প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের সাথে সংলাপে যেসব দাবি জানাল বিএনপি

জাতীয়, রাজনীতি, 5 October 2024, 505 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

banner

আজ ৫ অক্টোবর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।

এতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।

সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।

তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সেকথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা বলেছি যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার ছিল, তাদের ভুয়া ও ব্যর্থ নির্বাচন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করার অভিযোগে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান ওনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।

বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন, আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রশাসনের ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন তালিকা এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকারের মধ্যে দুই-একজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আামরা বলেছি যে, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনো। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওিয়ার জন্য বলেছি। দলকানা কিছু বিচারক আছেন, তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে… দুর্নীতি অথবা হত্যার সুনির্দিষ্ট মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুনতে পাই, কিছু জায়গায় সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তাকে কেন্দ্র করে, তার মাধ্যমে যে সমস্ত ক্যাম্পেইন চলছে, যে সমস্ত অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং তাকে ওই অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে। যারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জড়িত আছেন তারা জাতিসংঘের টিমকে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, সনাতনী কিছু মানুষ সবাই না, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু কমিউনিটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে ইত্যাদি কথা বলছে, যা সর্বৈব মিথ্যা। এটা তাদের সুদূর পরিকল্পনা। এই কথাগুলো গুরুত্বের সাথে বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

Leave a Reply

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯জন নিহত

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত Read more

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

একসঙ্গে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে

জাতীয়, 22 February 2024, 694 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু যৌতুকবিহীনই নয়, বরং নবদম্পতিদের দেওয়া হয়েছে নতুন পরিবার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। যৌতুকের কুপ্রভাব এবং ধর্মীয়ভাবে যৌতুক দেওয়া-নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রতিটি ঘরে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা

banner

আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সকাল থেকেই আনন্দঘন মুহূর্তে মানুষ ওই মাঠে আসে যৌতুকবিহীন বিয়ে দেখার জন্য।

পরে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীকে বর ও কনে সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাঁদের বিয়ে পড়ান মাওলানা আবেদ আলী। আগামীর দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় তাঁদের জন্য দোয়া কামনা করা হয়। পরে নবদম্পতিদের হাতে সেলাই মেশিন, ছাগল, লেপ-তোশক, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, হাঁড়ি পাতিলসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তুলে দেওয়া হয়।

আয়োজকরা জানান, এসব কনের বাবা-মা অত্যন্ত গরিব। তাঁদের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। তাই বিয়ের এমন আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য কনেকে যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দেওয়া, একই সাথে যৌতুকের ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে যৌতুকবিহীন বিয়েতে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

এদিকে বিয়ের এই সুন্দর আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. জাকারিয়া জাকা। এ সময় তিনি ২০ জন কনেকে উপহারসামগ্রী প্রদান করেন।

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ও ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের তত্ত্বাবধানে বিয়েতে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ঢল নামে। আর এই ২০ জোড়া নারী-পুরুষের বিয়ের সব তদারক করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ দিনাজপুর প্রতিনিধি মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. আবু হুসাইন বিপু, মাওলানা নোমান সিদ্দিক, মাওলানা শাহজালাল নাঈম, মাওলানা সালমান, মো. মাসুদসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজক মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী জানান, আয়োজক ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যাঁরা খরচের ভয়ে বৈবাহিক জীবন গঠন করতে পারেন না তাঁদের জন্যই যৌতুকবিহীন বিয়ের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তা ছাড়া এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে যৌতুকের যে কুপ্রভাব সেটি তুলে ধরা এবং যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া যে ধর্মীয়ভাবে নিষেধ সেটিও জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ায় এই লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাকারিয়া জাকা বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যধি। আর এই ব্যধি দূর করার জন্য সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সকলে যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত হবে সমাজ। যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া ধর্মীয়ভাবেও নিষিদ্ধ। এ ধরনের বিয়ে সেই বার্তা পৌঁছে দেবে প্রতিটি ঘরে। তিনি নতুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের সামাজিক জীবনে সর্বত্র সাফল্য কামনা করে যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ করার লক্ষ্যে নাসিরনগরে যুবলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা

জাতীয়, 10 June 2023, 1091 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ১০ জুন শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ নাজিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলী আজম, নাসিরনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নির্মল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্রব্যমূল্য শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে : সেতুমন্ত্রী

রাজনীতি, 27 January 2024, 432 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্দ্যগে শিগগিরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

banner

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ সংকটে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হৃদয়ে আঘাত লাগে। সামনে পবিত্র রমজান মাস, অচিরেই আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। আস্থা হারাবেন না। বিএনপি’র কথায় কান দেবেন না।’

