স্টাফ রিপোর্টার :
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অমর একুশে। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্র“য়ারি ঢাকার রাজপথে ঘটেছিল ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার ঘটনা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে যে সংগ্রামের সূচনা ঘটেছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চুড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় প্রাণ বিলিয়ে দেয় বাঙালি তরুণ প্রজন্ম। ইতিহাস বিদদের মতে, ভাষার প্রশ্নে একুশের আন্দোলন হলেও প্রকৃত প্রস্তাবে তা ছিল শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রথম সম্মিলিত প্রতিবাদ। রক্তঝরা সে দিনটি তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে আত্ম অধিকার সচেতন করেছিল। সেখান থেকেই সমতা ভিত্তিক সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়।
পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার প্রথম দৃস্টান্ত এটি। মাতৃভাষার জন্য বাঙালির গৌরবময় আন্দোলনের ৬৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরের রক্তে সিক্ত শোকের এ দিনটি এখন গৌরবের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই বরাবরের মতো এবারও অনন্য আয়োজনে দিনটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের ৩০তম সম্মেলনে ২৮টি দেশের সমর্থনে ফেব্রুয়ারির দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮ দেশে একযোগে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্য সাধারণ অর্জন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার এত বছর পর আজও একুশের অম্লান চেতনা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়নি। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দেশের সংবিধানে বাংলার স্বীকৃতি মিললেও সর্বস্তরে তা চালুর দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সরকার ক্ষমতাসীন থাকায় জাতি অনেকটা আশান্বিত। বিশেষ করে এ সরকারের আমলে বাংলাভাষা চর্চা ও বিকাশের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শেষ হওয়ায় আশাবাদী হয়েছে মানুষ।
আজ সরকারি ছুটির দিন।
সারাদেশে আজ দিনের শুরু হয়েছে শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে। বিশ্বের দেশে দেশে নানা ভাষা, নানা বর্ণ, নানা সংস্কৃতির মানুষ আজ গাইছে একুশের অমর গান- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সে অনুযায়ী রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। রূপরেখা অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম চলবে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ শেষে বাংগাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, সে ফ্যাসিস্টদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। সে যেই হোক না কেন। যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত শেষ করা হয়। দেশে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। অনেক মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলাগুলোর কার্যক্রম যেন শেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন নাহিদ ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় চল্লিশা এলাকায় হাবিবুর রহমান নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চল্লিশা স্টেশনের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার চল্লিশা লাইট গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
এ ব্যাপারে জি আর পি পুলিশের এস আই সুরঞ্জন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তারা গৌরিপুর স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করে কথা বলেছেন। রেলে কাটা পড়লে যথাযথ আইন অনুযায়ী লিখিত দিয়ে নিতে হয়। পরে সে অনুযায়ী লাশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম জানান, বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কানে কম শুনতেন। তার লাশ যাতে ময়নাতদন্ত না করে সেজন্য আবেদন দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে কমেছে গড় পাসের হার ও জিপিএ–৫ এর সংখ্যা। জেলায় এ বছর পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এবার পাসের হার কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি। আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো.আসাদুজ্জামান।
ড. মো.আসাদুজ্জামান আরো বলেন, চলতি বছর এক লাখ ৮২ হাজার ৬৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে এক লাখ ৪৩ হাজার ২১৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৬২৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৯ হাজার ৯৯৮ জন। এ বছর শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭৯টি। গত বছর ছিল ২১১টি।
