চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীমের বদলির প্রতিবাদে উপজেলা সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীর সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে সার্বক্ষণিক ছিলেন। আন্দোলনে আহতদের অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন এবং হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। আন্দোলনের পর যে সব ছাত্র ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজ করেছে, তাদেরকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন।
বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীমের বদলির আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং তাকে পুনরায় বহাল করা হোক। নতুবা আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সন্ত্রাসী হামলায় জামালপুরের বকশীগঞ্জের ৭১ টিভি ও বাংলা নিউজের নির্ভীক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুন শুক্রবার শেষ বিকেলে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাহাবুব আলম লিটন, আসাদুজ্জামান কল্লোল, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য্য, তাজুল ইসলাম, মেহাম্মদ হোসেন শান্তি, মিঠু সূত্রধর পলাশ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য টিটন দাস, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহম্মেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- সাংবাদিক গোলাম রব্বনী সহ ইতোপূর্বে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার বিচারসহ অধিকাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়নি। ধারাবাহিক ভাবে সাংবাদিক হত্যাও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সকল সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
সভায় এ হত্যকান্ডের প্রতিবাদে তিন দিন কালো ব্যাজ ধারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আইডিপি আর মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, বিপি মোশাররফ হোসেন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, নিয়াজুল হক কাজল, প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু,সাইফুর রহমান সোহেল,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আবু মুসা, এম আর মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন শিশু,প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, ,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আবু কাউসার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বললেন হাজার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়গারায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছিলেন মাঝখানে ৫ বছর বিএনপির ক্ষমতায় এসে সেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম চালু করেছেন যার সুবিধা আমরা সকলেই এখন ভোগ করছি।কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের শেষে গ্রামের রাস্ত দি য়ে যাওয়ার পথে উভয় পাশের বাড়ির মহিলাদের নিকট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট চাইলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আলিয়াবাদ এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৩ প্যাকেট নুডুলস, ৩ প্যাকেট সেমাই, ১ প্যাকেট লিচি মাত্র ১০০ টাকায় বিক্রি করছিল নরসিংদীর আকবর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০)।
বিষয়টি মামুনের সন্দেহ জনক মনে হলে তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহানকে অবগত করেন।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান। ভৈরব থেকে এ সকল নকল পণ্য ক্রয় করে নবীনগরে নিয়ে এসে বিক্রি করেন বলে জানান আটককৃত মোহাম্মদ আলী। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, এ সব উৎপাদিত পণ্য মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় ও কর্তৃপক্ষের কোন অনুমোদন না থাকায় আটককৃত ব্যক্তিকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরে আলমের বিরুদ্ধে চাঁবাবাজীর মামলা হয়েছে। ২ মার্চ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে নয়জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর মামলা করা হয়।
নবীপুর গ্রামের আবু কালামের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। অন্যান্য আসামীরা হলেন, ওই ইউনিয়নের দড়িলাপাং গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাদিস মিয়া, জাহের আলী মেম্বারের ছেলে শাহ জালাল, কবির মিয়া, সাইফুল মিয়া, মুর্শিদ মিয়া, রুস্তম আলী ছেলে হযরত আলী, শাহ কামালের স্ত্রী সালেহা বেগম, মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আক্তার হোসেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ‘পিবিআই’কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবীপুর গ্রামের কালাম মিয়ার সাথে চেয়ারম্যান নুর আলম ওরুফে নুরে আজ্জম ও তার গ্রুপের সাথে বিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার বাহিনী লিপি বেগমও তার স্বামী কালামকে পথে আটকিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ শ্রীলতাহানী ঘটায় এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ২ ফর্দ নন জুডিসিয়াল খালি ষ্ট্যাম্প তাদের দু’জনের স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনা ‘কাউকে জানালে বা মামলা মোকদ্দমা করলে তার স্বামীকে খুন করে মেঘনা নদীতে ভাসাইয়া দিবে’ প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নূরে আলম তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলার বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জোয়ারের পানিতে ডুবে নাহিদ মিয়া (৪) নামে এক শিশু মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু নাহিদ ওই গ্রামের শহিনুর আলমের ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নাহিদসহ আরও কয়েকজন শিশু বাড়ির পূর্বপাশের একটি জমিতে বর্ষার জোয়ারের পানিতে গোসলে করতে যায়। গোসল শেষে অন্য শিশুরা বাড়িতে চলে আসলেও নাহিদ আসেনি। এর কিছুক্ষণ পর নাহিদের মরদেহ জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পায়।
পুলিশের কর্মকর্তা আরো বলেন, শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।