অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় টেস্টের ফলাফল মূলত তৃতীয় দিনেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। শুধু ছিল শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষা। হলোও তাই। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে কিউইদের দরকার ছিল ৩১৫ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। চতুর্থ দিনে অলআউট হওয়ার আগে তার তুতে পেরেছে ১৬১ রান। হেরেছে ইনিংস ও ১৫৪ রানে।
ফলে দুই টেস্টের সিরিজ নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই হতে হলো শ্রীলঙ্কার কাছে। ৬ বছর পর ইনিংস ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কার রানের (৬০২) পাহাড়ে চাপা পড়া কিউইদের প্রথম ইনিংস মূলত গুটিয়ে গিয়েছিল প্রবাত জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে। ফলো অনে পড়া নিউজিল্যান্ড ৫১৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল।
এরপরও টিম সাউদির দল খুব একটা ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামিয়েছেন আরেক স্পিনার নিশান পেরিস। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ১৯ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনজন। দিনেশ চান্দিমাল, কামিনদু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস।
টেস্ট অভিষেকের পর একের পর এক রেকর্ড করা কামিন্দু মেন্ডিস এই ম্যাচেও খেলেন ১৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
অনলাইন ডেস্ক :
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয় পেল বাংলাদেশ। দাপুটে এই জয়ে সিরিজে ২-১ হোয়াইটওয়াশ এড়াল টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৭ রানে জয় পায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩১ রান করে আফগানরা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। টাইগারদের হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানরা।
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে মঙ্গলার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় ছিল টাইগাররা। মানরক্ষার ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানদের ১২৬ রানে অলআউট করেন শরিফুল-তাসকিন-তাইজুলরা।
৩০০ বলে ১২৭ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
দলের জয়ে ৬০ বলে তিন চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অনবদ্য ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৩৯ বলে পাঁচ বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ১৯ বলে ২২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয়। ১১ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শূন্য রানে আউট হন নাইম শেখ।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার শরিফুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
বিনোদন ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গান শ্রোতারা বরাবরই পছন্দ করে। তাঁর ‘নিশিথে আইসো ফুলবনে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’ গানগুলো শ্রোতারা এখনো শোনে। একসময় নিয়মিত গান প্রকাশ করলেও গত কয়েক বছর ধরে কম গান করছেন আঁখি আলমগীর।
সর্বশেষ এ বছর ৩১ মার্চ শওকত আলী ইমনের সঙ্গে ‘কফির পেয়ালা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছিলেন আঁখি।
দুই জনই ভিডিও চিত্রে হাজির হয়েছিলেন। সমালোচকরা গানটির প্রশংসা করেছিলেন। অথচ এরপর আর কোনো গান প্রকাশ করেননি এই গায়িকা। অনেক অডিও প্রতিষ্ঠান নতুন গানের প্রস্তাব দিলেও সময় নিচ্ছেন তিনি।
কারণ হিসেবে বললেন, ‘গান তো প্রকাশ করলে যখন-তখন করা যায়। কয়েকটি গান তৈরিই আছে। প্রকাশ করছি না অনেক কারণে। একে তো এখন অস্থির সময় চলছে, শ্রোতারা ট্রেন্ডি গানে মজে আছে।
তারা আগে শান্ত হোক, তারপর নতুন গান।’
আঁখি আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা চাইলেও তো সস্তা কথার গান করতে পারব না। চলতি কথার গান এক ধরনের আর সস্তা কথার গান আরেক ধরনের। এমনিতে বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। একটা শ্রোতামহলও আছে আমার।
তাদের নিরাশ করতে চাই না।’
আঁখি আলমগীর এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কয়েকটি স্টেজ শোতে তিনি অংশ নেবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
অনলাইন ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা পোশাকের মতোই রঙিন। বিপরীতে টেস্টে সেটি ধূসর। এর আগে ১৭ টেস্টে টাইগাররা মাত্র একটিতে জিতেছিল। সেটি তাদের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে একাধিকবার ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও টেস্টে কোনো জয়ই ছিল না। শান্ত-তাইজুলরা আজ সেই খরা কাটালেন, ঘরের মাঠে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নিলেন কিউইদের বিরুদ্ধে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ১৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের দৃশ্যপটটা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনেই তৈরি করে রেখেছিল। যদিও ম্যাচের আগে অনিশ্চয়তা ছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা গড়াবে কি না। দুই ইনিংসেই কিউইদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিনবান্ধব হয়ে পড়া উইকেটে চতুর্থ দিন তার ঘূর্ণিতে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার শেষ দিনে নেমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আগেরদিন ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ড্যারিল মিচেল। অবশ্য এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ টেকেননি। চোখ রাঙাতে পারেননি সেভাবে।
বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষাটা যা একটু বাড়িয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তাদের ২য় ইনিংসের সেরা জুটিটা উপহার দিয়ে সাউদি আউট হওয়ার পরই জয় ধরা দিল। ব্যক্তিগত ফাইফারে (৫ উইকেট) তাইজুল কিউইদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ১৮১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন মিচেল। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের ৬টি ছাড়াও নাঈম হাসান ২টি, মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল একটি করে শিকার ধরেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৩ টেস্টে। ৩টি টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিলেটের এই টেস্টে জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো কিউইদের। নিজেদের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে, ক্রাইস্টচার্চে। ৩২৪ রান তাড়া করে তারা ১৯৯৪ সালে জিতেছিল। এই ম্যাচে তাদের সামনে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ছিল ৩৩২ রানের।
চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারালেও সফরকারী স্পিনার এজাজ প্যাটেল লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। লড়াই হলেও, তাদের জয়ের স্বপ্ন দেখা ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো। তবে তার আশা একেবারেই অমূলকও ছিল না, ক্রিজে ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটার মিচেল। তিনি যদি কিছু করে ফেলতে পারেন!
