চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলায় ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট আসামিরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রোল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেন। এ ঘটনায় মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫জন। আর সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন করে। আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে এই সম্মেলন। সম্মেলন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটে নির্বাচিত হবেন নেতা। আলোচনার বিষয় হচ্ছে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন। ভোটে নেতা নির্বাচন হবে বলে প্রার্থীরা গত দু’দিন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কাউন্সিলরদের দুয়ারে ছুটেছেন। ৭৮১ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। এনিয়ে সরগরম সদরে বিএনপি’র রাজনীতি। সভাপতি প্রার্থীরা হচ্ছেন এডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা (রিকসা), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন (মোটর সাইকেল), নুরুল হাসান আলম (গরুর গাড়ি), মো: শামীম মোল্লা (প্রাইভেটকার), শাহআলম (ঘোড়া)। সাধারণ সম্পাদক পদের ২ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন (মোরগ) ও রাহিম উদ্দিন রায়হান (ঘোড়া), সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী মো: সালাউদ্দিন (আনারস) ও শাহানুর ইসলাম (আম)। গত ২৯ নভেম্বর জেলা বিএনপি সদর উপজেলা বিএনপি’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। পরদিন থেকে শুরু হয় মনোনয়ন বিতরণ। ৫ ডিসেম্বর ছিলো প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ। এরপরই গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীরা দিনরাত এক করে ছুটতে শুরু করেন কাউন্সিলরদের কাছে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাক্তার আবদুর রহমান ভূইয়া বলেন-এডভোকেট তারিকুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন এ দু’জনকেই আমরা আশা করছি। তারাই সবার কাছে জনপ্রিয়। সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম বলেন, সম্মেলন নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশ। দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর পর আউটডোরে এমন একটা সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা চাই কর্মীরা প্রাণভরে তা উপভোগ করুক। নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন হোক।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আলমগীর হোসেনও নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা বলেন, দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে জয়ী হব ইনশাল্লাহ।
এডভোকেট রুমা এরআগেও সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। আর আলমগীর সদর উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান সদস্য সচিব।
জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন- সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম অধিবেশন। যদি প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌছে তাহলে আর দ্বিতীয় অধিবেশন হবেনা। আমরা শুধু নাম ঘোষণা করে দেব। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিম ভূইয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, তৃনমূল থেকে জেলা সদর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা এবং অনগ্রসরতা বিবেচনায় জেলা পরিষদ থেকে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতের মত গোপনীয়তা বা অর্থলোটপাটের অভিযোগ করার কোন সুযোগ থাকবেনা।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। সভায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলা পরিষদের রাজস্ব এডিপি ও সংসদ সদস্যদের চাহিত প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দের আওতা সর্ব মোট প্রায় ১১ কোটি টাকার দুই শতাধিক প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
এসব প্রকল্পের মধ্যে জেলা ঈদগাহ ময়দানের বাউন্ডারি দেয়াল, স্টেডিয়াম গেইট নির্মাণ, ডাকবাংলা স্থাপন ও সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ প্রকল্প উল্লেখ যোগ্য।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান অলিও, কসবা উপজেলা চেয়াম্যান অ্যাড. রাশেদুজ্জামান কাওসার, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঠাকুর, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন ভূইয়া, নবীনগর পৌরমেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরমেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী এবং প্যানেল চেয়ারম্যান (১) মোঃ আব্দুল আজিজ (২) মোঃ নাছির উদ্দিন (৩) সনি আক্তার, সদস্য সামসুল কিবরিয়া রাজা ও রুমানুল ফেরদৌসী সহ কর্মকর্তা সদস্য নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন থানায় ৩২ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ অক্টোবর রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাজধানীতে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপরই দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টা চালানো হয়। জেলার অনেক জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করে। এসব ঘটনা পুলিশ ৬৯ জনকে আটক করে। পরে রবিবার জেলার আট থানায় এক হাজার ৪২জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ এবং গ্রেফতারদের আদালতে পাঠায়।
রবিবার রাত ব্যাপী জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৩২জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে জেলার নাসিরনগরে ছয়জন, বাঞ্ছারামপুরে ছয়জন, বিজয়নগরে ৪জন, সদরে আটজন ও নবীনগরে আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ৩২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে আগেও মামলা ছিল। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের কাউতলী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
অভিযানকালে তিনটি মুদি মাল ও একটি কাঁচাবাজারের দোকানিকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মুদি দোকানের ফ্রিজে ওষুধ সংরক্ষণ করায় বিসমিল্লাহ সুপার শপকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আকাশ ট্রেডার্সকে ১ হাজার, মেসার্স হীরাকে দেড় হাজার টাকা ও কাঁচা মালের আড়তে আবুল মালেক নামে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরটির সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটপাত দখল করে ফুল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সেখান থেকে ফুল বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে শহরের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
দন্ডপ্রাপ্ত ফুল বিক্রেতারা হলেন- জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা উত্তম কর্মকার (৪০) ও মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রাজু মালাকার (২৫)। তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো তিনদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পথচারীরা ভোগান্তি পোহাতে হতো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দলখমুক্ত করতে ফুল বিক্রেতাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তারা সেখান থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নেননি। ফলে বেলা ২টার দিকে সেখানে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা। এসময় ফুল বিক্রেতা উত্তম কর্মকার ও রাজু মালাকারকে সাতদিনের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অন্য ফুল বিক্রেতারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ফুটপাত থেকে ফুল বিক্রেতাদের সব সরঞ্জাম ও ফুল গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, ফুটপাতটি দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রেতাদের দখলে ছিল। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় দুই ফুল বিক্রেতাকে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।