চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছের হেলথ কার্ড’ কথাটি শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-এটি আবার কী?
কিন্তু বাস্তবেই শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো গাছের হেলথ কার্ডের প্রবর্তন করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।ব্যতিক্রমী এ হেলথ কার্ডে গাছের নাম, রোপণকারী শিক্ষার্থী নাম, রোপণের তারিখ ও পরিদর্শকের স্বাক্ষর দেওয়ার জায়গা রয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া দুই শতাধিক গাছের ছাড়া তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার।
নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ, বনজ ও ঔষধিজাতীয় প্রায় ৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রোপণকৃত এ গাছ পরিদর্শন করবেন এবং গাছের হেলথ কার্ডে স্বাক্ষর করবেন। সমষ্টিক মূল্যায়ন হিসেবে শিক্ষার্থীরা পাবে পাঁচ নম্বর। মূলত গাছে পরিচর্যা নিশ্চিত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে গাছ পেয়ে আমরা অনেক খুশি। সঙ্গে একটি গাছের হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। যেটি আমরা সংরক্ষণ করে রাখব। ফলে গাছটির প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকবে।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার বলেন, অনেক সময় আমরা শিক্ষার্থীদের গাছ দিলে বাড়ি নিয়ে লাগানোর পর আর পরিচর্যা নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের মনে থাকবে যে এটি দেখতে আমার শিক্ষক আসবে, ফলে গাছটির সঠিক পরিচর্যা করবে।
সাংবাদিক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটি আসলেই একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ। এর আগেও তিনি অমর একুশে বইমেলা ও পবিত্র কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদের যে আন্দোলন তার একটি পদক্ষেপ এটি। আমাদের এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার জন্য বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নিয়ে গিয়ে আর যত্ন নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে আমার ওই শিক্ষার্থী গাছটি যত্ন নেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের বেরিবাঁধ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম (৩৫), একই উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম (৬০) ও একই এলাকার জারু মিয়ার স্ত্রী লাকী বেগম (২৮)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ বেরিবাঁধ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার এস.আই আরিফুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ বাংলাদেশের উদ্যোগে ও লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ। এ সময় লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে কামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৪ জন দক্ষ চক্ষু চিকিৎসক বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে প্রায় দুইশতাধিক নারী-পুরুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৪ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেঙ্গাউতা গ্রামে বাস করেন এক হাজার পরিবারের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামে শিশু রয়েছে অন্তত ৫০০। স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের জন্য কোনো বিদ্যালয় নির্মিত হয়নি গ্রামটিতে। সবচেয়ে কাছের যে বিদ্যালয়, সেই কালিউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থানও প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। রাস্তাঘাট বেহাল হওয়ায় বছরের প্রায় ছয় মাস নৌকা ছাড়া যাতায়াত করতে পারেন না বাসিন্দারা। এ সময় চলাচলে ঝুঁকি থাকায় শিশুরাও দূরের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
এ গ্রামের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন খান পড়েন রাজধানী ঢাকার তিতুমীর কলেজে। সেখানকার অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র বোরহান আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, ‘আমাদের গ্রামে স্কুল নেই, রাস্তাঘাট নেই। মানুষের চেহারা নিয়ে কেবল বেঁচে আছি। শিক্ষার অভাবে প্রকৃত মনুষ্যত্ব জাগছে না।’ বোরহান আরও বলেন, এখানে শিক্ষিত কোনো মানুষ থাকেন না। যাঁদের অবস্থান একটু ভালো, তাঁরা চলে যান শহরে। ফলে বাসিন্দাদের সবাই নিরক্ষর।
মো. আমির বলেন, রাস্তাঘাট না থাকায় পাশের গ্রামেও যেতে হয় ফসলি জমি মাড়িয়ে। বর্ষায় তা-ও ডুবে যায়। যে কারণে ছয় মাস কোথাও যেতে পারেন না। নৌকার পথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিশুরা পাশের গ্রামের বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।
কালিউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুবনা আক্তার বলেন, বেঙ্গাউতায় আনুমানিক পাঁচ শতাধিক শিশু রয়েছে। নদী পার হয়ে বছরের তিন-চার মাস কিছু শিশু বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। সম্প্রতি তাদের আসা কমে গেছে। তিনি শুনেছেন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে অনেকে।
