চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও লাল্লারবাগ যুব সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্যের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াগাঁও শেখ আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাও ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন মৃধা বকুল।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবু সিদ্দিক মৃধা, মো. জুলকার নাইন, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. আব্দুল আমিন, মো. রাজ্জাক মৈশান, শাহজাহান নুরতাজ খাঁ, মো. সিরাজ মাস্টার, মো. আলী হোসেন মৃধা প্রমুখ।
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই হাডুডু খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন। খেলায় বড়দল ও ছোটদল নামে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিপুল উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ছোটদল জয়লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড় এবং বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং এর বিকাশ ও লালন করতে আমি এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে সবসময়ই চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এসময় খেলা দেখতে আসা সুলতানা মিয়া বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন খেলা দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। সবাইকে নিয়ে এই খেলা দেখার মজাই আলাদা। বিশেষ দিনে এমন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’ আরেক দর্শক রফিক মিয়া বলেন, ‘খেলা দেখতে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। মাঠে হাজার হাজার মানুষ। একসাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি,বন্ধুদের নিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। হা-ডু-ডু খেলা দারুণ আনন্দ দিয়েছে। এসময প্রখর রোদে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে মানুষ। খেলার মাঠে শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। যুব সমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রোধের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আনন্দ দিতেই হারিয়ে যাওয়া হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন খেলার আয়োজন করা হবে এমনটাই জানালেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে সরাইল উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর টানা ২৩ ঘণ্টা পর রবিবার রাত ১১টার দিকে পুরো উপজেলায় একযোগে বিদ্যুৎ আসে। এরপরও চলতে থাকে লোডশেডিং। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
বিদ্যুৎ না থাকার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালি’কে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে বিউবোর কর্মকর্তারা সঞ্চালন লাইনে ‘সমস্যা’ হওয়ার কথা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়া বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মাহবুব খান বলেন, ‘এখানে বৃষ্টির দু-চারটি ফোঁটা পড়লেই টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এখন চলছে রোজার মাস। এ সময়ে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’
সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। এর নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরসহ সাতটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতাধীন। এখানে গ্রাহকসংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০০। বিউবোর এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অধিকাংশই শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টানা ২৩ ঘণ্টার বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারণে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা সদরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শাহবাজপুর ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নে বিকেল চারটার দিকে বিদ্যুৎ আসে। এ দুটি ইউনিয়নে আবার বিদ্যুৎ চলে যায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। এরপর সরাইল সদর, পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকের বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। রবিবার বিকেল চারটার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। এখানে আকাশে মেঘ দেখা দিলেই এমনটি হয়ে থাকে, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
ছোট দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী রওশন আলী বলেন, ‘সরাইল বিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কাউকে সহায়তা করে না। এ কারণে এখানে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে আরও বেশি।’
স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতের প্রচণ্ড বজ্রপাতের প্রভাবে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়। এ সমস্যা চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনেক দেরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে টর্নেডোর আঘাতে ২০টি টিনশেড ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝড়ে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদল বলেন, সকাল থেকেই ভারি ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিকাল ৩ টায় হঠাৎ করে মেরাতলী মাঠের দিক থেকে প্রচন্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে।
মুহুর্তেই এলাকার ২০ টিনশেড ঘরে আঘাত করে। এ সময় সাত থেকে আটটি বসতঘরসহ অন্ততঃ ১২টি বিভিন্ন ধরনের দোকান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এছাড়া টিনের চালা উড়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বাড়ি ঘরের উপরে গিয়ে পড়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ টি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জেলা আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আখন্দকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ মে শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের মডেল মসজিদের হল রুমে ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সৎ শিক্ষিত যোগ্য দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবান খেতাবে ভূষিত করে এই প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনার জন্য এখনই মাঠে নেমে পড়ার আহবান জানিয়েছেন নেতারা। বলে দিয়েছেন ভোট চাওয়ার নানা কৌশল।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় মডেল মসজিদের সভা কক্ষে সরাইল উপজেলা আমীর মো. এনাম খাঁর সভাপতিত্বে দলটির এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক নেতা কর্মীর অংশ গ্রহণে জেলার সেক্রেটারী মাওলানা আমীনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার দাওয়া সম্পাদক লেখক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার।
বক্তব্য রাখেন- জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আখন্দ, প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. ফজলুর রহমান, তিন উপজেলার সঞ্চালক এডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান, সরাইল উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. এনাম খাঁ ও সেক্রেটারী মো. জাবেদুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের সর্বত্র শান্তি স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন সকলের প্রত্যাশা অনিয়ম দুর্নীতি চাঁদাবাজি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও দেশ। এ জন্য প্রয়োজন কোরআনের আইন ও শাসন। সেটা নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কোন বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন-‘হতাশ হইয়ো না, দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হইয়ো না, যদি তোমরা মুমিন হও।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সদস্যরা মুমিন। তাই সাহস রেখে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। সফলতা আল্লাহ দিবেন। চরিত্র ও শিক্ষা সবার উপরে। কারো চাকচিক্য আর টাকা দেখে হতাশ হওয়া যাবে না। মোবারক হোসেন একজন আদর্শবান শিক্ষিত যোগ্য সৎ চরিত্রবান লোক। জামায়াতে ইসলাম ইসলামী ব্যাংক ও ইবনেসিনা হাসপাতাল করেছেন। ২০০১-২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জামায়াতের দুইজন নেতা বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন। মন্ত্রীও ছিলেন। কোন সংস্থা তো তাদের দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেননি। এতে সহজেই প্রমাণিত হয় জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরা সৎ। তিনি নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ছাত্র শিবিরের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন। তিনি এমপি হতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনকে দুই চোখে দেখবেন না। এক চোখ থাকবে সরাইল আরেক চোখ আশুগঞ্জে। এসব যুক্তি প্রমাণ দিয়ে মোবারক হোসেনের জন্য ভোট চেয়ে জয়ী করতে হবে। দেশের মানুষ বাবা মেয়ে স্বামী স্ত্রীর শাসন দেখেছেন। এখন ইসলামী শাসন দেখতে চাই। দেশের সকল ইসলামী দল এক প্ল্যাটফর্মে চলে আসছে। আমরা আর কাউকে কলা ক্ষেতে দিব না।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্টের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মন্দির মন্ডপ পাহাড়া দিয়েছেন জামায়াতের লোকজন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আমাদের সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করে জনগণের ভোট / সমর্থন আনতে হবে। সততা ও ঈমানী শক্তির বলে ৫ আগষ্ট আমরা জয়ী হয়েছি। আগামী সংসদ নির্বাচনেও ঈমানী শক্তির বলে আমরা জয়লাভ করে সরকার গঠন করব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের নির্বাচন পরিচালনার কৌশল ব্যাখ্যা করে প্রধান অতিথি বলেন, দুই উপজেলায় পৃথক দু’টি পরিচালনা কমিটি হবে। তারা নিজ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে কমিটি করবেন। ইউনিয়ন কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। নারী পুরুষ সকল ভোটারের কাছে মোবারক হোসেনের ছালাম পৌঁছাতে হবে। সমর্থন/ভোট চাইতে হবে। এভাবে সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সবশেষে তারা আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাইলে ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সিলেকশন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল টুূর্ণামেন্ট-২০২৪। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক শাহআলম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো: ইশতিয়াক ভূইয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হুরায়রা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহন করে।
টুূর্ণামেন্টে জেলার ৯টি উপজেলার ১০টি দল অংশ গ্রহন করবে।