চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে অরুন মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরো করে ইট দিয়ে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও মেয়ে লাকি আক্তারকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুন মিয়া। হত্যার চারদিন পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত অরুন মিয়া ফরদাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎমা মোমেনা বেগম ও সৎবোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, অরুণ মিয়া নিহতের ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগমের সঙ্গে অরুন মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে অরুন মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে মোমেনা তার মেয়ে লাকিকে নিয়ে লাশ নয় টুকরো করে পলিথিনে ভরে পার্শ্ববর্তী মনির মিয়ার সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেন। মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী সেফটি ট্যাংকি থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পলিথিন খুলে পুলিশে খবর দেয়। যাতে অরুন মিয়ার লাশের খণ্ডিত অংশ মেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকারচর গ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স প্যালেসে বাঞ্ছরামপুর কল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়। পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল মাহবুবুর রহমান মেমোরিয়াল হাসপাতলের একাধিক মেডিক্যাল টিম, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় দুই হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু ও বিভিন্ন রোগের সেবা প্রদান করে।
শিবিরে বিশেষভাবে চোখের চিকিৎসার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের বিস্তারিত পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে বিনামুল্যে তাদের ওষুধ ও চশমা প্রদান করা হয়। সেই সাথে চোখে ছানিপড়া রোগীদের চিহ্নিত করে তাদের কে লায়ন্স হাসপাতাল চট্টগ্রামে নিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মেডিসিন, গাইনি, শিশু রোগ, চর্ম, হৃদরোগ বিভাগে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয় ও বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) এসএম সাইদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চক্ষু শিবির আয়োজন একটি মানবিক সময়োপযোগী উদ্যোগ। সমাজের দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এ আয়োজন নিঃসন্দেহে আশীর্বাদস্বরূপ। আমি আশা করি, এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত হলে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’
প্রধান প্রকৌশলী (অব.) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এই চিকিৎসা শিবিরে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ উপস্থিত থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ঔষুধ প্রদান, চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় অপারেশনের
ব্যবস্থা করেন।
মকবুল ইঞ্জিনিয়ার মো. হোসেন বলেন, ‘গ্রামীণ দোরগোড়ায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ শিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে চোখের চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য হল্গেকেউ যেন অর্থাভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ নিয়মিত হলে সমাজের অসহায় মানুষরা আরও বেশি উপকৃত হবে। মুখ্য আলোচক ছিলেন পিএমজেএফ জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ অপু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক ফারুক আলম, কনস্টেবল ইমন, জুয়েল প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে একত্রিত করে একটি মানবিক ও সচেতন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে তারা এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে শিবিরে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জামাল আবু নাসের বলেন, গ্রামীণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ শিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমে অনেকেই সরাসরি উপকৃত হবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ ধরনের মানবিক উদ্যোগকে সবসময় সহযোগিতা পাশে থাকবে। পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন, সমাজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কল্যাণে যে ধরনের ক্ষেত্রে আয়োজন হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। উদ্যোগ সমাজের দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা প্রাপ্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি, এই উদ্যোগে এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য সচিব মো. মহসিন বলেন, আমাদের এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা চাই, একটি বলেন, মানবিক সমাজ গড়ে উঠুক যেখানে অসহায় কেউ চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাবেন না। এই শিবিরে যারা আসবেন, তারা যেন সুস্থ হয়ে নতুনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সেটাই আমাদের প্রার্থনা। তিনি আরও পাইকারচর স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুধ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি শুধু চিকিৎসা সেবা নয়। সংগঠনটি নিয়মিতভাবে খেলাধুলা, বৃক্ষরোপণ, শিক্ষামূলক কার্যক্রম সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করা এবং একটি মানবিক, সচেতন ও সুস্থ সমাজ গড়ে তোলাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে। তাই ভেঙে ফেলা হয় বেইলি সেতু। এর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। বিকল্প রাস্তা নির্মাণ না করেই সেতুটি ভেঙে ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের বেইলি সেতুটি গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভেঙে ফেলেন ঠিকাদার। ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর-কুমিল্লা সড়কে ছিল সেতুটি। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে পাশের কাঁচা মাঠ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী থেকে বারিয়াদহ বিলের সঙ্গে যুক্ত খালের ওপর একটি বেইলি সেতু ছিল। ১৯৯০ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর, দেবীদ্বার, নবীনগর, হোমনা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ফরদাবাদ গ্রামের শান্তির বাজারসংলগ্ন খালটির ওপর ৩১ দশমিক ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করছে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স (জেবি) নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত ২ জানুয়ারি কার্যাদেশ পায় প্রতিষ্ঠান দুটি। কাজটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি শেষ করতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও নির্মাণ হয়নি বিকল্প সড়ক। এ কারণে রাস্তার পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। মাঠের নরম মাটিতে যানবাহন প্রায়ই আটকে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্ত ও মাটি কাদা হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুই মাস ধরে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। মাটি কাটার কারণে সেতুর দক্ষিণ পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল মার্কেটের দুটি কলামের মাটি সরে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উত্তর পাশের আলমগীর হোসেনের বাড়িতে নির্মিত মার্কেটের তলার মাটি সরে গিয়ে মার্কেটে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানের ভাড়াটিয়া তাদের মালপত্র নিয়ে সরে গেছে।
ফরদাবাদ গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু হলেও কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানবাহনগুলো স্কুলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন চলার কারণে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী কবির হোসেনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বৃষ্টি হলেই মালবাহী ট্রাক মাঠের কাদামাটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই সেতুটি ভাঙা কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাবু মিয়া বলেন, হটাৎ করে সেতুটি ভেঙে ফেলায় ও বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের দাবি, জায়গা না থাকায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই মাঠ দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই জায়গায় ইট-সুরকি ফেলে দেওয়া হবে।
পাশের ভবনগুলোতে ফাটল ও ঝুঁকির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, উন্নয়নকাজের সময় কিছু সমস্যা হতে পারে। ৭-৮ মাস ধরে নির্মাণসামগ্রী এনে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যাবতীয় কাজের দায়িত্ব ঠিকাদারের। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার জন্য তাঁকে বলে দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জাতির জনক সারাজীবন বাঙ্গালীর অধিকার আদায় ও সেবার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। লক্ষ্য ছিল বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলার মাটিতে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন তার বিকল্প আর বাংলাদেশে কেউ-ই হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় জনগণ ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সুযোগ করে দেবেন। জনগণই আমার শক্তি, আমি জনগণের সেবক।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমির, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এই রায় প্রদান করেন। এছাড়াও এই মামলায় দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত৷
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুরের মতিন মিয়ার ছেলে মো. কবির হোসেন (২২), একই এলাকার শাহ আলম শেখের ছেলে সজিব মিয়া প্রকাশ সজিব শেখ (২৫) ও লিটন মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (২৫)। এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আব্দুল আওয়াল ও রুবেল নামের দুইজন আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা (বিভাটেক) চালক মো. শরীফুল ইসলামকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার অটোরিকশাটিও নিয়ে যায় তারা। এই ঘটনায় নিহতের বাবা এরশাদ মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় পৃথক পৃথক জবানবন্দি প্রদান করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার স্বাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালতে সকল আসামির উপস্থিতিতে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস প্রদান করে রায় দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল বলেই বাংলা আজ সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব দরবারে হয়েছে সমাদৃত। জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছে এই দেশকে। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। জঙ্গিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হরতাল ও সন্ত্রাস প্রতিহত করায় দেশবাসী আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করে।
তিনি বলেন, অপরদিকে নালিশ পার্টিগুলি দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচন আসলে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার লোভে ঘুরে ভেড়ায়। জনগণের কাছে এসে ভোট চাওয়ার কোনো সাহস তাদের নেই। সেজন্য বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জলি আক্তার, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।