চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে অরুন মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরো করে ইট দিয়ে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও মেয়ে লাকি আক্তারকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুন মিয়া। হত্যার চারদিন পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত অরুন মিয়া ফরদাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎমা মোমেনা বেগম ও সৎবোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, অরুণ মিয়া নিহতের ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগমের সঙ্গে অরুন মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে অরুন মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে মোমেনা তার মেয়ে লাকিকে নিয়ে লাশ নয় টুকরো করে পলিথিনে ভরে পার্শ্ববর্তী মনির মিয়ার সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেন। মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী সেফটি ট্যাংকি থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পলিথিন খুলে পুলিশে খবর দেয়। যাতে অরুন মিয়ার লাশের খণ্ডিত অংশ মেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মাসহ দুই শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেসি আক্তার (৩৫), বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার রহস্য উদ্ধার করতে কাজ শুরু করেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির মালিক শাহ আলম সৌদি আরবে রয়েছেন। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে থাকতেন স্ত্রী জেসি।
সকাল ৯টার দিকে গৃহপরিচারিকা এসে বাড়ির গেট লাগানো দেখেন। অনেক ডাকাডাকি করলেও কেউ গেট খুলছিলেন না। সাড়া-শব্দ না পেয়ে কিছুদূরে জেসির শাশুড়ির বাড়ি থেকে চাবি এনে দরজা খোলেন স্থানীয়রা। এ সময় ঘরের মেঝেতে দুই সন্তানসহ জেসির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান তাঁরা।
ওই ঘরে সাত মাসের শিশু ওজিহা খাটের ওপর কান্না করছিল। শিশু ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মাথায় কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে মা ও বড় ছেলের। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরের দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেউ এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে। তাই ভেঙে ফেলা হয় বেইলি সেতু। এর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। বিকল্প রাস্তা নির্মাণ না করেই সেতুটি ভেঙে ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের বেইলি সেতুটি গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভেঙে ফেলেন ঠিকাদার। ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর-কুমিল্লা সড়কে ছিল সেতুটি। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে পাশের কাঁচা মাঠ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী থেকে বারিয়াদহ বিলের সঙ্গে যুক্ত খালের ওপর একটি বেইলি সেতু ছিল। ১৯৯০ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর, দেবীদ্বার, নবীনগর, হোমনা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ফরদাবাদ গ্রামের শান্তির বাজারসংলগ্ন খালটির ওপর ৩১ দশমিক ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করছে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স (জেবি) নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত ২ জানুয়ারি কার্যাদেশ পায় প্রতিষ্ঠান দুটি। কাজটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি শেষ করতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও নির্মাণ হয়নি বিকল্প সড়ক। এ কারণে রাস্তার পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। মাঠের নরম মাটিতে যানবাহন প্রায়ই আটকে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্ত ও মাটি কাদা হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুই মাস ধরে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। মাটি কাটার কারণে সেতুর দক্ষিণ পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল মার্কেটের দুটি কলামের মাটি সরে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উত্তর পাশের আলমগীর হোসেনের বাড়িতে নির্মিত মার্কেটের তলার মাটি সরে গিয়ে মার্কেটে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানের ভাড়াটিয়া তাদের মালপত্র নিয়ে সরে গেছে।
ফরদাবাদ গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু হলেও কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানবাহনগুলো স্কুলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন চলার কারণে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী কবির হোসেনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বৃষ্টি হলেই মালবাহী ট্রাক মাঠের কাদামাটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই সেতুটি ভাঙা কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাবু মিয়া বলেন, হটাৎ করে সেতুটি ভেঙে ফেলায় ও বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের দাবি, জায়গা না থাকায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই মাঠ দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই জায়গায় ইট-সুরকি ফেলে দেওয়া হবে।
