চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার সময় দুই বাংলাদেশি নাগরিক বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে আটক ওই দুইজনকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
আটককৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দক্ষিণ সিংহগ্রামের নগেন্দ্র ভৌমিকের ছেলে নরেন্দ্র ভৌমিক (৫০) ও নারায়ণ ভৌমিকের ছেলে বিশ্বজিৎ ভৌমিক (২৫)। প্রায় এক মাস আগে তারা হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।
বিজিবি থেকে পাওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানায় যায়, সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি টহলরত অবস্থায় ওই দুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আগরতলার লঙ্কামোড়া এলাকার সমীর নামে একজনকে ১২ হাজার ও আখাউড়ার আব্দুল্লাহপুরের শামস্ ভূঁইয়ার ছেলে মো. আরিফকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এর আগে তারা চিকিৎসার জন্য অবৈধভাবে ভারতে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
এস আলম গ্রুপকে অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ থাকা সুজন কান্তি দে (৪৪) নামের এক ব্যক্তি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুজন কান্তি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মালঘর গ্রামের সঞ্জিত কান্তি দে’র ছেলে। তিনি ২৩ বছর যাবৎ এস আলম গ্রুপে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে আনোয়ারা থানা পুলিশ রিকুইজিশন দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুজন কান্তি নামে ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে তারা বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা রয়েছে। তাকে নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
টোকিও বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুই প্লেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী একটি প্লেনের সঙ্গে কোস্টগার্ডের প্লেনের সংঘর্ষ হয়। এরপরই যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কোস্টগার্ডের প্লেনটিতে থাকা ছয় জনের মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে জাপান এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন লেগে গেলেও সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়, টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে কোস্টগার্ডের একটি প্লেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন ধরে যায়।
প্লেনটির কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ক্রুসহ ৩৭৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্লেনটি হোক্কাইডোর শিন-চিটোসে বিমানবন্দর থেকে ছেড়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিঃ থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রæটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে যাদের ভারতের বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১২টা) দেশড় থেকে ২’শ জন যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট করেন বেশি। এসময় তারা যাত্রী ছাউনী ও গাছ তলায় বসে সময় কাটান।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোন যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও শূণ্য রেখায় যাই।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা আমাদেরকে বলেন, যে সকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিন বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকেট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম আরও বলেন, বেলা সোয়া দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য এড. আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা হবে।
সেই আইন প্রায় ড্রাফট হয়ে গেছে। জনগণ সহযোগিতা করলে সেই আইন পাশ করা হবে। আমরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানাতে চাই।
আমরা কোন প্রতিহিংসার জন্য তাদেরকে চিহ্নিত করবো না। বাঙালির সামনে সত্য ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য তাদেরকে চিহ্নিত করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগীদের সংগঠনের আয়োজনে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করার স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন কিছু বেইমান, মিরজাফর তাকে হত্যা করে। শুধু তাকে নয়, তাঁর পরিবারের ১৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা বলতে পারি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশকে হত্যা করা। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা গেলে বাংলাদেশকেও হত্যা করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে। তবে হত্যা করে আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই না। যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের প্রতিশোধ হবে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানিয়ে দেখাবো, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কোন দিন মরবে না। বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশে মারা যায় না।
যারা খুনি তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি সেটা আলাদা কথা। বঙ্গবন্ধুর হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করা হবে। নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে এরাই বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের ভার তাদের (খুনিদের) পরিবারের হাতে যেন তুলে না দেয়। তাদের হাতে দেশের ভার গেলে তারা দেশকে বিরান করে ফেলবে।
ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নাই মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, আইনে একটা কথা আছে ষড়যন্ত্র সব সময় অন্ধকারে হয়। এই অন্ধকারের রাজনীতিবিদরা এখনও বিএনপি জামাতে আছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশকে ধ্বংস করতে চায়। এই ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আামাদের যে ঋণ তা পরিশোধ করার জন্য বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিতে হবে।
আইন মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশে আইনের শাসন থাকবে। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসার পর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। জেল হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। এর নামই হচ্ছে আইনের শাসন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের য্গ্মু আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ।
এর আগে তিনি সকাল সোয়া এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া এসে পৌঁছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের সীমান্ত হাব মিয়াওয়াদিতে সরকারি একটি স্থাপনায় বোমা হামলায় পাঁচ সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ওই শহরে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পড়ার পর থেকে সামরিক বাহিনী ও জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে।
সামরিক একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার দিকে দুটি বোমা জেলা পুলিশের দপ্তর এবং প্রশাসন ভবনের দপ্তর থাকা ওই সরকারি কম্পাউন্ডে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এরপর আরও দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং ১১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে সামরিক এক কর্মকর্তা, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। ১১ জুনিয়র ও সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এ হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জান্তা জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যুত্থানবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কয়েকটি সেনাছাউনি ও পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৮ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা।
২০২১ সালে অভ্যুত্থান শুরুর পর থেকে ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ জান্তা সরকারের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে মিয়াওয়াদিতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে জান্তা সরকার। অনেক বিদ্রোহী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।