চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলায় ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট আসামিরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রোল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেন। এ ঘটনায় মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ছাত্র-জনতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যাগে মশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার রাতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রধান ফটক থেকে একটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহরুন নেসা মুনিয়া, রেহনা বুশরা, তানিশা, ফাহিমা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সম্প্রতি শিশু আছিয়ার ধর্ষণকারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
স্টাফ রিপোর্টার :
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজিউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। তার উপর আবার সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের পারুলিয়া পাড়া, কলামুড়ি ও বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ মার্চ রবিবার চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ।
অভিযানে পুরাতন কলামুড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে ছাতিয়ান পর্যন্ত ৭৫০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ, পারুলিয়া পাড়া থেকে ৫০০ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ২ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে রবিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের অভিযানিক টিম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কলামুড়ি, ছাতিয়ান, ও পারুলিয়া পাড়া এলাকায় ২ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৪৫ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সূত্র জানায়, এই সঞ্চালন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২০১৫-১৬ সালে সুহিলপুরের পারুলিয়া পাড়ার অবৈধ গ্যাস সংযোগ গুলো দিয়েছেন সরাইলের গ্যাস ঠিকাদার মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম ওরফে সেলিম মাস্টার।
কলামুড়ি থেকে ছাতিয়ান পর্যন্ত অবৈধ পাইপলাইন স্থাপন করে সংযোগ গুলো দিয়েছেন ঠিকাদার বাশার। অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির ,উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। বকেয়া বিল পরিশোধ ও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহার না করতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য সকল মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এছাড়া অবৈধ সংযোগগুলোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি ম্যুরালের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ জেড এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রুবেল ও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ খান শ্রাবন।
এছাড়া সভায় জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ম্যুরালটি নির্মাণ ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আল্লামা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী।
জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি অধ্যাপক নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলালের পরিচালনায় কাউন্সিল অধিবেশনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রেজাউল করিম তালুকদার। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সচিব ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন।
বক্তব্য রাখেন মাওঃ আবু জাফর রেদওয়ানী, অধ্যক্ষ কাজী মহিউদ্দিন মোল্লা, মাওঃ হাসানুজ্জামান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ছায়েদুর রহমান আওলাদ, অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ, সৈয়দ আবুল বাশার প্রমুখ।
কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে মাওঃ নূরুল ইসলাম আল কাদেরীকে সভাপতি ও আলহাজ্ব মাওঃ মোস্তাক আহমদ ওয়াইসীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।