মামলা করার পরদিনই মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শহরের কাজীপাড়া গোকর্ণ রোডের বাসিন্দা মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। এতে গত ৪ আগষ্ট শহরের মৌলভীপাড়া ও পৌর মুক্ত মঞ্চ এলাকায় সংগঠিত ঘটনার বিষয়ে দায়ের করা এই মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ২৪০জনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো এক-দেড়শো জনকে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট ১ থেকে ৫নং আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা তিনিসহ কয়েকজন সাক্ষীর উপর হামলা করেন। এতে তারা বেশ কয়েকজন আহত হন। এছাড়া আসামীরা ব্যাংক এশিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করে। আদালত মামলাটিকে নথিভুক্ত করতে সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামীদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, ডাক্তার আবু সায়ীদ, ডাক্তার ডিউক চৌধুরী, ব্যবসায়ী আশিষ পাল, পৈরতলার কাউসার মিয়া, মধ্যপাড়ার আল মামুন, রাধুনী হোটেলের মো: ফখরুল হাসান, কসবার গোপীনাথপুরের প্রিন্সিপাল আকরাম খান, সদরের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: মহসীন মিয়া, নাটাই উত্তরের আবু সায়ীদ চেয়ারম্যান, কালীসীমার শাহআলম চেয়ারম্যান, নাটাই দক্ষিণের সাবেক চেয়ারম্যান কদর আলম সিদ্দিকী, ইউপি সচিব মান্না চক্রবর্তী।
গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।
বাদী মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও এবিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজী হননি। বাদী পক্ষের একজন আইনজীবি জহিরুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহারের কারন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান-বাদী বলেছেন স্বাক্ষীদের ভুল তথ্য বা তার ভুল বুঝাবুঝির কারনে মামলা করেছিলাম। আমি মামলা চালাবোনা। প্রত্যাহার করে নিলাম।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, পুলিশের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে, কারণ পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করে নাই। কমান্ডিং থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত সবাই অসুস্থ প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে পার করেছে। একটা দলের আজ্ঞাবাহ হয়ে কাজ করতে হয়েছে। সবকিছুতে পুলিশ টাকা নিয়েছে বলে একটা দুর্নাম ছিলো। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলের চাপ নেই।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন,‘সরকার আমাদেরকে যে বেতন দিচ্ছে, সেটা চলার জন্য যথেষ্ট। মাসিক কল্যাণ সভায় বলে দিয়েছি এতে কারো না পোষালে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।’
নবাগত পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন, ‘পুলিশে অনেক আবর্জনা আছে। এগুলো দূর করতে হবে। পুলিশের মনোবল একেবারে ভেঙে যাবে এমন কোনো বিষয় নেই। সেই পুলিশের মনোবল ভাঙবে যে অসৎ। আর যে পেশাদারিত্বে থাকবে তার মনোবল ভাঙার কোনো কারণ নেই। তবে এটা ঠিক যে নানা কারণে পুলিশের কার্যক্রমে ধীরগতি আছে। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। সদর দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদেরকে যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়ার। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সব কিছু এখনই করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু ত্রুটি ছিলো। সেই ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করবো। আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আপনারাও সুযোগ দিবেন। কেউ পুলিশকে ঘুষখোর বললে আমারও খারাপ লাগে। আমরা এ অবস্থা থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে। তিনি এর জন্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিয়ম সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাসহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, ইব্রাহিম খান সাদাত ও মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মোঃ শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষ থেকে সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশনের উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় শহরের সকল নৈশ প্রহরীদের মাঝে ইউনিফর্ম ও টর্চ লাইট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশনের কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি চট্টগ্রাম বিভাগ লায়ন সাইফুল ইসলাম ভূইয়া রাসেল।
সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ এইচ মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশনস মোঃ সোনাহর আলী শরীফ, সদর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সংগঠনের শহর কমিটির সভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, সংগঠনের সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ চৌধুরী রনু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, জেলা হোটেল রেস্তুরা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ফারহান ইসলাম।
এ সময় বক্তারা পবিত্র রমজান মাসসহ সবসময়ই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনার জন্য জেলার হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ১২৫ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদের বেচা কেনা। শহরের প্রতিটি মার্কেট, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।
মাকের্টের দোকান গুলোতে রয়েছে সব বয়সী মানুষেরই কাপড়-চোপড়ের বিপুল সমাহার। ক্রেতারাও পছন্দসই কাপড় কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতারা যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য মার্কেট কমিটিগুলোর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশী ছাউনী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দোকানগুলো।
প্রতিটি মার্কেটেই নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের নিউ মার্কেট, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, আশিক প্লাজা, ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ার, গ্রীণ সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, বি-বাড়িয়া টাওয়ার, গোলাপ সুপার মার্কেট, সড়ক বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়াও পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে মেয়েদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্কার্ট, টপস, থ্রিপিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট শাড়ী, জয়পুরি শাড়ী, লেহেঙ্গা, পার্টি গাউন, সফট কাতান, বেনারসি, ঢাকাই জামদানি, ভারতীয় জামদানি, রাজশাহী সিল্ক ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।