পাসের হার কম হওয়ার বিষয়ে বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার পর গত দুই বছর চারটি বিষয়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, অর্ধেক নম্বরের ওপর পরীক্ষা হয়েছিল। এবার সব বিষয়ের ওপর পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়। তাই এবার ফেলের হার বেশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজিবি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চালান রোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং আমাদের সাজ-সরঞ্জামও প্রস্তুত করেছি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লা-১০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি চূড়ান্ত ফায়ারিং প্রতিযোগিতা ও মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ চালান রোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত হচ্ছে চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। প্যাট্রলিংয়ের টাইমে টহলে একটু ফাঁকা পেলেই মাদক চোরাকারবারিরা এই সুযোগকে কাজে লাগায়। স্থানীয়রা জড়িত না থাকলে, মাদকের সরবরাহ অনেকাংশে কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, রিজিয়ন কমান্ডর সরাইলের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০-এর কর্নেল শরিফুল ইসলাম মেরাজ, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আব্দুর রশিদ নামে এক দিনমজুরের চিকিৎসা করানোর জন্য নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করেন তার স্ত্রী রোকেয়া। পরে বিষয়টি জানার পর প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিক্রি করে দেওয়া সেই কন্যাশিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাবা-মায়ের কাছে। এসময় তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় কন্যাশিশুকে তার বাবা আব্দুর রশিদ ও মা রোকেয়া বেগমের হাতে তুলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দিনাজপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী কাটাপাড়া এলাকায় থাকেন তারা।
রাতেই শিশুটিকে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। তৈরি হয় আবেগঘন মুহূর্ত। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না মমতাময়ী মা রোকেয়া বেগম। তার চোখ ছিল আনন্দ অশ্রূতে ছলছল। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্দুর রশিদ। জন্মের পর নিজ কন্যার মুখও দেখা হয়নি তার। সেই কন্যা শিশুকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত সেও।
এসময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একরামুল হক আবির ও অন্তু খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গুলিবিদ্ধ দিনমজুরের চিকিৎসাসহ পরিবারটিকে পুনর্বাসনের সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানায় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান বলেন, মায়ের কাছে সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে। এর চেয়ে মধুর স্মৃতি আর নেই। সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করার। বিশেষ করে তাদের থাকার বিষয়টি নীতিমালার আওতায় এনে তাদের পুনর্বাসন করবো। তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত সামাজিক সুরক্ষার বেষ্টনীর আওতায় পরিবারটিকে নিয়ে আসা হবে।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, সংবাদটি জানার পর আমরা সবাই সংযুক্ত হয়ে মায়ের কাছে যেন সন্তান ফিরে আসে সেই পদক্ষেপ নেয়। সেখানে হৃদয়বিদারক ঘটনা থেকে আনন্দদায়ক ঘটনায় রূপান্তরিত হয়। এতে সবাই খুশি, এটা সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বাবা-মায়ের ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে এই শিশুটিকে তাদের আত্মীয়ের কাছে তুলে দিয়েছিলেন মর্মে জানতে পারি। ছাত্রসমাজ, পুলিশ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টায় আবারও শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। ওই দম্পতিও অনেক আনন্দিত। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল, সেই দায়িত্বটুকুই পালন করেছি। শিশুটিকে বিক্রির টাকা ফেরতের ব্যাপারে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য যে অংশটুকু দিয়েছিল সেটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আব্দুর রশিদ বলেন, আগে ভালো ছিলাম না, এখন অনেক ভালো লাগছে। জন্ম হওয়ার পর আজকে প্রথম শিশুটিকে দেখতে পাচ্ছি। যারা শিশুটিকে ফিরিয়ে এনে দিল তাদের ধন্যবাদ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগছে, ওর মা, বাবা হয়ে ওর জন্য কিছু করতে পারিনি। কারণ আমি নিজেই এক বিপদের মধ্যে। শিশুটি আমাদের কোলে এসেছে, যতই কষ্ট হোক তাকে মানুষ করবো।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুরে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আব্দুর রশিদ যান দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। স্ত্রীকে রেখে নিচে নামলে চলমান সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তার শরীরে গুলি লাগে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। পরে পেটের গুলিবিদ্ধ স্থানে পচন ধরলে পেশায় দিনমজুর রশিদ ৮ আগস্ট দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার, এরপর আইসিইউতে। পরদিন বাড়িতে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
এদিকে হাসপাতালে রশিদের চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ আসে ৩৬ হাজার টাকা। এই অর্থ তার পরিবারের জন্য যে বোঝা! মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই। থাকেন অন্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। উপায় না পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ পরিশোধ করতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুর রশিদের স্ত্রী বাধ্য হয়ে কুড়িগ্রামে তাদের এক আত্মীয়ের কাছে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনদিন বয়সী কন্যা সন্তানকে তুলে দেন।