চলারপথে রিপোর্ট :
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশটাকে খাদে ফেলে দিয়ে গেছেন, সেখান থেকে দেশটাকে তুলতে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের মতন একজন নামি দামি খ্যাতিমান মানুষকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। গতকাল ৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ উলফত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের স্মরণে ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় প্রাঙ্গনে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৫) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী নাজমুল হোসেন তাপস।
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ, রতনপুর, সাতমোড়া ও শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক মেয়র মাইনুউদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শাহাবুদ্দীন, মফিজুর রহমান মুকুল, সালেহা বেগম, ইকবাল হোসেন মোল্লা, এমদাদুল বারী, মো. আলী আজম, মো. হযরত আলী, গোলাম মাওলা, রকিবুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আপেল মাহমুদ, শামীম, শফিকুল ইসলাম, জাফর ইকবাল প্রমুখ। সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের সাধক কবি মনমোহন দত্তের জন্মস্থান সাতমোড়া আনন্দ আশ্রমে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাধক কবি মনোমোহন এর একটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যায় ম্যুরালটি আজ ২৬ জুন সোমবার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আনন্দ আশ্রমের সভাপতি শংকরী দত্ত।
প্রধান অতিথি ছিলেন উদ্বোধক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতমোড়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন, আবু কামাল খন্দকার, সরোপ রতন দত্ত দয়ালমনি, মাহাবুব আলম লিটন, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, পীযুষ কান্তি আচার্য, আব্বাস উদ্দিন হেলাল প্রমুখ। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মলয়া সংগীত পরিবেশন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আলমকে প্রধান আসামী করে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া এতে অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি মো: হুমায়ুন মেম্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে এই মামলাটি করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নাটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আলম, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বিটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ খাঁন, নাটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার মোল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুলীগ নেতা এইচএম আল আমিন, ব্যাবসায়ী বাছির মিয়া নাটঘর, বিটঘরের আব্দুর রাজ্জাক, বিটঘর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মামুন মিয়া, বিটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব মিয়া, যুবলীগ নেতা বেলায়েত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য কবির আহাম্মদ, বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলমগীর, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু তাহের মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক, যুবলীগ নেতা আব্দুর রউফ, বিটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি উজ্জল মেম্বার, সহ-সম্পাদক নান্টু ঘোষ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিন্টু ভদ্র, বড়াইল ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল, নাটঘর গ্রামের জহর মিয়া, সুহেল মিয়াসহ ৫৪ জন।
এজাহারে মামলার বাদী হুমায়ুন মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, মামলার আসামিরা গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকেসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। আ.লীগের ৫৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ূন মেম্বার মামলাটি করার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পুরো উপজেলার জুড়ে। নাটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাক অ্যাড. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হুমায়ুন মেম্বার নাটঘর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন তিনি। সরকার পতনের পর বিএনপির কিছু নেতার ফাঁদে পা দিয়ে এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে এসএসসি ১৯৯৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় আনন্দ র্যালি ও প্রিয় বন্ধুদের সাথে মিলিত হতে পেরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তারা। এ যেন এক অভূতপূর্ব প্রাণের মিলনমেলা। বেলা ১২ টায় পরিচিতি পর্ব, মধ্যাহ্নভোজ, র্যাফেল ড্র, কুইজ প্রতিযোগীতা, আলোচনাসভা, অকালে চলে যাওয়া কয়েকজন মরহুম বন্ধুর স্মৃতিচারণ করে এক মিনিট নিরবতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধানমন্ডি বিসিএসআইআর স্কুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাফর উল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহাম্মদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. অবিদ মিয়া, সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নূরুল হক শাহীন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন মনির, অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, ওই ব্যাচের শিক্ষার্থী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আক্তার, ফারুক আহমেদ, নিজাম উদ্দিন জুয়েল, ড. শাহজাদ হোসাইন, জাকির হোসেন, ডাক্তার মাধব চন্দ্র দাস , মনির হোসেন, আল মামুন, খাদিজা আক্তার সাথী, মমতাজ মাহবুব প্রমুখ।
ওই ব্যাচের ৬৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ১৯৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর আমরা স্কুলের বন্ধু-বান্ধবীরা একসাথে মিলিত হয়েছি। জীবনে বাস্তবতা ও সময়ের প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি। সবার সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ খুব একটা হয় না। আশা করি আগামীতেও আমরা এই পুনর্মিলনীর ধারা অব্যহত রাখেবো। পেট্রো বাংলার ম্যানেজার মো. ফখর উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন পর সবাই একত্রিত হয়েছি। স্কুল জীবনকে ঘিরে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে বেশ ভালো লাগেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল ও এসএসসি ২০২৩ পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক।
এ সময় বক্তব্য রাখেন লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউসার বেগম, চার গ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসাইন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাত জাহান,অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদুল্লাহ প্রমুখ।
এদিকে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একই দিনে ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির আহমেদ সরকার পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটা সিদ্দিক।
আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, মুরাদ পারভেজ, মনা মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রার্থী এইচ এম আল আমিন তার মোটর সাইকেল মার্কা প্রতীকের পক্ষে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
আজ ২১ মে মঙ্গলবার বিকালে কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ সভায় তিনি বলেন, আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হতে পারলে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের সুখে দুখে পাশে থাকতে চায়। দাঙ্গা প্রবন বাইশমৌজাকে শান্তি ও নিরাপদে রাখতে চেষ্টা করবো।
তিনি নিজকে একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলেন পরবর্তী সময়ে রাজনীতির মাঠে থাকার অঙ্গীকার করেন।
সাবেক মেম্বার আলী আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি মলাই মিয়া, সহ-সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, লায়ন ফিরোজুর রহমান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়াজ মোহাম্মদ কাজল, কালাচান মেম্বার, অলেক ব্যাপারী, কবীর আহমদ, কোহিনুর মেম্বার, আবু কালাম মেম্বার, মোস্তফা কামাল মেম্বার ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।