চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের শিবপুরে সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ ডিগ্রি কলেজে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক (বাংলা) মোহসিন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আরিফুল ইসলাম ভূইয়া টিপু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সুবোধ চন্দ্র চৌধুরী, মো. আশরাফ হোসেন আকছির, মো. সোহরাওয়াদ্দিন চৌধুরী, যুবায়েরুল হক মৃধা, মো. মাইনুদ্দিন, মো. মোখলেছুর রহমান , মো. মোহসীন সরকার, মো. আনেয়ার হোসেন, রাজিয়া বেগম, স্বপন চন্দ্র চৌধুরী, মো.মোসলেম উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবির ও সহকারী প্রধান শিক্ষক (অব.) খবির উদ্দিন প্রমুখ।
সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলায় তাদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে বিজয় হওয়ার গৌরব অর্জন করায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গ্যাসের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার ডিলার সহ বিভিন্ন দোকান ও হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান। এতে সহযোগিতা করেন নবীনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সঙ্গীয় ফোর্স।
জানা যায়, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ হাজার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করায় ২টি হোটেল ও ১ টি রেস্টুরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা সহ গ্যাস সিলিন্ডার ডিলারের গোডাউনে বাজারদরে রশিদের মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া হেমলেট বিহীন মোটর সাইকেল চালানো সময় দুইজন মোটর সাইকেল চালককে সড়ক পরিবহন মোটরযান আইনে ৪ শত টাকা সহ সর্বমোট ২০ হাজার ৪ শত টাকা অর্থদন্ড করে।
এ বিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ডিলারদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে রশিদ বিহীন বাজারদরের অধিক মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, জনস্বার্থে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী আনিকা আক্তারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রবিবার বিকেলে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থী আনিকার পড়াশুনা চালানোর জন্য তার হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
আনিকা আক্তার জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং গ্রামের কাজীমাবাদ শালকান্দি গ্রামের প্রয়াত মোঃ ফারুকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে।
আনিকা আক্তার যখন ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী তখন তার বাবা ফারুকুল ইসলাম মারা যান।এরপর দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে আনিকার পড়াশুনা চালিয়ে যান মা আয়েশা খাতুন।
অভাব অনটনের কারণে আনিকার বই কেনা, বিদ্যালয়ের বেতন, পরীক্ষার ফি ও ফরম পূরণের টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা ছিলোনা মা আয়েশা খাতুনের। অনেক কষ্ট করে এসব টাকা পয়সা যোগাড় করতে হয়েছে আয়েশা খাতুনকে।
তবে কোনো কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সংগ্রামী আনিকার। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নবীনগর উপজেলার ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে আনিকা। পরে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে এইচএসসি পর্যায়ের পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম তাকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কৃতি শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু এই শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, তাই সেখানে পড়াশোনার খরচ তেমন হবে না। নিয়মিত ক্লাশে উপস্থিত থাকলে এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে এই শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করতে পারবে। তিনি এই শিক্ষার্থী ও তার মাকে সহায়তা ববাদ দেয়া টাকা পড়াশোনার জন্য খরচের পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে আনিকা বলেন, বাবার আদর স্নেহ পেলেও সে কথা মনে নেই। মা আমার সব। এক চাচি পরীক্ষার ফি যোগাড় করে দিতেন। বই কেনাসহ অন্যান্য টাকা মামা দিতেন। বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না বলে সৌদি আরব প্রবাসী মামা আমজাদ হোসেনের বাড়িতে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব সংকর দাস বিদ্যালয়ের বেতন ও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ফি মওকুফ করিয়েছেন। শিক্ষকরা বিনা টাকা পড়িয়েছেন। আনিকা বলেন, সহায়তা পেয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হোস্টেলে একটি সীট পেলেই হয়। প্রয়োজনে টিউশনি করব, তবুুও পড়াশোনা চালিয়ে যাব।
আনিকার মা আয়েশা খাতুন বলেন, মেয়ের বাবা বেঁচে নেই। আমার আয়ের কোনা উৎস নেই। সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি চাই মেয়ে পড়াশোনা করে সামনে এগিয়ে যাক।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শহিদ ‘সুজয়’-এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সম্মতিক্রমে বিটঘর পুকুরপাড়ের তিন রাস্তার মোড়কে ‘শহিদ সুজয় চত্বর’ নামকরণ ও তার পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সুজয় বিটঘর ইউনিয়নের একমাত্র শহিদ। জাতির দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিনে বিজয় উদযাপনের সময় স্বৈরাচার সরকার তাকে পুড়িয়ে মারে। নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের তরুণ টগবগে যুবক তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা যায়।
সুজয় ছিলেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সরব। সরকার পতনের ঠিক আগের দিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন; যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। পোস্টে সুজয় স্বৈরশাসককে উদ্দেশ করে লিখেন- ‘আমি বেঁচে থাকলে বীর, মরলে শহিদ। তুই বাঁচলে টোকাই মরলে আলহামদুলিল্লাহ। হিসাবটা মিলা’।
সুজয়ের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে এই সরকারের দুঃশাসনের বিপক্ষে সবসময় সরব ছিল। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেয়। সরকারের পতন ঘটলে সবার সঙ্গে আমার ছেলেও আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে রাস্তায় নামলে সাভার থানায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি পুলিশের পোশাক পরে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকেসহ ১১ জনকে একটি কাভার্ডভ্যানে তুলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে সবারই মৃত্যু হয়।
সুজয়ের বাবা ছোটখাটো একটি ব্যবসা করতেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা এখন পরিবারের ভবিষ্যত কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।
শহিদ সুজয়ের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার প্রত্যয়ে বিটঘর ইউনিয়ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাউচাইল গ্রামে আজ ৩০ মে বৃহষ্পতিবার সকালে আম পারতে গিয়ে আম গাছ থেকে সাইফুল ইসলাম (৬০) নামের একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে।
নিহতের মেয়ে ইভা আক্তার বলেন, আজ সকালে বাবা আম পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন। দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেরুনেছা বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি আম গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে। তাকে হাসপাতালে আনার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।