বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এই ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠোনে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্ঠা সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি: অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মনির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মনির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরন খান, আবু নাসের নাসু আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ২১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এদিন সাধারণ সভাও অনুষ্ঠিত হবে। প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৩ এর নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মুস্তাফা মুন্না গত ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৮ এবং অনুচ্ছেদ-৮, ধারা-১ অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৩ এর সময়সূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয়, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি একই সময়ে ও স্থানে মনোনয়নপত্র জমাদান। ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ১৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ২১ জানুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ। এরআগে সাধারণ সভা অনু্ষ্িঠত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর উদ্যোগে আজ ২৩ জুলাই রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াং ও ফিল্ড ফেসিলেটর নূরে আলম।
কর্মশালায় বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৬জন কুষ্ঠরোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, কসবায় ২ জন, নাসিরনগরে ৪ জন, আশুগঞ্জে ১ জন, বিজয়নগরে ১ জন,বাঞ্ছারামপুরে ৩ জন ও নবীনগরে ১ জন রয়েছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত জেলার আখাউড়া ও নবীনগর উপজেলায় কোনো কুষ্ঠরোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০১৯ সালে ৫৪ জন, ২০২০ সালে ৩৮ জন, ২০২১ সালে ৩৭ জন ও ২০২২ সালে ৪৪ জন রোগী সনাক্ত করা হয়। সনাক্তকৃত রোগীদের ধরণ দেখে দুইভাগে ভাগ করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় রোগীদেরকে ৬ মাস ও গুরুতর রোগীদের ১২ মাস করে চিকিৎসা দেয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া ১২৯ রোগীর মধ্যে সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ২০২২ সালের ৪৪ জন রোগীর মধ্যে ৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তবে ২০২২ সালের ৯ জন ও ২০২৩ সালে ১৪ জনসহ মোট ২৩জন রোগী বর্তমানে ১২ মাসের চিকিৎসায় অর্ন্তভুক্ত হয়ে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কর্মশালায় বলা হয়, এক সময় কুষ্ঠরোগীকে সমাজে বহু বঞ্চনার শিকার হতে হলেও এখন সে চিত্র পাল্টে গেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠরোগ শতভাগ নিরাময় সম্ভব। কুষ্ঠরোগ ব্যাকটেরিয়াজনিত ছোঁয়াচে রোগ হলেও চিকিৎসার আওতায় এলে ছোঁয়াচের মাধ্যমে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাও বহুলাংশে কমে যায়।
কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে গ্রামাঞ্চলের ধান কাটা শুরু হয়েছে। সোনালী ধানের ফলন হওয়ায় অনেকটাই খুশি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকেরা। তাদের দাবি সারসহ আনুসাঙ্গিক কৃষি পণ্যের দাম কমানো হলে ধান-চালের ন্যায্য মূল্য পাবে কৃষক। এতে করে অনাবাদি জমি গুলো সোনালী ধানের আভায় ভরিয়ে তুলবেন তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ব্রি-৭৫, ব্রি-৯০ বীনা-৭, বীনা-১৭, বিআর-২২ ও হাইব্রিড জাতিয় ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। আবাহাওয়া অনুকূলে থাকায় সোনালী ধানে ভরে উঠেছে ফসলি মাঠ। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা।
কৃষকরা জানান, জমিতে সার, কীটনাশক, নিরানী, মই দেওয়াসহ সর্বশেষ ফসল কাটতে গিয়ে তাদের উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়েছে।
কৃষকদের দাবি সার এবং কীটনাশকের দাম কমানো হলে ধানের উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। এতে ধান-চাল বিক্রি করে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন তারা। এছাড়া অনাবাদি জমি গুলোতেও বাড়বে ধানের উৎপাদন।
সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আমিন মিয়া বলেন, এবার জমিতে ধান অনেক ভালো হয়েছে। সারের দাম কমিয়ে চালের দামটা কিছুটা বৃদ্ধি করে দিলে কৃষকেরা অনেকটা লাভবান হতে পারবেন।
ঘাটুরার মো. ইয়াসিন নামে আরেক কৃষক বলেন, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ার কারণে আমরা কোনো রকম বেঁচে আছি। সার এবং কীটনাশকের দাম একটু কম হলে আমাদের যে অনাবাদি জমিগুলো আছে সেগুলোতে আমরা ধান চাষ করবো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ৫১ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ২০১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ৫১০ হেক্টর। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা। যাতে উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভজনক ফসল করার জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো জানান, এ বছর রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬৫ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাউতলী কাঁচা বাজার ও মৌড়াইল বৌ-বাজারে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গণ সংযোগকালে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সারা দেশে সকল সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড আপনাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান। এটা দেখে বিচার-বিবেচনা করে এবং আগামী দিনে যাতে শেখ হাসিনা আবারো সরকার গঠন করতে পারে সেই বিবেচনা করে আপনারা ভোট দিবেন।
তিনি বলেন, আমি দাবি করব, আপনারা উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিবেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। ভোট আপনাদের পবিত্র আমানত। আপনারা চিন্তা-ভাবনা করে ভোট দিবেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমি মনে করি, আমি একজন দুধের ফেরিওয়ালা, বাজারে গেলে আপনার দুধই কেনা উচিত। দুধ ছাড়া পঁচা-দুর্গন্ধযুক্ত জিনিসের দিকে নিশ্চয়ই আপনাদের নজর যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অনেকেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। কোন প্রার্থী সম্পর্কে আমি কোন কথা বলবোনা। বিবেচনা আপনাদের, বিচার আপনাদের। তিনি বলেন, আমি কোনো দিন আপনাদের প্রতি কোন ধরনের অন্যায় করিনি। আপনাদের কোনো ক্ষতি করিনি। এই কথাটি আপনারা একটু মনে রাখবেন। আমার সাধ্য অনুযায়ী ও আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় যতটা পেরেছি মানুষের জন্য কাজ করেছি। আপনারা দেশের উন্নয়ন -অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন।এ সময় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁর সাথে ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজ নিহতের ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা হয়েছে।
গতকাল ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকাকে। দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে প্রকাশ্যে গুলি ছোঁড়া সদ্য বহিস্কৃত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবি জয়কে।
আজ ৭ জুন শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসলাম হোসেন জানান, রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাফি আলম (২৮) ও তাঁর বড় ভাই সাগর (৩২), কাউতলীর শাহাদাৎ হোসেন ওরফে সানি (২৮), কলেজপাড়ার অপু (৩০), মামুন (৩৮), মাসুম (৪০), শাহরিয়ার ওরফে লাদেন (২২), রুবেল (২৮), অলি (৩০), রুমান (৩৫), তারেফ (৩০), সৌরভ (৩০), মামুন (২৮), মুরসালিন (২৮)। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়া হাসান আল ফারাবীসহ অন্য আসামিরা জালাল হোসেনের অনুসারী।
প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবারের দাবি বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাৎ হোসেন শোভনের বিজয়ের খবরে মিশন স্কুল কেন্দ্র থেকে আনন্দ মিছিল বের করে তার কর্মী সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় এলে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোঃ হেলাল উদ্দিনের সমর্থক জালাল উদ্দিন খোকার নির্দেশে ইজাজের মাথায় গুলি করে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইজাজ কলেজপাড়া এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আশরাফুলের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। রাতেই সুহিলপুরের মুসলিমপাড়ায় তাঁর লাশ দাফন করা হয়।