চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেবির সাংসদ নিতেশ রানে কর্তৃক মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটূক্তির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের আয়োজনে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফখরুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তারিক জামিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র মাওলানা ওমর ফারুক, জেলা হেফাজত ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া খান, জেলা যুব ফোরামের সভাপতি মাওলানা জুনাইদ কাসেমি, জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার বীন মুসলীম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা, অবিলম্বে রাসুল (সাঃ) এর নামে কটুক্তির তীব্র প্রতিবাদ এবং রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় ভারত অভিমুখী লং মার্চের হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ যেন জীবন্ত পুতুল। যেন পুতুলে প্রাণের ছোঁয়া। গানের তালে তালে নাচছে পুতুল। দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। মুখে হাসির ঝিলিক।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পুতুল সেজে গানের সঙ্গে নেচেছে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা।
সংখ্যায় ওরা ৪৮জন। সবাই সেজেছে পুতুলের সাজে। ওরা সবাই শিশু। মঙ্গলবার সকাল পৌণে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে পুতুলের এই নাচ প্রদর্শিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে করে।
ডিসপ্লের শুরুতেই হাজারো উপস্থিতি জীবন্ত পুতুলদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। ডিসপ্লে চলাকালেও ছিলো বেশ উচ্ছ¡াস। পুতুল নাচের এ ডিসপ্লে জেলার বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
পুতুল নাচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য। তবে সেটা যেন বিলিনের পথে। তবে এই প্রথমবারের মতো জেলার কোনো বড় আয়োজনে শিশুদের পুতুল সাজিয়ে নাচানো হলো। এর আগে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন নিজেদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে শিশুদেরকে পুতুল সাজিয়ে নাচায়।
পুতুল নাচের অংশ নেওয়া মুনতাহা জানায়, সে আগে কখনো পুতুল নাচ দেখেনি। ডিসপ্লের জন্য বেশ কয়েকবার দেখেছে। এরপর প্রশিক্ষক তাদেরকে তৈরি করেছেন। এ নাচে অংশ নিতে পেরে সে বেশ খুশি।
কথা হয় অভিভাবক শ্যামল মোদক ও প্রিয়াংকা সাহার সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এ আয়োজনের গর্বিত অংশীদার হতে পেরেছে। আমাদের খুব লাগছে। এ নাচের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।
নাচের পরিকল্পনাকারি ও প্রশিক্ষক জিয়া আমিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচের ঐতিহ্য ফেরাতে এই প্রচেষ্টা। এতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘পুতুল নাচ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা চাই শিশুরা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকুক। এ ধরণের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘শিশুরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই ৫১ শতাংশ নারীর বিয়ে হয় বলে জানানো হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। শহরের কালাইশ্রীপাড়ার একটি অফিসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৩ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল নাগাদ তথ্যের বরাত দিয়ে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি-বে-সরকারি নানা উদ্যোগের পরও বাল্য বিবাহে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও এশিয়ার প্রথম। বাল্য বিয়ে একটি ভয়াবহ সামাজিক অবস্থা। বাল্য বিয়ের কারণে স্কুল থেকে ঝড়েপড়ার হার রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শোভাপাল, সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা সিকদার দীনা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠক রেন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শামীমা সিকদার দীনা।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা পরিষদের সরবরাহ করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ১২টি পত্রিকা থেকে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর নাগাদ ১০ মাসে নারী নির্যাতনের খবরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য অনুযায়ি, ওই সময়ে ৩৯৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৫ জন। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন। এছাড়া ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ১২ জন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয়জন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নারীনির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে জেলার কর্মসূচির কথা জানানো হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ, নারী ও কন্যার প্রতি সংহিসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে উপকারভোগীর সাথে মতবিনিময়, সমাবেশ ও আলোচনা সভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট এখন একটি গতিশীল নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা আর্ত মানবতার সেবায় প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদেরকে মানবতার কর্মী হিসাবে প্রস্তুত করছে।
তিনি আজ ৮মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় রেড ক্রিসেন্ট ভবনে আনুষ্ঠিকভাবে পতাকা উত্তোলনের পর বিশাল র্যালী শেষে জেলাপরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ¦ শাহ আলমের সঞ্চালনায়, নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, মাসুকুল কবীর, আশিকুর রহমান পাঠান, সালাউদ্দিন সরকার, ইউনিট কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার সরকার, সুমা দাস ও ফাহিম মুনতাছির প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেঁদেদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে মুজিববর্ষে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩৫টি বেঁদে পরিবারসহ ৭৪টি পরিবারের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের জমি ও ঘর নেই তাদেরকে জমি সহ ঘর দিয়েছেন। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেঁদে স¤প্রদায়ের পরিবারকে জায়গা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা যেন বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে সমাজে স্বীকৃতি পায় তা দেখা হচ্ছে। খুব ভালো লাগছে, সমাজে যাদের ঘর-বাড়ি ছিল না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের ঘর দিয়েছেন, আমরা তাদেরকে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে প্রচন্ড শীত নিবারণের চেষ্টা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একটি ভাল কাজের সাথে যুক্ত হলাম।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাবেল উপস্থিত ছিলেন।