চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইয়ার নেতৃত্বে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। র্যালির পর সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম, প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস এবং সহকারী শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম ঠাকুর।
বক্তারা শিক্ষকদের ভূমিকা ও তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষকেরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সর্বদা নিবেদিত রয়েছেন।
এছাড়া, শিক্ষকদের কাজকে সমাজে যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে হবে। বক্তারা সরকারের শিক্ষানীতি এবং শিক্ষকদের অধিকারের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, মিডিয়া কর্মীসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিদ্যালয়ে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা আঞ্চলিক সড়কের ১০/১২টি দোকান ভাংচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা আলমগীরের ছেলে আমান এর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে বড্ডাপাড়া গ্রামের মৃত তাহাজ্জত আলীর ছেলে ভ্যান চালক এরশাদের গাড়ির।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এসময় আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের শুরুতে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানে হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাঘের এই হাড় কাঁপানো শীতে মাঝে মধ্যেই থমকে যাচ্ছে জনজীবন। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কোন রকমে শীত নিবারণ করছেন। অসহায় দরিদ্র লোকজনের অবস্থা খুবই করূন। তীব্র এই শীতে ভবঘুরে ও ছিন্নমূল মানুষদের দিনরাত যাচ্ছে সীমাহীন কষ্টে। আর সেই শীতার্থ মানুষদের পাশে কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সরাইলের ইউএনও মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়া। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইউএনও কম্বল নিয়ে নেমে পড়েন সরাইল সদরের বিভিন্ন সড়কে ও মহল্লায়। ঘুরে ফিরে তিনি দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূল নারী পুরূষদের পড়িয়ে দেন কম্বল। সড়ক বা মার্কেটের সামনে স্বামী স্ত্রী আদরের সন্তানদের জড়িয়ে ধরে ঘুমুচ্ছে। ঘুমের মধ্যেই হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে সকলেই। এমন অনেক পরিবারের সদস্যদের কম্বল পড়িয়ে দিয়েছেন। শীতে জবুতবু লোকজন কম্বলের উষ্ণতায় আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়েন।
এক বৃদ্ধ জানতে চান কম্বল কে দিয়েছে? ইউএনও বলেন, কম্বল দিয়েছেন সরকার।
আমি সরকারের প্রতিনিধি হয়ে আপনাদের মাঝে বিতরণ করছি। আল্লাহ বলে ওই বৃদ্ধ হাসিনা ও ইউএনও’র জন্য দোয়া করতে থাকেন। এভাবে কুট্টাপাড়া মোড়, হাসপাতালের মোড় ও কালিকচ্ছ এলাকায় রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ঘুরে শীতার্ত মানুষদের কম্বল দিয়েছেন। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়া বলেন, এটা দরিদ্র অসহায় শীতার্থ মানুষদের জন্য সরকারের একটা প্রচেষ্টা। কেউ শীতে কষ্ট করবেন না। আমাদের প্রচেষ্টা আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সদ্য সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদ খালিদ জামিলকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমি ও সরকারি কলেজ।
এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকালে ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার দফতরে উনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধণা সভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উত্তর কালিকচ্ছ মর্ডাণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও শাহজাদাপুর ইউপি আ’লীগের সভাপতি মো. ছায়েফ উল্লাহ ঠাকুর।
এ ছাড়াও সরকারি কলেজের প্রভাষকবৃন্দ ও শিল্পকলা একাডেমির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়েন। কর্ম ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও কৃতিত্ব তুলে ধরে বলেন, নানাবিধ মেধা ও প্রজ্ঞার অধিকারী খালিদ জামিল সরাইলকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কর্ম গুণেই তিনি সরাইলের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন আজীবন। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে খালিদ জামিল বলেন, দীর্ঘদিনের কর্মক্ষেত্র সরাইলের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ গুলো খুবই আন্তরিক।
সর্বক্ষেত্রে তারা আমাকে সহায়তা করে কাজে সফল করেছেন। আমি সকলের পরিবার পরিজন সহ সকলের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। সবশেষে খালিদ জামিল খানকে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যােগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি উপজেলা প্রধান সড়ক ঘুরে আবারো উপজেলা পরিষদে সামনে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সরাইল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকতা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টার, উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূইয়া, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাকসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বদর উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারমান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।