পাশের ভবনগুলোতে ফাটল ও ঝুঁকির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, উন্নয়নকাজের সময় কিছু সমস্যা হতে পারে। ৭-৮ মাস ধরে নির্মাণসামগ্রী এনে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যাবতীয় কাজের দায়িত্ব ঠিকাদারের। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার জন্য তাঁকে বলে দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভয় নেই, ভয় আছে বিএনপি-জামায়াতের, যারা সন্ত্রাস করবে তাদের। তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও এক সুতোয় গাঁথা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকেই বোঝা গেছে তিনি মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। তিনি পাকিস্তানের অন্যায়, অবিচার, জুলুমসহ ধ্বংসাত্মক সকল কার্যক্রম বাঙালি জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জীবনভর আন্দোলন করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকল অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থান বঙ্গন্ধুরই স্বপ্ন ছিল।
এই সোনার বাংলা বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
বিশ্বশান্তি কামনায় ১৯৭৩ সালে ২৩ মে বিশ্বনেতারা জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক স্যামুয়েল আহম্মেদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম এমপি অন্য একটি অনুষ্ঠানে ৬১টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে একটি করে ল্যাপটপ তুলে দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ইয়াশা সোবহানের নিজস্ব তহবিল থেকে বাঞ্ছারামপুরে পাঁচ দিনব্যাপী অসহায়, ভিক্ষুক, মাদরাসা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় দুর্গারামপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কম্বল বিতরণের আগে আল-আমিন হাফিজিয়া মাদরাসার মাওলানা হাফেজ মো. মহিউদ্দিনের আয়োজনে বসুন্ধরা গ্রুপ পরিবারবর্গ ও দেশবাসীর জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার প্রমুখ।
উপস্থিত আছাদনগরের দুটি মাদরাসা ও দুর্গারামপুরের দুটি মাদরাসার এতিম ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই কম্বল। পর্যায়ক্রমে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক ৬০টি মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই হাজার ৫০০ কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে রয়েছে বাঞ্ছারামপুরের ৫৬টি মাদরাসা, হোমনার তিনটি মাদরাসা এবং নবীনগর উপজেলার একটি মাদরাসা। পাশাপাশি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষুক, অন্ধ ও পথচারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই শীতবস্ত্র।
কম্বল পেয়ে পথচারী প্রতিবন্ধী ইসমাইল (৬৫) বলেন, ‘হাটতা পারি না, রাস্তার দারে বইয়া বইয়া ভিক্ষা করি। এই কম্বলডা এত শীতে অনেক কামে লাগব। আল্লাহর কাছে যারা দিছে তাগু লাগি দোয়া করি।’
আছাদনগর মাদরাসার এতিমখানার ছাত্র জুনাইদ (৭) বলে, ‘ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা শুরু করি।
অনেক শীত, এই কম্বলটা অনেক কাজে লাগবে। বসুন্ধরার মালিকদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।’
হাফেজ মো. সাজিব (১০) বলে, ‘আমাদের মাদরাসার এতিমখানার সকল ছাত্র কম্বল পাইছে। এখন আর কেহর শীতের কারণে পড়ালেখা সমস্যা হবে না। আমরা সবাই একসাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করমু, যাতে মালিকপক্ষ সবাই ভালো থাহে।’
হোমনার হরিপুর মার্কাযুল জিকির মাদরাসার ছাত্র ইমরান (৮) বলে, ‘বাঞ্ছারামপুর থেইকা আইসা আমাদের হোমনায় বসুন্ধরা গ্রুপের লোকেরা কম্বল দিয়া গেছে। এই শীতে আমরা কম্বলডা গায় দিয়া বেশি কইরা পরতা পারমু। আল্লায় হগলেরে ভালো রাহুক।’
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউজ ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে সাংবাদিকবৃন্দ ও ছাত্র জনতা মানববন্ধন করেছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন বক্তারা। সাংবাদিকরা সরকারের কাছে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার নিশ্চিতে জোর দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন এম এ আউয়াল, রিপন মিয়া, মো. জহিরুল হক, মোল্লা মোঃ নাছির, দিলীপ কুমার সূত্রধর, মীর মোশারফ হোসনে, মোঃ শামিম শিবলী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সুমন চক্রবর্তী, আশিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান বাবু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ বাহারুল ইসলাম, মোঃ পলাশ সরকার এবং আতাউর রহমান সনেট প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্পাদক ও হিসাব বিজ্ঞান বিভিাগরে বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার বলেন, হামলাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তা না হলে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝুঁকি নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে উৎসাহ হারাবে সাংবাদিকরা।