ছেলেদের জন্য শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, নবাবী পাঞ্জাবী, শেরওয়ানী, ফতুয়া, কাতুয়া, বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি।
সরজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার পর থেকেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভীড়। বিকেল ৫টার পর ভীড় একটু কমলেও ইফতারের পরে আবার বাড়তে থাকে ভীড়। বেচা-বিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
শহরের সড়ক বাজারের শাড়ীর দোকান কমলালয়, ইলোরা, জান্নাত ফ্যাশন, শাড়ি বিচিত্রা, নীলাচল, আঁচল নামের দোকানগুলোতে দেখা গেছে মহিলাদের উপড়েপড়া ভীড়।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান “পাঞ্জাবী ফ্যাশন” এ গিয়ে দেখা যায় হরেক রকমের পাঞ্জাবীর সমাহার।
শহরের কান্দিপাড়ার বাসিন্দা বরকত উল্লাহ ও রুমা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
সদর উপজেলার সুহিলপুরের বাসিন্দা, ফরিদ মিয়া বলেন, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছ কাপড় কিনতে। কয়েকটা দোকান ঘুরে মেয়ের জন্য একটা থ্রি-পিস ও ছেলের জন্য একটা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট কিনেছি। তিনি বলেন, এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
মধ্যপাড়ার রুবি বলেন, প্রচন্ড গরম ও দিনের বেলা মার্কেটগুলোতে অনেক ভীড় থাকায় রাতের বেলা কিনতে এসেছি। তবে এবার কাপড়ের দাম বেশী। ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ারের সুপার সপ লাইক ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মোঃ এমরানুল হক বলেন, গত কয়েক বছরে করোনার কারনে বেচা-কেনা কম হয়েছে।
তবে এবার বেশ ভালো হচ্ছে, আগামী দিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি। তিনি জানান, তার শো-রুমে শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও মহিলাদের থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের এলিগেন্স গার্মেন্টসের মালিক মাসুম শেখ জানান, আলহামদুলিল্লাহ বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। আগামীদিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান পাঞ্জাবী ফ্যাশনের মালিক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। গরমের জন্য সূতি পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশী।
শহরের অভিজাত শাড়ীর দোকান কমলালয়ের মালিক আশিষ সাহা বলেন, পোশাক তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এবার ঈদের বেচাকেনা ভালো। বিশেষ করে থ্রি-পিসের বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এছাড়াও তার দোকানে সব ধরনের শাড়ীই বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সদর ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। ঈদ বাজারের নিরাপত্তায় পুলিশের ১৫ টি পেট্রোল টিম, ৫ টা হোন্ডা টিম কাজ করছে।
পাশাপাশি জরুরি সেবার জন্য ৪টি টিম সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাতে মার্কেটে আসা কোন মানুষের যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় সেজন্য পুলিশ টহল দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবোনা। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ করা। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এই দ্বায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়।
তিনি আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে জেলা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ও ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলমের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান আরো বলেন, আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। আমরা ২০২২ সালে সবাইকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ গ্রহন করার জন্য আহবান জানিয়েছি। সেখানে তাদের সাথে আমরা সংলাপ করেছি। কেউ কেউ আমাদের আহবানে সাড়া দেয়নি। এরপরও আমরা তাদেরকে আবারো আহবান জানিয়েছি। সর্বশেষ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিবের স্বাক্ষরে কোন এক দলের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। চায়ের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহনের দ্বায়িত্ব তাদের। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলি আমাদের নিবন্ধিত আছে তাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে কি হবে উনারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন। এটা নিয়ে কমিশনের কোনো ভাবনা নেই। আমরা চাই ভোটার কেন্দ্রে আসুক কমিশনের ভাবনা হলো ভোটার নিয়ে। ভোটার উপস্থিতি যদি ভোট কেন্দ্রে বেশী হয় তাহলে আমরা বলবো অবশ্যই নিবার্চন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। আমাদের যতটুকু দ্বায়িত্ব ততটুকই করবো তবুও আমরা আশাবাদী সবদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
আমাদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধকতা নির্বাচন করা। রাজনৈতিকদল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এই দ্বায়িত্ব আমাদের না। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে আরো বলেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলি সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবোনা আমাদের ম্যান্ডেটও না সেটা। আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করবো, আমরা দেখবো লেভেল প্লেইন ফিল্ড নির্বাচন বলতে যা বুঝাই তাই করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বিষয়ে বলেন দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই আমরা এই নির্বাচনকে সাধারণ নির্বাচনের মতই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা হবে। তফসিলের আগে এই উপ-নির্বাচনটি হওয়ার কারণে সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কমিশনের জন্য এটি পরীক্ষার সম্মুখীন হওয়ার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সিরাজুন মুত্তাকিনদের মতো দ্বায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা মনে করবেন এটি একটি পবিত্র দ্বায়িত্ব। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছেও একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে। আপনারা সুষ্ঠুভাবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন সাদাকে সাদা-ই বলবেন কালোকে কালোই বলবেন। আপনারা মনে করবেন এটি একটি পবিত্র দ্বায়িত্ব। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছেও একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে এবং জণগণের কাছেও একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুল আলম।