চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকা থেকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি নজর মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাতে ১৮:৩০ টায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার পলাতক অভিযুক্ত আসামি নজর মিয়া (৬০), পিতা- মৃত রহিম গার্ড মন্নু মিয়া, শাহবাজপুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামিকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, উক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডাকাতি করাকালে দূর্ধূষ তিন সড়ক ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের বাবলু, মাসুদ আহমেদ শিপন (২২) ও আনোয়ার হোসেন আনার (৩৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত গভীররাতে এস আই নুরুন্নবী সংগীয় ফোর্স সড়কের ফায়ার সার্ভিসে সামনে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ মাসুদ ও আনোয়ার নামের দুই ডাকাতকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
মাসুদ কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। আনোয়ার একই ইউনিয়নের লস্কর পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি রামদা সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত আনোয়ারের কাছ থেকে সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে ইফাজ উদ্দিন আহমেদের ডাকাতি হওয়া ১২ শত টাকা ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাতের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে ডাকাত বাবলুকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরাইল ও পার্শ্ববর্তী থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। ডাকাত মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘দেশ প্রেমের শপথ নিন, দুর্নীতিকে বিদায় দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে গতকাল ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা প্রধান অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীর কায়ছান।
বক্তব্য রাখেন- জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, মাধ্যমিক শিক্ষার অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি ও ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মানিক, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান, অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী ও সাংবাদিক জুলকার নাঈন।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রত্যেককে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। তবে এটা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। পারিবারিক শিক্ষাটা প্রত্যেকটা মানুষ আজীবন মনে রাখে। তাই কাজটি প্রথম প্রত্যেকের পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। এই কাজে সফলতার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। আসুন, দুর্নীতির মতো জঘন্য কাজ প্রতিরোধে সকলে সচেষ্ট হয়। সুন্দর স্বচ্ছ পরিবার সমাজ দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখি।
প্রসঙ্গত: এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে সরাইল উপজেলার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সাদিয়া আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। নিখোঁজ সাদিয়া উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে। গত ১৬ মার্চ ভোরে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা ফারুক মিয়া।
সাধারণ ডায়েরির তথ্য থেকে জানা যায়, কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার রুবি। সম্প্রতি অজ্ঞাত এক ছেলে সাদিয়ার মোবাইলে ফোন করে কথা বলত। পরিবার বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করলেও মেয়ের কাছ থেকে ওই ছেলের নাম ও মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। গত ১৬ মার্চ ভোরে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন সাদিয়া ঘরে নেই। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত তার সাথে পরিবারের কোনো যোগযোগ নেই।
সাদিয়ার বাবা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে তা নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ঘটনার পর ওইদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। ১৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ মিলছে না। আমরা দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্ট অব্যাহত আছে। তার সন্ধান পেতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদের জায়গায় থাকা ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি না নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে ভাটায় থাকা মাটিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, ওই ভাটার কোনো ধরনের অনুমতি ছিল না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, ‘মেসার্স জিসান ব্রিকস্’ নামক ইটভাটাটি অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত করে আসছিলো। এ জন্য গত ২৬ নভেম্বর ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ইট প্রস্তুতের দায়ে ইট ভাটার চিমনি ভেঙে দেয়া হয় ও দুই ব্যক্তিকে ১০ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশ না মেনে রাতের আধাঁরে লুকিয়ে ইট ভাটার আগুন সচল রাখার চেষ্টা করছিলো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে দেয়া হয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্লুয়ার মেশিন (হাওয়া মেশিন) নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়। যাতে করে ইট ভাটাতে আর আগুন জ্বালাতে না পারে। তিনি আরো জানান, ইট ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্বের রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত এই ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে, দ্রুত ভাটার নিলাম কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাগিদ দেওয়া হয়।
ইউএনও মোশারফ হোসাইন জানান, অনুমতিহীন ওই ভাটায় রাতের আঁধারে ইট প্রস্তুত করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আগের একটি রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ওই ইটভাটার নিলাম কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল হাসান ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার নিজ সরাইল এলাকার মুগল মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (২৮), দামাউড়া এলাকার আবুল উদ্দিনের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৭), অরুয়াইল এলাকার শওকত মিয়া ছেলে হাবিব মিয়া (৫০) ও নাসিরনগরের চাতলপাড় এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে সাদেক মিয়া (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের পাশে ইসলামাবাদ এলাকায় খুঁটি থেকে ট্রান্সমিটার খুলছিলেন চোর চক্রের সদস্যরা। ট্রান্সমিটারটির ভেতরের কয়েলে ব্যবহৃত তামার ক্যাবল বের করার সময় টের পায় স্থানীয়রা। এরপর তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমারের ভেতরের কয়েল থেকে পিতলের তার চুরির সময় ৪ চোরকে হাতেনাতে আটক পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। তাদেরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।