চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ভাড়ায় চালিত নৌকাসহ নিখোঁজের দুই দিন পর হিল্লাল মিয়ার (৩৭) নামে এক মাঝির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মেঘনার তীরবর্তী চরলাপাং গ্রামে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। নিহত হিল্লাল মিয়া উপজেলার নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের ডোপাকান্দা গ্রামের মৃত নয়াব আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিতাস, বুড়ি ও মেঘনা নদীতে ছিল নৌকাচালক হিল্লাল মিয়ার বিচরণ।
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে দুর্গারামপুর যাওয়ার পথে নৌকা থেকে নিখোঁজ হন হিল্লাল মিয়া। পরবর্তী সময়ে দুর্গারামপুর নৌকা ঘাটে হিল্লাল মাঝির নৌকাটি পাওয়া গেলেও মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা নবীনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তখন নবীনগর থানা পুলিশসহ এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজের কোনো সন্ধান পাননি।
তবে আজ ৮ অক্টোবর নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীতে হিল্লাল মাঝির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হোমায়ন কবির বলেন, হিল্লাল মাঝির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছিলাম, তবে মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বজনরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো কনিকাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে সায়মা (১২) ও কসবা উপজেলার কুঠি গ্রামে ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ইলমা (৬)। সায়মা সম্পর্কে ইলমার খালা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহত সায়মার মা জুহেরা বেগম জানান, দুপুরে ইলমা ও সায়মা বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় ইলমা পানিতে পড়ে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে সায়মাও পানিতে লাফ দেয়। তবে সাঁতার না জানার কারণে তারা তীরে আসতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরাও চেষ্টা করে তাদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে তারা দু’জনই পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদেরখলা খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙে গেছে। চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় অবস্থিত সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
কাঠের সেতু ব্যবহার করে জেলা ও উপজেলা সদরে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন বিল এলাকায় অবস্থিত কেদেরখলা, শুভারামপুর, তিলকিয়া ও দুর্গারামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়া বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বীরগাঁও সোবহানিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাশমৌজা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও মালিক ভরসার মাজারের ভক্তদের সেতুটি পারাপার হতে হয়।
এলাকাবাসী জানান, পাঁচ বছর আগে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের ওই চার গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের যৌথ উদ্যোগে কেদেরখলা খালের ওপর একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি চার গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দার যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে সেটি ভেঙে পড়লে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেদেরখলা খালের ওপর ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আলাপকালে দুর্গারাম গ্রামের স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, সরদার মোছেন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা সেতু পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত কাঠের সেতুটি সংস্কার ও খালের ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে কাঠের পুলের নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় এটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। মেরামত করা হলেও ভেঙে যায়। জনদুর্ভোগ কমাতে সেখানে উঁচু একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-কসবা উপজেলার দরুইল গ্রামের মো. আনোয়ার (৩৮) ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের আলফু মিয়া (৪৮)।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে পুলিশের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর টিয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে, একই রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বি-বার্ষিক কার্যকরী কমিটি নির্বাচনের ৫টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে।
৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটনের স্বাক্ষরযুক্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ১১টি পদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক পদে মোঃ মনিরুল ইসলাম বাবু, দপ্তর ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মোঃ সেলিম রেজা, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও পাঠাগার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে এস. এ. রুবেল। বিজয়ী প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, বাকী ৬টি পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩০ জন ভোটারের সরাসরি ভোটে প্রার্থীত পদে নির্বাচিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে নবীনগর উপজেলার চরলাপাং বাজার প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সদস্য কে.এম মামুন অর রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে.এম মামুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের দস্যুরা চরলাপাং এলাকায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছে। এতে চরলাপাংসহ আশপাশের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হচ্ছে। তিনি ঘোষণা দেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বালু দস্যুদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই সম্মেলনে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির মাধ্যমে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে আগামী নির্বাচনে দিনের ভোট দিনে দেওয়া যায়, রাতে যেন কেউ ভোট দিতে না পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করেছে, তা নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে পুঁজি করে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-নাঈম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের সদস্য মো. কামাল হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. জিল্লুর রহমান, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল, পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লিটন মেম্বার।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব মামুন সরকার। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।