শেষদিনে দ্রুত কিউই ইনিংস থামাতে মিচেলের উইকেটই সবার আগে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সেটি পেতে লাগল ১০ ওভার। ১০ম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিচেল। নাঈম হাসানের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে বন্দি তিনি। এর আগে মিচেল ১২০ বলে ৫৮ রান করেন। ইশ সোধির সঙ্গে ৯১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
ততক্ষণে হার প্রায় নিশ্চিত কিউইদের, ফলে শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা নিয়ে নামেন কিউই অধিনায়ক। সাউদির আগে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ ছক্কা মারেননি। শেষ পর্যন্ত ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে টেস্টে ১২তম বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
এরপর শেষ উইকেটটাও তুলে নেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার। তার বলে সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো জাকির হাসানকে ক্যাচ তুলে দেন সোধি (৯১ বলে ২২)। ৩১ বছর বয়সী তাইজুল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।
ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তা-পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে কিংবা ড্যারিল মিচেল- কে নেই সফরকারীদের দলে। অন্যদিকে, ঠিক বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও অধিনায়ক সাকিবকে ছাড়াই সিলেটে খেলতে নামে লাল-সবুজের দল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের ভার ওঠে শান্তর কাঁধে। তরুণ নেতৃত্ব ও দল নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে দারুণ শুরু পেল স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩১৭। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ জবাব দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৩২ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এর আগে এতবড় রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই নিউজিল্যান্ডের। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁ-হাতি পেসারের খাটো লেন্থের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টম লাথাম। ডাক খেয়ে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
লাথাম ফেরার পর কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এ যাত্রায় ব্যর্থ হন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন তিনি! লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২৪ বলে করেন ১১ রান।
এরপর তাইজুলকে অনুসরণ করলেন মেহেদী মিরাজও। থিতু হওয়ার আগেই হেনরি নিকোলসকে বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি নিকোলস। টপ এজ হয়ে বল ওঠে সোজা আকাশে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে কয়েক পা সরে বল তালুবন্দি করেন নাঈম। ২ রান করে নিকোলস ফেরায় ৩০ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এরপর মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কনওয়ে। চা বিরতি থেকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দেন কনওয়ে। ২২ রান করে এই ওপেনার ফেরায় দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফেরে সফরকারীদের চার ব্যাটার। এভাবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে একশ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় সাউদির দল। ৫ম দিনে এসে ‘মিরাকল’ কিছু না হলে নিউজিল্যান্ডের পরাজয় আর বাংলাদেশের জয় আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিহাইর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাঠে ২৩ ডিসেম্বর সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৬ টিমের মাসব্যাপী প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আজ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেসার্স মোক্তার ব্রিকস লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার বিল্টার্স লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার ওয়েল মিল এন্ড স্টক হাউস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মোক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,খেলা ধুলার মাধ্যমে যুবকরা বিকশিত হয়।খেলা ধুলার মাধ্যমে যুবকরা মাদকের করাল গ্রাস থেকে বিরত থাকবে আর এই যুবকরাই একদিন দেশের সেরা খেলোয়াড় হিসবে খ্যাতি লাভ করবে।তারা দেশর বিভিন্ন জায়গায় খেলে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।এই ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছি, যাতে উঠতি বয়সের যুবকরা বিপদগামী না হয় বিভিন্ন অপকর্মের দিকে না ঝুকতে পারে।উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে শেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন হান্নান,ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল আলম, নাটাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগীতিক সম্পাদক মোঃ শাহানুর মিয়া,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আবু হানিফ,জেলা তাতী দলের সাধারন সম্পাদক হাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।বাংলা টাইগার একাদশ ও মিজান একাদশ ফাইনাল খেলায় ।বাংলা টাইগার একাদশ জয়ী লাভ করে প্রথম পুরস্কার গ্রহন করেন।উক্ত খেলার আয়োজনে ছিলেন, আজহার, সোহেল, হানিফ, সুমন, সালাউদ্দিন, মিজান, মনির, নজরুল, রাজিব, অনিক, রাকিব হাসান প্রমূখ।