যায়। স্বাভাবিক যতœ নিলেই হয়। তবে এ গাছের শত্রু বাদুড়, ইঁদুর ও পাখি। এ জন্য গাছে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হয়।
আখাউড়া সড়ক বাজারের ফল বিক্রেতা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, রামবুটান ফলটি আখাউড়ায় কেউ বিক্রি করেনা। তবে ঢাকায় পাওয়া যায়। শুনেছি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, রামবুটান ফলটি লিচু পরিবারের। এটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ও ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে বেশি জন্মে। ফলটির খোসায় হালকা চুলের মতো আবরণে ঢাকা। ফলটির ভেতরে লিচুর মতো শ্বাস থাকে। খেতে সুস্বাদু ও মুখরোচক এবং রয়েছে ঔষধি গুণও। আখাউড়া উপজেলার পাহাড়ী এলাকা রামবুটান চাষের জন্য উপযোগি।
বিশেষ করে যেখানে লিচু, কাঠাল ফল হয় সেখানে রামবুটান ভালো চাষ হবে। তিনি বলেন, চাষী রাজু মোল্লাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ ফল চাষ আখাউড়ায় আরও সম্প্রসারিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষক হলো শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন। এসময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম মঙ্গলবার সকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন।
এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক রাগান্বিত হয়ে শরীর চর্চা শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
যতোদিন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলেন জেলা প্রশাসক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ডিসি স্যার যে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন বিষয়টি আমি জানি না। স্যার তো শোকজ করতেই পারেন।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডিসি স্যার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় ওই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারায় তার বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় দিগন্ত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় সাইমন (৫) নামে একটি শিশু নিহত হয়েছে।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার ছতুরা শরীফ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইমন উপজেলার ছতুরা শরীফ গ্রামের উত্তর পাড়ার ইউনুস মিয়ার ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, সাইমন সকালে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় কসবার কুটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলীগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস শিশুটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতক বাসটি জব্দ করে থানায় নেয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়৷