চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। বিকেল ৫টায় মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। মানববন্ধনে গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরীর যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের নেতারা সেই কর্মসূচি বাতিল করেন।
এরমধ্যে তাহেরী সোমবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার ঘোড়াপট্টি সেতুর ওপর থেকে লোকজনকে সাথে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোড এলাকায় আগে থেকে উপস্থিত থাকা মাদরাসা ছাত্ররা চারদিক থেকে ঘেরাও করে তার গাড়িতে হামলা চালান। এসময় তাহেরী কোনো রকমে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
তাহেরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘নিরাপত্তার হুমকি থাকায় আমাদের আয়োজন স্থগিত করা হয়। গাড়ি নিয়ে কাউতলী যাওয়ার পথে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা বরাবর সড়কে পৌঁছলে ছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।’ বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে তিনি অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এ সময় গিয়াসউদ্দিন তাহেরি তার বক্তব্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে মোবাইলে কল করে অভিযোগ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ এর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর সোমবার তারিখে নির্বাচনী উপ কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এই তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর ২০২৪ইং রোজ শনিবার। নির্বাচনের মনোনয়পত্র বিলি করা হবে আগামী ২ ও ৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার ও রোববার প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করা যাবে ৪ ও ৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হবে ৬ নভেম্বর ২০২৪ইং, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার। এইদিন সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতী দিয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চলবে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘ ও বিশ্ব বধির সংস্থা ঘোষিত আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক বধির সপ্তাহ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বধির সংঘ আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার র্যালি ও মানববন্ধন করেছে। মুন্সেফপাড়া থেকে বধির সংঘের শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে। এতে তারা ইশারা ভাষার অধিকারে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান। এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নতুনমাত্রার সম্পাদক আল আমীন শাহীন। বধির সংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সঞ্জিত বসাক, খোকন চন্দ্র শীল, সামসুজ্জামান, সালাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিন্ন চাকুরিবিধি প্রণয়ন ও সকল চুক্তিভিত্তিক / অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিকরণের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন, ডিজিএম (কারিগরী) আবু সাইম, এজিএম আব্দুল হাকিম, এজিএম মোঃ সালাহউদ্দিন, বিলিং সহকারী রিয়া পাল, বিলিং সহকারী সাধন আহমেদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক নিন্মমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয় ও সরবরাহ করায় গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছেনা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মালামাল ও জনবলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এ সময় তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দ্বৈতনীতি পরিহারপূর্বক অভিন্ন চাকরিবিধি প্রণয়ন ও সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিকরণের দাবি জানান। এমতাবস্থায় ১ অক্টোবর থেকে বাপবিবোর্ডের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-সকল ধরণের যোগাযোগ, তথ্য সরবরাহ থেকে বিরত থাকার জন্য পর বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালনশেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৫ শতাধিক সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।