ওবায়দুল কাদের আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে একথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চলনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১.৮ শতাংশ ভোটারের ভোটে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮টি দল অংশ নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারকে যারা বিদেশিদের ভয় দেখায়, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। চীন-ভারত-রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু আমাদের সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। দেশের মানুষের বিপুল ভোটে এ সরকার নির্বাচিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মহান আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না।

বিএনপির আন্দোলন কবে হবে- প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ বছর গেল, সামনে আরও ৫ বছর। লন্ডনের তারেক রহমানে আর কারো আস্থা নেই। নেতাকর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশে কান দেয় না। আগামী ৩০ জানুয়ারি বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির দিনও সারা দেশে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কালো পতাকা মানে শোকের মিছিল। এ আরেক ভুয়া কর্মসূচি। ৩০ তারিখে আবার ডেকেছে, সেটাও ভুয়া। আপনারা সবাই ৩০ জানুয়ারি সকাল থেকে মাঠে থাকবেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৩০ তারিখ পতাকা হাতে ‘শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ সমাবেশে অংশ নেবেন। তারা সতর্ক পাহারায় থাকবেন।

বিএনপিকে ‘অপ-সাম্প্রদায়িক শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করে- ওবায়দুল কাদের বলেন, এদের আমরা আর বাড়তে দিতে পারি না, এদের রুখতে হবে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা রাজনীতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও খেলা হবে। খেলা হবে হরতাল ও আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। সে দিন আপনারা লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন।

সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কালো পতাকা কাকে দেখাবে? বিএনপির উচিত ছিল, নেতারা যারা ব্যর্থ কর্মসূচি দিয়েছে, তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা। এখন বিএনপিকে আগামী পাঁচ বছর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এমন কোনো হীন কাজ নেই, যা তারা (বিএনপি) করেনি। বিদেশি ষড়যন্ত্রসহ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আজকে আমাদের আনন্দের দিন, পঞ্চমবারের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার সরকার এসেছে। এতে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ করার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করে, মানুষ পুড়িয়ে মেরে যে অপরাধ করেছে- সে অপরাধের বোধ তাদের হবে। তারা হয় তাদের ভুল স্বীকার করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবে, না হয় জনগণের কাছে ভুল স্বীকার করে আবার রাজনীতিতে আসবে।

জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। বিএনপি কালো পতাকা কাকে দেখাতে চায়? জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের আন্দোলনে বিদেশিরা সাড়া দেয়নি। দেশের জনগণ তাদের কালো পতাকা দেখিয়েছে।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন কোনো দল বয়কট করলে কিছু যায় আসে না। নির্বাচনে এই দেশের জনগণের অংশগ্রহণ বলে দেয় তাদের ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গেছে। যতক্ষণ জনগণ থাকে ততক্ষণ বানচাল করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, এই অপশক্তির বিলীন দেখতে চায়। সূত্র : বাসস

মেঘনায় গভীর রাতের যৌথ অভিযানে ৩১ জেলে আটক

জাতীয়, 16 March 2023, 1201 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাঙ্গাস মাছের পোনা নিধনের অপরাধে গভীর রাতের যৌথ অভিযানে ৩১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৫ টি নৌকা জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বাড়ি মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ হাজিরহাট এলাকায়।

banner

আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মরিয়ম বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জনকে জরিমানা ও ৩ শিশুর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।

তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসার আমির হোসেন জানান, মেঘনায় মার্চ -এপ্রিল দুই মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ র নেতৃত্বে মৎস্য অধিদপ্তর, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে তজুমদ্দিন ও মনপুরা মেঘনা মোহনা থেকে ৩১জন জেলেকে আটক করা হয়। এসময় পাঙ্গাস মাছের পোনা নিধনের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি নৌকা ও চারটি ছাঁই (ফাঁদ) জব্দ করা হয়।

আমির হোসেন আরো জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এপর্যন্ত সর্বমোট ১৫টি নৌকা জব্দ করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা

জাতীয়, 29 October 2024, 312 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি হয়ে গেছে। নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এবার অসাধারণ একটা নির্বাচন হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

banner

আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ভলকার তুর্ক। তিনি বিচার বিভাগ স্বাধীন করার কথা বলেছেন। আমি বলেছি আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কথা বলেছেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা যায় কিনা সেটি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি ফ্যাসিস্টদের বিচারের আগে এটি পরিবর্তনের প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী অন্য দেশে বসে সন্ত্রাসী হুমকি দিচ্ছে। গণহত্যা চালানোর পর অনুশোচনাও নেই। বিচারের আগে এ দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত কিনা এটা মানুষ বিবেচনা করবে। এ সময় ভলকার তুর্ক বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। এই দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে, সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা হয় সেটি বলেছি। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বেরসঙ্গে বিবেচনা করছি। আমাদের হেড অফিস পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।