অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিংব্যাগের উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মিলে টিম গঠন করা হবে। জনগণের সহযোগিতায় সরকার পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধ করবে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার নিষিদ্ধ পলিথিন শপিংব্যাগ বন্ধ করতে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে সমিতির অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ সচিব বলেন, গত ২২ বছর ধরে আইন অমান্য করে পলিথিন ব্যবহার চলছে, যা সঠিক নয়। পলিথিনের কারণে ক্যানসার ও লিভারসহ অন্যান্য অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থ রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সবাইকে প্রতিপালন করতে হবে।
শান্তিনগর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ফকির প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং ২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচন হবে। এ ধরনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে বিশেষ কয়েকটি নৌযান যথা- লঞ্চ, স্পিড বোট, ইঞ্জিনচালিত যে কোনো ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। একইভাবে ৪ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে ৫ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত এসব নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান এবং ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।
সেই সঙ্গে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া প্রধান প্রধান নৌপথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সব নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূর পাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অনলাইন ডেস্ক :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দিনাজপুরে দিনব্যাপী অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর সদর ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একাধিক অটোরাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানীর নির্দেশনা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মিলগেটে চালের দাম কমেছে, যদি খুচরা বাজারেও দাম বাড়ানো হয় তাহলে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।
লাইলাতুল কদর একটি সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কুরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে।’ ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ ‘এ রাতে ফেরেশতারা ও জিবরাইল তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় এ রাত ফজরের সূচনা পর্যন্ত’। (সূরা কদর)।
আভিধানিকভাবে লাইলাতুল কদর অর্থ সম্মানের রাত। তাফসিরের কিতাবগুলোতে উল্লেখ রয়েছে, একদিন নবী করিম (সা.) এ ভেবে অস্থির হচ্ছিলেন যে, আগের নবীর উম্মতেরা দীর্ঘ হায়াত পেত। ফলে তারা অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ পেত। কিন্তু শেষ নবির উম্মতের হায়াত খুবই সীমিত। অতএব তাদের পক্ষে উচ্চমর্যাদা লাভের সুযোগ কম। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এ সূরা নিয়ে উপস্থিত হন হজরত জিবরাইল (আ.)। ফলে শান্ত হন মহানবি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা।
আল্লাহতায়ালা এ রাতেই কুরআন মাজিদ নাজিল করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তেমনি এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি বলেও ঘোষণা করেছেন; কিন্তু রাত কোনটি তা বলে দেননি। হাদিস শরিফেও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোনটি কদরের রাত। নিঃসন্দেহে এতে অনেক রহস্য ও তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। তবে রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছেন। ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাতে পারলে এ রাতের প্রকৃত সুফল পাওয়া যায়।
হয়তো আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূল (সা.) চাননি মুসলমানরা একটি রাতের ভরসায় বসে থেকে সারা বছর বা সারা মাস অবহেলায় কাটিয়ে দিক। এজন্য এটিকে রহস্যময় করে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমেই মূল্যবান কিছু অর্জন করতে হয়। যে রাতের মূল্য হাজার মাসের চেয়ে বেশি, তা যদি সহজে পাওয়া যেত, তা হলে মানুষ হয়তো এটিকে বেশি গুরুত্ব দিত না। তাই তা অনির্দিষ্ট করে রেখে মানুষকে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
বেশিরভাগ বর্ণনা অনুসারে রমজানের শেষ দশকেই তা লুক্কায়িত রয়েছে। আবার কারও কারও মতে, এ রাতের তারিখ পরিবর্তনশীল। কোনো বছর একুশ, কোনো বছর তেইশ, কোনো বছর পঁচিশ, কোনো বছর সাতাইশ, আবার কোনো বছর ঊনত্রিশ তারিখের রাত লাইলাতুল কদর হয়।
কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে অনেক মনীষী রমজানের ২৭ তারিখের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। সাহাবী হজরত উবাই ইবনে কাব (রা) জোর দিয়ে বলতেন, রমজানের সাতাশতম রাতই কদরের রাত। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন ২৭ রমজানের রাতটিই কদরের রাত? জবাবে তিনি বলেন, এ রাতের যেসব আলামত মহানবী (সা.) আমাদের বলেছেন, আমরা সেগুলো সাতাশ তারিখে পেয়েছি।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন, কদরের রাতের যে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, তার মূল উপাদান কুরআন মজিদ। শেষ নবীর (সা.) উম্মতের জন্য জীবনব্যবস্থার চূড়ান্ত নির্দেশনা হিসাবে কুরআন মাজিদ নাজিলের সঙ্গে রাতটি সম্পর্কিত হওয়ায় এ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য সাব্যস্ত হয়েছে। অতএব এ রাতের সুফল পুরো মাত্রায় পাওয়ার জন্য কুরআন মাজিদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করাই আসল উপায়। কুরআন পাঠ ও অধ্যয়ন এবং কুরআনি বিধান ও নির্দেশনা অনুসরণেই নিহিত রয়েছে মানুষের প্রকৃত সাফল্য। লাইলাতুল কদরে সালাত, তেলাওয়াত ও জিকির তাসবিহের সঙ্গে যেমন অতীত জীবনের পাপরাশি মোচনের জন্য মহান প্রভুর কাছে আকুল আবেদন জানাতে হবে, তেমনি তার তাওফিক প্রার্থনা করতে হবে কুরআনকে জীবনের দিশারি হিসাবে মেনে চলার।
মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল ৫ এপ্রিল রবিবার সরকারি ছুটি থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করে মামলাজট কমিয়ে আনতে দেওয়ানী কার্যবিধি সংশোধনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করে মামলাজট কমিয়ে আনতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি যুগোপযোগী করে সংশোধনের কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় গৃহীত প্রকল্প ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন এন্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যারকটিসেস ফর এনহেন্সমেন্ট অব এক্সেস টু জাস্টিস’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের ন্যায়বিচারে সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, সকল নাগরিকের ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সারাদেশে লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা, সরকারি খরচে আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু, বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রবর্তনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসাররা কেবল বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৮০ কোটি ৪৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ টাকা আদায় করে দিয়েছে, যার সুবিধা পেয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন মানুষ।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) উম্মে কুলসুম, প্রকল্পের চিফ এডভাইজার (এক্সপার্ট) ফুজিওকা টাকুরো।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর আইন ও বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাইকার প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি (রেকর্ড অব ডিসকাশনস) স্বাক্ষরিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা সেগুলো করেছি।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসক সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো অফিসার বদলি করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি, এগুলো নির্বাচন কমিশনারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। যদি নির্বাচন কমিশন চায় তখন সেটা পরিবর্তন করা যায়, তাছাড়া করা যাবে না।
তিনি বলেন, জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়েছিলেন এবং নির্বাচনে যে নীতিমালা দিয়েছিলেন, সেখানে একটা বিষয় ছিল যে, ব্যালট পেপারের পেছনে প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকবে, জিয়াউর রহমান নির্বাচনের আগে অর্ডিন্যান্স করে তা সবকিছু বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ বাক্স ভরে ভরে রেখে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই বিভিন্ন সংস্কার করেছে। যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। জনগণ তার ভোট দিতে পারে, যাতে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। আমরা জোট করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে এসে, একে একে তা বাস্তবায়ন করেছি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাজেট থেকে শুরু করে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যেত। সেই জায়গা থেকে স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আমরা আইন করি। যেগুলো আগে করা ছিল না। আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আমরা যখন জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছি ঠিক সে সময় দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আপনারা আগের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সাধারণ মানুষ কত কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে, সেটা ভাড়া দিয়ে খায়। তাদের সেই রুটি রুজিতে হাত দিয়েছে তারা। সিএনজি, গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, রেল কোনোকিছু বাদ যায়নি। ট্রেন তো খালেদা বন্ধ করতে চেয়েছিল, আমরা তো আলাদা মন্ত্রণালয় করে সারা বাংলাদেশে রেল লাইন করে দিয়েছি, মানুষ যত অল্প পয়সায় চলতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। তারপর কত মানুষের জীবন নিয়েছে। প্রায় তিন হাজারের মতো মানুষকে তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা কি পেয়েছে জানি না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার মতো আত্মবিশ্বাস তাদের নেই। কারণ ২০০৮ নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে। আর আমরা দেশ পরিচালনা করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা ভোটে অনেক এগিয়ে। এটা জেনেই তারা নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।
দেশের মানুষ এখন সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন সুন্দর জীবন যাপন করছে। অনেকে এখন দেশে দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করছে। যারা ভূমিহীন তাদেরকে আমরা বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।