চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিজয়নগরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, ভারতীয় ট্যাবলেট, ভারতীয় ক্রিম, ভারতীয় উন্নতমানের জর্জেট শাড়ি এবং ভারতীয় সিগারেট।
৫ অক্টোবর শনিবার বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবির অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাইপাস নামক এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে সিলেট হতে ঢাকাগামী এস এ পরিবহনের একটি কাভার্ড ভ্যান হতে এসব ভারতীয় মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে জব্দকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামালসমূহ বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে যা আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এসময় ঘরের সাথে কয়েকটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১২ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে বিল্লাল হোসেনের ঘরে আগুন লেগে যায়। এসময় ঘরের মালামালের সাথে ঘরে থাকা ২ টা গরু ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং ৭টা গরু অগ্নিদগ্ধ হয়। এসময় পাশে থাকা শামিমের ঘরে আগুন লেগে যায়। এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিল্লাল মিয়ার ছেলে বশির মিয়া জানান, ঘরের উপর দিয়ে কারেন্ট এর তার ছিল। এই তার ছিঁড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজয়নগর ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত সময়ে ঘটনারস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের উৎপত্তি কিভাবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খবর নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রনয়ন করে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর শাখার উদ্যোগে এক কর্মী সমাবেশ গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রায় মোহন চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য সঞ্জয় রায় পোদ্দার, মো. বিল্লাল মিয়া, দুলাল মিয়া, সন্তোষ মোহণ ঋষি, আব্দুল আজিজ, হামদু মিয়া, অপূর্ব দেব, জামির আলী, সুহেল মিয়া, মো. মামুন, জন্টু রাজ পাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একদিকে কর্ম সংস্থানের অভাব, প্রতিদিন কর্মহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ, অন্যদিকে হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যে র দাম। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ^াস উঠেছে। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব দেখার দায়িত্বে ভোক্তা অধিদপ্তর, বিভিন্ন সংস্থা ও সরকার নির্বিকার। এভাবে চলতে থাকলে মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়বে। তাই আমরা অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য পণ্যের দাম কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। দুর্নীতিবাজদের আইনের আওয়ায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রাম শহরে গরীব মানুষের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করো। সভায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা কমানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানান। সভায় আসন্ন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর এখনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১ মাস ধরে মেয়ের সন্ধানে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন গৃহবধূর বাবা- মা ও তার স্বজনরা। এতো খোঁজাখুঁজির পরও নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর মা সুমি বেগম।
জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়না বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া মেয়ে। প্রায় ৭ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মোঃ রমজান মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রাসেল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ময়নার। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (০৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কোন সন্ধান মেলেনি ওই গৃহবধূর।
ময়না নিখোঁজ হওয়ার পর সম্প্রতি একটি ভয়েস বার্তা প্রকাশ পাই। ভয়েস বার্তা প্রকাশের পর ঘটনাটি মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।
ময়নার স্বামীর কাছে পাঠানো ভয়েস বার্তায় গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা।
স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পেয়ে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার কাছে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ময়নাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে জানান বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়নার চাচা মোশাররফ হোসেন। তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজি একজন সরল সহজ মেয়ে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি কি নিখোঁজ না কি গুম তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এদিকে শনিবার সকালে ময়নার শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, গৃহবধু নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গৃহবধু উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে বর্তমান এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে।
২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে এই মনোনয়ন ঘোষণা করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। কিন্তু তিনি দলের মনোনয়ন পায়নি। মনোনয়ন ঘোষণার পর পরই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মনোনয়ন না পেলেও প্রার্থী হতে বাধা নেই। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের শোক সভায় এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার সেই কথা এখন না রাখলে গুনাহ হবে। আমি এমপি নির্বাচন করবো।
তিনি বলেন, আমার সাথে কেউ আসলে স্বাগত জানাবো। কারো সমস্যা হোক কিছু করবো না। আমি তো আমার ভোট দিতে পারবো। নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের বাজে প্রোপাগাণ্ডার ছড়াচ্ছে।
তবে তিনি দলে যোগ দিবেন কিনা বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, আমি আল মামুন সরকারের শোকসভাতেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা জানিনা, তবু আমার নিজের ভোটটা দিতে হলেও এমপি নির্বাচন করবো। তবে কোন দল নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন তা এক দুই দিনের মধ্যেই জানাবেন বলে জানান ফিরোজুরর রহমান ওলিও।
লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোক্তা পরিচালক এবং সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানীর পরিচালক পদে আছেন।
ওলিও সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে মদককে মেডিসিন এবং এর ব্যবসাকে হালাল মন্তব্য করলে দেশব্যাপী সমালোচনা ঝড় উঠে ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সার্ভার ক্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারার অভিযোগ করেছেন বিজয়নগর উপজেলার সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাঃ প্রীতি খন্দকার ওরফে হালিমা আক্তার।
গতকাল ৯ মে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে তিনি রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।
প্রীতি খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানে যান। মনোনয়ন ফরমের বিভিন্ন অংশ পূরণের পর প্রস্তাবকারি ও সমর্থনকারির ছবি অনলাইনে দেখা যাচ্ছিলো না। নির্ধারিত সময় বিকেল চারটা নাগাদও ছবি দেখা না যাওয়ায় মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে পারেননি।
প্রীতি খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ধারনা করা হচ্ছে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে উনি যে সময়ে সার্ভার ক্রুটির কথা বলেছেন তখন আরো একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেন। যে কারণে সার্ভার ক্রুটির বিষয়টি সত্য নয় বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পর তিনি আমাদেরকে জানাননি। যেখানে ফরম ফিলাপ করেছেন সেখানে সময় নষ্ট করেছেন। সময়ের শেষ দিকে ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে তিনি আরো বিপাকে পড়েন।