চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আদ্রা এলাকা থেকে একটি পিকআপভ্যানসহ এই মাছ জব্দ করা হয়।
এ সময় পাচারে অভিযুক্ত সারোয়ার আলম (২৭) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
আটককৃত সারোয়ার আলম উপজেলার আদ্রা গ্রামের শহিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আদ্রা নামক গ্রামের ভেতর দিয়ে একটি পিকআপভ্যানে করে ইলিশ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১২ বীর’র ক্যাপ্টেন সানিউল আলম। এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেন সানিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে পিকআপে করে ইলিশ নিয়ে যাচ্ছে একটি চোরাই চক্র।এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভর্তি ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে পাচারকারীকে খুঁজে বের করে আটক করা হয়।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কসবার ইউএনও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার জানান, সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ৫০ কেজি ইলিশ, একটি পিকআপভ্যান জব্দ ও একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে কসবা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৯ কেজি গাঁজাসহ মোঃ শফিক (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ শফিক কসবা উপজেলার শাহপুর (রাজাপুর) এলাকার মোর্তুজ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে গোপীনাথপুর বাজারের দক্ষিন পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সাথে থাকা বস্তা তল্লাশী করে ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্যের আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় একটি জমির বিদ্যুতের খুঁটির পাশে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এ সময় মাটির নিচ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বের হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-কুটি চৌমুহনী সড়কের বিশারাবাড়ী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়।
উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আজহায় ওই গ্রামে জবাইকৃত প্রায় শতাধিক পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে এলাকাবাসী ওই চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলেন।
ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পুঁতে রাখা পশুর চামড়া পচে বায়োগ্যাস সৃষ্টি হয়ে বুদবুদ আকারে উদগীরণ হতে থাকে। কোনো কারণে আগুনের সংস্পর্শে আসায় এই ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোরবানীর পশুর চামড়া পচে গ্যাস সৃষ্টি হওয়ায় বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কসবা প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত। তাই এ বিষয়ে সালদা ও বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আগুনের ঘটনা পশুর চামড়া পচে নাকি প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে হয়েছে তা যাচাই বাছাই করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-কসবা উপজেলার দরুইল গ্রামের মো. আনোয়ার (৩৮) ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের আলফু মিয়া (৪৮)।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে পুলিশের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর টিয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে, একই রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পাচারের সময় ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কামাল মিয়া (৪০), মোঃ আলমগীর মিয়া (১৯) ও কবির হোসেন ওরফে ফালান (৪২)। তাদের কসবার বাড়ি কসবা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপর এলাকায় একটি যাত্রীবাহি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
পরে তাদের থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৪ বোতল বিয়ার, ৪ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৪ কেজি গাঁজাসহ তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রাম ও দুপুরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রাম ও বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার সাগরতলা গ্রামের কাউছার মিয়া (১৯), যশোর জেলার সদর উপজেলার নলিতাদহ গ্রামের ইলিয়াস হোসেন (৩৫) ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের মোঃ আশিক (২৩)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাগরতলা গ্রামের ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ বোতল বিয়ার এবং ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব মাদকদ্রব্য ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে স্টীলের আলমারী ও রান্নাঘরের মাটির নিচে লুকানো ছিলো।
অপর দিকে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের লক্ষীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা আটক করা হয়। পরে অটোরিকসায় তল্লাশী চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একইদিন বিকেলে উপজেলার কৈখলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২টি বস্তায় ভর্তি ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।