চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের শিবপুরে সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ ডিগ্রি কলেজে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক (বাংলা) মোহসিন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আরিফুল ইসলাম ভূইয়া টিপু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সুবোধ চন্দ্র চৌধুরী, মো. আশরাফ হোসেন আকছির, মো. সোহরাওয়াদ্দিন চৌধুরী, যুবায়েরুল হক মৃধা, মো. মাইনুদ্দিন, মো. মোখলেছুর রহমান , মো. মোহসীন সরকার, মো. আনেয়ার হোসেন, রাজিয়া বেগম, স্বপন চন্দ্র চৌধুরী, মো.মোসলেম উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবির ও সহকারী প্রধান শিক্ষক (অব.) খবির উদ্দিন প্রমুখ।
সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলায় তাদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে বিজয় হওয়ার গৌরব অর্জন করায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল ২৮ জুলাই রোববার সকালে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার বসতঘর থেকে তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত বেগম (২৫), কন্যা ফাহিমা আক্তার (৪) ও সাদিয়া আক্তার(২)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শোকের ছায়া নেমেছে পুরো নবীনগরে। সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র এই একটি পরিবার কীভাবে শেষ হয়ে গেলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের ধারণা স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ। তবে পরিবার ও প্রতিবেশীরা সেটি মানতে নারাজ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর নিউ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে বিজয় পাড়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের বাইরে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফেরেন। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ মিয়া। রোববার সকালে তারা ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাদের সবার মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার মরদেহ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাত ও অপর কন্যার মরদেহ খাটে পড়ে ছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরে বা আর্থিক লেনদেনের কারণে সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা শেষে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছেন সোহাগ অত্যন্ত বিশ্বস্ত একটি ছেলে ছিলেন। তিনি একটি মসজিদের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। তার কাছে টাকা-পয়সা জমা থাকতো। এছাড়াও একটি সমিতির মতো করে আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব ছিল তার কাছে। আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের সঙ্গেই লেনদেন ছিল তার। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে তিনি লেনদেন নিয়ে ইদানিং চাপে ছিলেন। কিন্তু এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পারিবারিক অশান্তির কারণেও আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচিন চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পিবিআইয়ের একটি টিম। যেহেতু মরদেহ যে ঘরে ছিল তা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল, তাই কেউ হত্যা করে ভিন্ন উপায়ে দরজা-জানালা লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে কিনা এসব খতিয়ে দেখছেন তারা। কিন্তু তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা যায় সোহাগ তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, সোহাগের বড় কোনো লেনদেন ছিল না, যার কারণে সে আত্মহত্যা করবে। সোহাগের স্ত্রী জান্নাতের বড় বোন তাসলিমা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি পাশাপাশি। সোহাগ অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। আমার বোনের সঙ্গে কোনোদিন দেখিনি ঝগড়া বা বকাবকি করতে। তার ব্যবসায়িক কারণে লেনদেন করায় অল্প ঋণ ছিল। তা একেবারে কম। এছাড়া তার সৎ মা এক লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করবে বলে বিশ্বাস করা যায় না। সোহাগের বোন ইয়াছমিন আক্তার বলেন, আমার ভাই ব্যবসা করলে ঋণতো থাকতেই পারে। তার ঋণ ছিল ৪-৫ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকার জন্য এ ধরনের কাজ করতে পারে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
পশ্চিমাঞ্চলের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ ১৯ মামলার আসামি, মন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৫ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি মাজার এলাকা থেকে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ওবায়দুর রহমান ।
এদিকে, উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত লাখো মানুষের কাছে ‘মূর্তিমান আতঙ্ক’ খ্যাত মনেক ডাকাত আবারও গ্রেফতার হয়েছেন, এমন খবরে যেমন স্বস্তি বিরাজ করছে। তেমনি সে (মনেক) অতীতের মতো যেকোনো সময় আবারও জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় পুনরায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে, এরকম আতঙ্কেও ভুগছেন উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলবাসী।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়িতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনার মামলায় ‘মূল নায়ক’ হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১৬ মার্চ রবিবার চালান দেওয়া হবে। আশা করছি, এবার সহসা জেল থেকে সে ছাড়া পাবে না।
তিনি আরো জানান, চুরি, ডাকাতি, মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৯ মামলার ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ আসামি এই মনেক ডাকাত। পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়েও তাকে এতোদিন খুঁজে পায়নি। অবশেষে র্যাব পুলিশের যৌথ অভিযানে শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপন (৪২)কে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে নবীনগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ফেইসবুকে ছেলের জন্মদিন শুভেচ্ছা জানানোর কয়েক ঘন্টা পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রিপন পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামের মরহুম মোতালেব মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় বিস্ফোরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। দুপুরে নবীনগর সদরের লঞ্চঘাট এলাকার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন আজ আমার ছেলের শুভ জন্মদিন, আরাবীর জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপনকে দুপুরে উপজেলা সদরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা রিপনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে প্রথমবারের মতো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সহযোগিতায়, বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে উপজেলা সাহিত্য মেলা-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার এ সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফিতা কাটার মাধ্যমে উপজেলা সাহিত্য মেলার শুভ সূচনা হয়। এরপর মনোমুগ্ধকর বাউল সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নবীনগর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা।
উপজেলার সাংবাদিক, শিক্ষকসহ কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল হক (রাশেদ), কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে পরিচালক আল আমিন, জেলা কালচার একাডেমির পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন, নবীনগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ওয়াজেদ উল্লাহ, স্বজনের প্রধান উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, গুঞ্জন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা দিনমজুর স্বপন মিয়া প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ উপজেলার কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে রয়েছে প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা, লেখক কর্মশালা, স্থানীয় লেখকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।