চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৭৩তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। সর্ব সাধারনের জীবন-যাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইষ্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই এফসিএস।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, মাইটিভি ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আওয়াল, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঋণ বিতরণের পূর্বে এম নাসিমুল হাই এফসিএস বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সাহেব অসহায় অস্বচ্ছল মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। প্রকল্প শুরুর হওয়ার পর থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ধারাবাহিকভাবে মানুষের কল্যাণে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করছে।
নদী এলাকা বাঞ্ছারামপুরের মানুষ গুলো ঋণ গ্রহণ করে, যেভাবে বিনিয়োগ করছে তারা বেশিদিন আর অস্বচ্ছল থাকবে না। তাদের স্বচ্ছল করে তোলাই গ্রুপের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে ঋণ বিতরণের পূর্বে ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণসহ গরীব অসহায় লোকদের মাঝে ওষুধসহ স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করছে। যাতে অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না যায় এবং উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে। গরীব মেয়েদের মাঝে প্রশিক্ষণসহ সেলাই মেশিন বিতরণ করে।
বসুন্ধরা গ্রুপ এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে করে তৃণমূল মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে পারে। বসুন্ধরা গ্রুপ চাচ্ছে গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ গুলোর অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দিতে।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের টাকা কোনো প্রকার অবৈধ কাজে বিনিয়োগ করা যাবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্লান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
দেশে মহামারি, বন্যাসহ অস্থিতিশীল পরিবেশে বসুন্ধরা সরাসরি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সারা বাংলার বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মাঝে।
আজ ৪৮১ জন উপকারভোগীর মাঝে ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথমবারে ৫৬ জনকে ১৫ হাজার টাক করে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দ্বিতীয়বারে ৩০৭জনকে ১৫ হাজার টাকা করে ৪৬ লাখ ৫ হাজার এবং তৃতীয়বারে ১১৮ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এই ঋণ শুধুমাত্র নারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় যা দিয়ে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল এবং শাক-সবজি চাষসহ ৩২ প্রকার কাজে মহিলারা এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে খুবই উপকার পাচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এর সরাসরি তত্ত্বাধানে নিয়মিত ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের পরিধি প্রথম দিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পাশ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে।
মিরপুর গ্রামের রোহেলা বেগম (৩০) বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। বসুন্ধরার টেহা নিয়া হাঁস-মুরগি পাইলা অনেক লাভবান হইছি। এখন খাওয়া দাওয়ার কোন সমস্যা নাই। আল্লাহ কাছে দোয়া করি বসুন্ধরারা যেন ভালো থাকে।’
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইটভাটার পুরোনো ইট ও মাটি ফেলে মেঘনা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামের খেয়াঘাট এলাকার এম এইচ কে ইটভাটার লোকজন কয়েক বছর ধরে নদীটি ভরাট করছে। এ কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে এই ভরাট কাজ চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে এক সময় মেঘনা নদীর প্রবাহ ছিল। কালের বিবর্তনে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নদীটি অন্যদিকে চলে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় মেঘনার গতিপথ সংকুচিত হলেও দশানী এলাকায় ৪০০-৫০০ ফুট চওড়া রয়ে গেছে। এই নদী দিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে নদী পথে দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিদিন শত শত নৌযান চলাচল করছে।
সরেজমিন দশানী গ্রামের পশ্চিম-উওর প্রান্তে বাজার-সংলগ্ন ইটভাটা এলাকায় দেখা গেছে, এম এইচ কে এই ভাটা-সংলগ্ন মেঘনা নদীর প্রায় কয়েক বিঘা নিচু জায়গায় পুরোনো ইট ও মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। ভরাট করা জায়গায় বিক্রির জন্য নতুন ইট রাখা হয়েছে। কয়েকটি নৌকা থেকে মাটি তুলে এখানে রাখা হচ্ছে। দখল করা জায়গায় ভাটার শ্রমিকদের থাকার জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইটভাটার শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘ইটভাটার বাতিল ইট দিয়া জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই একটু একটু কইরা ভরাট করা হচ্ছে।’
দশানী গ্রামের কালন মিয়া বলেন, ‘হুমায়ুন চেয়ারম্যান ইট-মাটি ফালাইয়া গাং (নদী) ভইরা ফালাইছে। চার-পাঁচ বছর ধইরা হেরা নদীডা ভরতাছে। হেরার জোর বেশি হের লাইগা কেউ কিছু কইতে চায় না।’
কৃষক ইদ্রিছ আলীর ভাষ্য, যেভাবে ইট, মাটি ফেলে নদী ভরাট করছে কয়দিন পরে নদীর অর্ধেক পর্যন্ত ভরাট হয়ে যাবে। ২-৩ কানি (বিঘা) জায়গা ভরাট করে ফেলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় এম এইচ কে ইটভাটার ম্যানেজার মোতালিব হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি এই ভাটায় চাকরি করছি ১০ বছর হলো। অনেক আগে থেকে নদীর পাশে পুরাতন ইট ফেলা হচ্ছে, ইট বানানোর মাটিও রাখা হচ্ছে নদীর তীরে। জায়গা না থাকায় নদীর তীরে মাটি ও পুরাতন ইট রাখতে হয়।’
এম এইচ কে ইটভাটার স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির জানান, নদী দখল করেছেন বলে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন ইউএনও। এগুলো তাঁর নিজের জমি, তাই ইট ও মাটি রাখছেন।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, ‘ইট ফেলে নদী ভরাট করা হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, কিছু দিন আগে ইটভাটার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখে মনে হয়েছে নদী ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি দেখতে নায়েবকে পাঠানো হবে। তাঁকে নদী ভরাট বন্ধ করতে নিষেধ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আশিক মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি এলাকায় কবর সংলগ্ন পুকুর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশিক মিয়া উপজেলার কলাকান্দি ২নং ওয়ার্ডের আফজাল মিয়ার বড় ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে আশিক জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
পরিবারের লোকজন রাতে ও গতকাল সকালে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি।
সকালে পুকুরের পানিতে আশিকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরন করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মহিউদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে কোন এক সময় তাকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। এসময় তারা অটোরিক্সাটি নিয়ে যায়। আমরা খুনীদের সনাক্ত করতে কাজ করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। টানা ৩৮ বছর ধরে এই আসনে নৌকার মাঝি তিনি। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যিনি টানা ৩৮ বছর ধরে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম ১৯৮৬ সাল প্রথম নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মনোনীত হন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘদিন।
তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগ মানে ক্যাপ্টেন তাজুল। তার বিকল্প এখনো বাঞ্ছারামপুরে নেই। তার নেতৃত্বে বাঞ্ছারামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, আমি বাঞ্ছারামপুরের মানুষের জন্য কাজ করি। আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান। মানুষের সুখ-দুঃখ বুঝি। বাঞ্ছারামপুরে যা উন্নয়ন দরকার সেটা আমি করার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জাতির জনক সারাজীবন বাঙ্গালীর অধিকার আদায় ও সেবার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। লক্ষ্য ছিল বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলার মাটিতে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন তার বিকল্প আর বাংলাদেশে কেউ-ই হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় জনগণ ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সুযোগ করে দেবেন। জনগণই আমার শক্তি, আমি জনগণের সেবক।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমির, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।