চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ২টা৪৫ মিনিটে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সরাইল ব্যাটালিয়ন-২৫ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন-৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও সহযোগিতায় রয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
আজ ফাইনাল খেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা বনাম কসবা উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেছেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যুবকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার খুব নির্ভুলভাবে জুলাই অভ্যূত্থানে আহত নিহতদের তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হলে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন এর সাথে প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত জুলাই অভ্যূত্থানে সদর উপজেলার শহীদ পরিবার ও আহত এবং অসমর্থ যুবকদের অনুকুলে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে শহীদ পরিবার, আহত ও অসমর্থ যুবকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পাপিয়া আক্তার এবং আহত ও নিহতদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন অভিভাবক আব্দুল রহিম প্রমুখ। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, আহত যুবক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিশিষ্ট আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতি’র নান্দনিক আবৃত্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত ‘আমরা ভাষায় এক,আমরা ভালোবাসায় এক’ পর্ব-৩ অনুষ্ঠানে শ্রুতির ১০ সদস্যের আবৃত্তিদল “আমরা অল্পে খুশী” শীর্ষক দলীয় আবৃত্তি উপস্থাপন করেন। এসময় তাদের বাদ্য ও ছন্দের তালে রিবেশিত কবিতার পংক্তির সাথে শ্রোতারাও তাল মিলিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। দলীয় পরিবেশনা শেষে শ্রুতির কর্ণধার বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী স্মীতা ভট্টাচার্য পরপর কয়েকটি একক আবৃত্তি করে মুগ্ধ করেন সকলকে। আমন্ত্রিত দল শ্রুতির সাথে অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের অভিভাবকদল, বড়োদল, মধ্যমদল, ছোটদল ও সোনালী সকাল। স্থানীয় এসকল সংগঠনের আবৃত্তি পরিবেশনাও ছিলো উপভোগ্য। একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর, উত্তম কুমার দাস। স্বরচিত কবিতাপাঠ করেন কবি শৌমিক ছাত্তার,কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়।
আবৃত্তিশিল্পী রেজা এ রাব্বী ও ফারদিয়া আশরাফি নাওমীর সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে আবৃত্তিসন্ধ্যার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, কবি আবদুল মান্নান সরকার ও কবি আবদুর রহিম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায়, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, নারী মুক্তি সংসদ সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবদুল বাসেদ, সংস্কৃতিকর্মী ওয়াহিদ শামীম, নেলী আক্তার, জামিনুর রহমান, খেলাঘর আসর সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফজলুর রহমান মুকুল, পূঁজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুজন দত্ত, আবৃত্তিশিল্পী আবদুস সাকির ছোটন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক সুজন সরকার বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও ত্রিপুরা রাজ্যের সংগঠন শ্রুতি যৌথভাবে “আমরা ভাষায় এক, ভালোবাসায় এক” শীর্ষক অনুষ্ঠান করে আসছি। আমরা কবিতা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই মানুষের কাছে। এবারে শ্রুতির শিল্পিদের একক ও দলীয় পরিবেশনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
শ্রুতির কর্ণধার স্মীতা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বিশ^াস করি সবার উপরে মানুষ সত্য। এই সত্য ও সম্প্রীতির বানী দুই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমরা ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন মিলে দুই দেশেই আবৃত্তি অনুষ্ঠান করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ আবৃত্তি ভালোবাসে। আমাদের পরিবেশনা তারা উচ্ছাসের সাথে গ্রহণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, কবিতা ও গানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা সহজেই বলা যায়। আজ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বারবার উচ্চারিত হয়েছে। আমরা চাই এভাবে কথা ও কবিতার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কবিতার আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বানী খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশের আপামর জনগোষ্টীর মধ্যে চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। ইহারই ধারা বাহিকতায় সরকারি অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে হৃদরোগীদের চিকিৎসা সেবায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘‘সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মীদের অবহিত করন শীর্ষক’’ এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় এই আহবান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডা: ডিউক চৌধুরী, সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা: মাহমুদুল হাসান এবং ডা: জহিরুল ইসলাম প্রমুখ আলোচ্য বিষয়ে কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেমিনারের অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মিন্টু ভৌমিক, ব্যবস্থাপনা কমিউনিটির সদস্য এডভোকেট মোঃ হাবিবুল্লাহ, ফরিদা নাজমিন, জেসমিন খানম, তাজুল ইসলাম বাবু ও মোঃ জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা জাতীয়করণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের পদে পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে আখাউড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার প্রধান, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির নিকট হস্তান্তর করেন শিক্ষকরা। উপজেলায় ১৬ মাধ্যমিক স্কুল ও ৫টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমোদাবাদ শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, কর্মকমঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ভূইয়া, কল্লা শহীদ দাখিল মাদরাসার সুপার মুফতি কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ করেছে। এসময় শিক্ষায় বৈষম্য থাকা কাম্য নয়। সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একই কাজ করি। কিন্তু আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। তাছাড়া, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলেও অনেক যোগ্য শিক্ষক আছে। আমাদেরকে সরকারিকরণ করা হলে সকল শিক্ষক থেকে যোগ্য শিক্ষককে পদায়ন করা হতো। সরকারি কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে প্রশাসনিক পদে আনার কারণে বৈষম্য হচ্ছে। বক্তারা, বেসরকারি শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণ করার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট দাবি জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ নাসির উদ্দিন, টনকী সাদেকুল উলুম ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুজিবুর রহমান, রানীখার সৈয়দ আব্দুল হান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান, হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।