চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ শহরের লোডশেডিং ও যানজট সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য-এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুধী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, দৈনিক সমকাল এর স্টাফ রিপোর্টার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মৃধা, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বেলাল।
আবরণী নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ-এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, আরমান উদ্দিন পলাশ, সমাজকর্মী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, জেলা নাগরিক ফোরাম দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল দুর্দশা লাগাবে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিক ফোরামের গণদাবি দাবিগুলো পূরণ করবেন বলে নানা সময়ে আশ্বাস প্রদান করলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বক্তাগণ এই সমস্ত ভোগান্তি থেকে লাঘবে অতি দ্রুত ট্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
বক্তাগণ এসময় জেলা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র যানজট ও লোডশেডিং সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (১৩২০ মেগাওয়াট) এক নম্বর ইউনিটে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এদিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২১০ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিট থেকে ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ তা ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। এবং রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয় জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ তথা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিট জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এনএল ডিসির নির্দেশ ও চাহিদা অনুসারে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ ছাড়া উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটের কমিশনিং কার্যক্রম চলমান আছে। এদিকে শীঘ্রই দুই নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। এদিকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ বিষয়ে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টা থেকে পিজিসিবি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করে। ১ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়তে থাকে। রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি। যদিও ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।’
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমদ বলেন, ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ২৫ বছর ধরে পিডিবি এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৫০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১.৭৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৭২৪.৬৭৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপের (৭০%) এবং চীনের সেপকো থ্রি’র (৩০%) যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিএনপি। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নয়াপল্টন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, আমান উল্লাহ আমানসহ সকল সিনিয়র নেতাদের সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এবং মিথ্যা-গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশী সাজা বাতিল এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুগপৎ ধারায় আন্দোলনের একদফা দাবির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ।
সরজমিন দেখা যায়, সমাবেশে অংশ নিতে বেলা ১টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচির প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেন।
এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চলারপথে ডেস্ক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৯ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন হাইকোর্ট।
আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
গত বছরের ৩ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিউমার্কেট থানা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এর মাধ্যমে রেলওয়ের বৈষম্যমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদ এবং তা নিরসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কমপক্ষে বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে উপবন এবং কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম-ঢাকা-ঢাকা-কক্সবাজার পথের ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে আন্ত:নগর মর্যাদার নতুন একটি ১৬ কোচ বিশিষ্ট ট্রেনের দাবি জানানো হয়। তিতাস কমিউটার ট্রেনের নতুন ১৬টি কোচের দাবি জানানো হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেস এর যাত্রাবিরতির দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উক্ত দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বুক দিয়ে কোনো ট্রেন যেতে আসতে পারবে না বলে জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত, সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্য, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোবারক হোসাইন আকন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক মো. শামীম আহমেদ, সদস্য খালেদা মুন্নী প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বেশ আন্তরিকতার সাথে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।