স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে একই এলাকার হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। ২১৬ শতাংশ জয়গায় বন্টননামা একটি ভূয়া দলিল করে শতবর্ষ পুরনো একটি পুকুর জবরদখলের পায়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান এলাকায় বিভিন্ন লোকের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ৮টি মামলা করেন, বর্তমানে ৭টি মামলা মিথ্যা বলে তদন্তকারি সংস্থা প্রতিবেদন প্রদান করেন। তারা আরও জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং গত (০৩ ডিসেম্বর) শনিবার দুপুর ২টার সময় হাবিবুর রহমানের পক্ষে মহামান্য আদালতের রায় পেয়েছে তা গ্রামে ঘোষণা করা হবে বলে সহজ সরল মানুষের মাঝে মাইকিং এর মাধ্যমে অপপ্রচারণা চালান অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান দীর্ঘদিন থেকে এই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন এবং দখলে রয়েছেন তারা। তারা আরও বলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে হাবিবুর রহমান ও তার সংঙ্গীরা, যেকোন সময় তাদের পরিবারের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলেও অভিযোগে বলা হয়। এছাড়াও হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে জবর দহলের পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছেন। এই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. এলাই মিয়া বাদী হয়ে, হাবিবুর রহমানসহ ৪ চার জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকার দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের উদ্বর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানিয় ভুক্তভোগীরা।
তবে এ বেপারে অভিযোগ তদন্ত কারি সরাইল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক পংকজ দাস জানান, এই পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদী বিবাদীগণকে বলা হয়েছে কোন অপপ্রচার বা দাঙ্গা সৃষ্টি করলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুষ্টি, প্রজনন, স্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে, সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে।
সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: তানজিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অফিসের উপপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক ডা: সোহেল হাবিব, ঢাকা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া ও সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সরকারী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
কর্মশালায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাসনা আলম ফাবিহা, দ্বিতীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ইউনুছ ফায়িদা ও তৃতীয় হয়েছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশাতুল মীম। বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অংশগ্রহণকারী তিন বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে ব্যাগ ও যাতায়ত ভাড়া প্রদান করেছেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জেলা আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আখন্দকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ মে শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের মডেল মসজিদের হল রুমে ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সৎ শিক্ষিত যোগ্য দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবান খেতাবে ভূষিত করে এই প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনার জন্য এখনই মাঠে নেমে পড়ার আহবান জানিয়েছেন নেতারা। বলে দিয়েছেন ভোট চাওয়ার নানা কৌশল।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় মডেল মসজিদের সভা কক্ষে সরাইল উপজেলা আমীর মো. এনাম খাঁর সভাপতিত্বে দলটির এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক নেতা কর্মীর অংশ গ্রহণে জেলার সেক্রেটারী মাওলানা আমীনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার দাওয়া সম্পাদক লেখক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার।
বক্তব্য রাখেন- জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আখন্দ, প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. ফজলুর রহমান, তিন উপজেলার সঞ্চালক এডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান, সরাইল উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. এনাম খাঁ ও সেক্রেটারী মো. জাবেদুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের সর্বত্র শান্তি স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন সকলের প্রত্যাশা অনিয়ম দুর্নীতি চাঁদাবাজি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও দেশ। এ জন্য প্রয়োজন কোরআনের আইন ও শাসন। সেটা নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কোন বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন-‘হতাশ হইয়ো না, দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হইয়ো না, যদি তোমরা মুমিন হও।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সদস্যরা মুমিন। তাই সাহস রেখে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। সফলতা আল্লাহ দিবেন। চরিত্র ও শিক্ষা সবার উপরে। কারো চাকচিক্য আর টাকা দেখে হতাশ হওয়া যাবে না। মোবারক হোসেন একজন আদর্শবান শিক্ষিত যোগ্য সৎ চরিত্রবান লোক। জামায়াতে ইসলাম ইসলামী ব্যাংক ও ইবনেসিনা হাসপাতাল করেছেন। ২০০১-২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জামায়াতের দুইজন নেতা বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন। মন্ত্রীও ছিলেন। কোন সংস্থা তো তাদের দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেননি। এতে সহজেই প্রমাণিত হয় জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরা সৎ। তিনি নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ছাত্র শিবিরের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন। তিনি এমপি হতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনকে দুই চোখে দেখবেন না। এক চোখ থাকবে সরাইল আরেক চোখ আশুগঞ্জে। এসব যুক্তি প্রমাণ দিয়ে মোবারক হোসেনের জন্য ভোট চেয়ে জয়ী করতে হবে। দেশের মানুষ বাবা মেয়ে স্বামী স্ত্রীর শাসন দেখেছেন। এখন ইসলামী শাসন দেখতে চাই। দেশের সকল ইসলামী দল এক প্ল্যাটফর্মে চলে আসছে। আমরা আর কাউকে কলা ক্ষেতে দিব না।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্টের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মন্দির মন্ডপ পাহাড়া দিয়েছেন জামায়াতের লোকজন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আমাদের সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করে জনগণের ভোট / সমর্থন আনতে হবে। সততা ও ঈমানী শক্তির বলে ৫ আগষ্ট আমরা জয়ী হয়েছি। আগামী সংসদ নির্বাচনেও ঈমানী শক্তির বলে আমরা জয়লাভ করে সরকার গঠন করব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের নির্বাচন পরিচালনার কৌশল ব্যাখ্যা করে প্রধান অতিথি বলেন, দুই উপজেলায় পৃথক দু’টি পরিচালনা কমিটি হবে। তারা নিজ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে কমিটি করবেন। ইউনিয়ন কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। নারী পুরুষ সকল ভোটারের কাছে মোবারক হোসেনের ছালাম পৌঁছাতে হবে। সমর্থন/ভোট চাইতে হবে। এভাবে সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সবশেষে তারা আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাইলে ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সিলেকশন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হিন্দু মুসলিম এক হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। সবার মুখে একই কথা, আমরা যে যেই ধর্মেরই মানুষ হই-আমরা সবাই বাংলাদেশী। আমরা আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ এবং আমরা সব ধর্মের মানুষ একই সমাজে মিলেমিশে বসবাস করে আসছি আর আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ, বিবাদ নেই।
সভায় সরাইল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, ভূমি অফিসার সিরাজুম মুনিরা সরাইল উপজেলা ও অফিসার ইনচার্জ, সরাইল থানা।
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন মাস্টার, মাওলানা কুতুবউদ্দিন, আবদুল জব্বার চেয়ারম্যান, সরাইল বাজার সেক্রেটারি বাবুল মিয়া, নুর আলম মিয়া, মাওলানা মঈনুল ইসলাম, হোসেন মিয়া, আব্দুল বারিক ও কামাল খন্দকার। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবু প্রমথনাথ, দেবদাস সিংহ রায়, বাউল দুর্গা চরণ দাস, দীলিপ বাবু প্রমুখ।
এসময় সরাইল উপজেলার সকল স্তরের জনগণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সবারই শ্লোগান ছিল আমরা সবাই ভাই ভাই, আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নাই। হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, মিলেমিশে বাঁচতে চাই। দেশ এক জাতি এক, দেশ আমাদের বাংলাদেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে একাধিক মামলার এজহারনামীয় আসামী ছাত্রলীগ নেতা বাসাররফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে আবুল বাশারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংসের ইনচার্জ পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত আবুল বাশার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্ররীগ উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রামের মৃত আমিনুল হক ভূঁইয়ার ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃত আবুল বাশারের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।