এর ইঙ্গিত মেলে বিদ্যালয়টির দুই ছাত্রীর কথায়। চতুর্থ শ্রেণির আফরোজা আক্তার বলল, ‘আমরার গ্রামে একটা ইস্কুল হইলে ভালা হইতো। এতো দূরের ইস্কুলে যাইতে মন চায় না। আব্বায় কইছে মাদ্রাসায় ভর্তি কইরা দিবো।’
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বিলকিস আক্তারের আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। তাঁদের মতো সে ভবিষ্যতে শিক্ষাদান করতে চায় অন্যদের। তবে এ পথে যে বাধা অনেক। বিলকিস বলে, ‘এতো দূর থেকে ইস্কুলে আইতে পারি না। বৃষ্টি আইলে বইখাতা ভিইজ্জা যায়। বন্যার সময় নৌকা দিয়া আইতে ডর (ভয়) লাগে।’ তাই স্থানীয় খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবিও জানায় সে।
সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে এ গ্রামের মানুষ বঞ্চিত বলে স্বীকার করেন চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মনসুর। তিনি বলেন, এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও রাস্তাঘাট তৈরি জরুরি।
জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার ১৩২টি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১২৪টি। তবে ১৭টি গ্রাম বিদ্যালয়হীন। এর একটি এই বেঙ্গাউতা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া বলেন, বিদ্যালয় স্থাপনে ৩৩ শতক জায়গার প্রয়োজন। জায়গার খোঁজ পেলে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবেন।
ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছেন। ওই গ্রামে বিদ্যালয় নির্মাণে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ভাসমান বেডে আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি ও মসলা ফসলের উৎপাদন কলা-কৌশলের উপর মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণ আজ ১০ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া মাদ্রাসা মাঠে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প (বারি অংগ) সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কুমিল্লার আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বারীর (জয়দেবপুর গাজীপুর) পরিচালক ড. দেলোয়ার আহমেদ চৌধুরী। ভাসমান সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর.এ.আর.এম ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মৌলভী বাজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হায়দার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কৃষিবিদ মোঃ আল মামুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমান, বৈজ্ঞানিক সহকারী হুসাইন কবির, কৃষক মোঃ আলী আসাদ, আরিচা বেগম ও শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষক-কৃষানিসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ রুমে “ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষের ওপর ”কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের সাথে সরাইল-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সংযোগ রক্ষাকারী দু‘টি পুরাতন আরসিসি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজগুলো হলো-নাসিরনগর-সরাইল সড়কের দাতঁমন্ডল নামক স্থানে ব্রিজ ও নাসিরনগর-লাখাই সড়কে আশুরাইল (বেনীপাড়া) মহাখাল নামক ব্রিজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, আশুরাইল (বেনীপাড়া) মহাখাল নামক ব্রিজ মধ্যবর্তী স্থানে সংযোগ থেকে সরে গেছে। ফলে স্থানচ্যুত হয়ে যাওয়ায় মূল ব্রিজটি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে আশুরাইল (বেনীপাড়া) মহাখাল ব্রিজটি অনেক বছরের পুরনো। ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে হঠাৎ করেই সংযোগ থেকে সরে গেছে। পাশের রেলিংও ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিঁপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও হঠাৎ করে ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে সংযোগ সরে যাওয়ায় মনে আতঙ্ক নিয়েই চলাচল করছে হাজারো মানুষসহ ভারী যানবাহন। অন্যদিকে নাসিরনগর-সরাইল সড়কের দাতঁমন্ডল নামক স্থানে ব্রিজটি গতবছর বর্যার স্রোতে একদিকে হেলে পড়েছে। দীর্ঘ এক বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও আজো মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। তাই ব্রিজ দুইটি অপসারণ করে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ না করলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, তিনি ডিসি অফিসে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঝুঁকিপর্ণ দুইটি ব্রিজের বিষয়ে অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পুন:নির্মাণের বিষয়ে এখনো সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন পাননি। তবে অনুমোদন পেলে টেন্ডারে যাবে।