চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় অবৈধভাবে উড়াল গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল ১ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর ও বাকাইল গ্রামের পাশে তিতাস নদীতে অবৈধ গ্যাসের পাইপ লাইন লাইন উচ্ছেদের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে উড়াল গ্যাস ব্যবহার কাজে ব্যবহৃত তিতাস নদীতে অবৈধভাবে স্থাপিত ২২ টি গ্যাস উত্তোলন ট্যাংক ও প্রায় ৭ হাজার মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, উড়াল গ্যাস ব্যবহার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আমরা অভিযান শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) মোঃ আশরাফুল আলম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাসের-৩ নম্বর কূপ থেকে এই গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। এ ঘটনায় গত ২০০৬ সালে তিতাসের ৩ নম্বর কূপটি বন্ধ করা হয়। বর্তমানে লিকেজ দিয়ে যে গ্যাস বের হচ্ছে তা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী, জেলা প্রশাসনের নেজারতে ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ইকরামুল হক নাহিদ সহ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে নিয়োজিত দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে ড্রেজার ও বাল্কহেডের দুই চালককে দুই মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপাওয়া দুই চালক হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুভারামপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকার তিতাস নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে নদী থেকে বিপণনের উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করায় এবং ড্রেজিং এর কারণে নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় আইনের ১৫(১) ধারায় আটক দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালককে ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও আটক চারজন শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় দিয়ে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ‘‘গ্রাম হবে শহর’’ শীর্ষক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ সকল উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সহযোগীতা নিয়ে একযুগে এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবে।
তিনি আজ ২১মে রবিবার জেলাপরিষদের ৫ম মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় পরিষদের এডিপি ও রাজস্ব খাতের ২য় পর্যায়ের প্রকল্প গ্রহণ সহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, গণকবর, বধ্যভূমি ও শহীদ সমাধি সংরক্ষণ সহ খ্যাতিমান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ এবং বৃক্ষরোপন ও শিক্ষা বৃত্তি বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাছাড়া পরিষদের তিন সদস্যের অস্থায়ী চেয়ারম্যান প্যানেলটি নির্বাচনের মাধ্যমে পূণর্গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জনপ্রতিনিধি সদস্য, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান অলিও, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা: রাফি উদ্দিন আহমেদ, বিজয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মোকাই আলী, কসবা উপজেলা চেয়াম্যান রাশেদুজ্জামান কাউছার, নবীনগর পৌরমেয়র শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরমেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী এবং বাঞ্ছারামপুর পৌরমেয়র তফাজ্জল হোসেন এবং কর্মকর্তা সদস্য সদর পৌরসভা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃন্দ এবং নির্বাচিত সদস্য বারজন যথাক্রমে বিউটি কানিজ, রুমানুল ফেরদৌসী, সনি আক্তার, সামছুল কিবরিয়া রাজা, পায়েল হোসেন মৃধা, মোঃ বিল্লাল মিয়া, বাবুল মিয়া, বাবুল আক্তর, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, মোঃ নাছির উদ্দিন ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, গত ৪ মাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে ভেঙ্গে পড়া আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। শহরের ট্রাফিকিং ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছি। এই শহর নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো। স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি, কিন্তু সময় পাইনি।
তিনি বলেন, আরো তিন মাস সময় পেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাঙ্গা চিরতরে নির্মূল করতে পারতাম। ২২ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে তাঁকে দেয়া বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে পুলিশ একটি দলের হয়ে কাজ করেছে। যার জন্য পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের একটা বিদ্বেষ ছিলো। বর্তমান সরকার পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে দাঁড় করাতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যোগদান করেই প্রথমে প্রেসক্লাবে এসেছি। আবার চলে যাবার সময়ও আবার প্রেসক্লাবে এসেছি। আমার সাড়ে ৩ মাস সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য কতটুকু কাজ করেছি তার মূল্যায়ন আপনারা করবেন। তিনি বলেন, পুলিশের অনেক ভুল-ত্রুটি ছিলো। বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশে ৪৪জন পুলিশকে মারা হয়েছে। এতে করে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে গিয়েছিলো। আমরা পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, পুলিশের সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও থানার সকল গাড়ি, আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। একটা ধ্বংসস্তুপের উপর আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছিলাম। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি বলতে কিছুই ছিলোনা। এমন পরিস্থিতিতে কাজ করতে কষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সংকট রয়েছে, গাড়ির সংকট রয়েছে। এই সমস্যা একদিনে নিরসন করা সম্ভব নয়। তারপরও বর্তমানে পুলিশ ভালো কাজ করছে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করতে পেরে ভালো লেগেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকতা খুবই সমৃদ্ধ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য কাজ করতে পেরেছি এটাই আমার সান্তনার জায়গা। পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগস্টের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাফিকিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছিলো। আমরা আস্তে আস্তে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আজ ৫ জুন বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পাইকপাড়ার আব্দুস সামাদ মেরাজ ও স্বপন মিয়া, মধ্যমেড্ডার কামাল মিয়াকে সাতদিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাহেদ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নাসিরনগরের ইউএনও জানান, ওই প্রার্থী মহেশপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার আনার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করেছিলেন। একই কেন্দ্রে ওই প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আনোয়ার হোসেনকে তিনদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বিধি না মেনে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখেন।
অপরদিকে বিজয়নগরের কালীসীমা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ব্যালটের ছবি তোলার অভিযোগে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে তিনদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আশুগঞ্জের অ্যাসিল্যান্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।