চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ট্রাকভর্তি চিনিসহ দুজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। ৭ অক্টোবর সোমবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সিলেটের জৈয়ন্তাপুর উপজেলার চিকরাগুলের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. সোলাইমান আহম্মদ (২১) ও একই জেলার শাহ পরান থানার খাদিমপাড়া এলাকার মৃত আকলিছ মিয়ার ছেলে সাকিবুল ইসলাম (২২)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। এ সময় একটি ট্রাকে তল্লাশি করে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে আনা ১৭০ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় চিনি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটি। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে এক জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা। জরিমানাপ্রাপ্ত আখতার হোসেন উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েকটি চক্র ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে পুকুরের মতো কেটে বালু উত্তোলন করছেন। সে সব বালু পাইপসহ ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে পুকুর ও জলাশয় ভরাট করছেন। তারা ফসলি জমিগুলো নষ্ট করে ফেলছে। দুপুরে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযানে কালে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় এক জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক এক জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উপস্হিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুকুরের পানিতে ডুবে ইসমাইল (৬) ও সাদিয়া (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৮ অক্টোবর রবিবার দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত ইসমাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের মো. মুনির মিয়ার ছেলে ও একই এলাকার শাহাবাজ আলীর মেয়ে সাদিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে সরাইল উপজেলার গলানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পাড়ে খেলা করছিল দুই শিশু। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা দুই শিশুকে পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে সরাইল উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর টানা ২৩ ঘণ্টা পর রবিবার রাত ১১টার দিকে পুরো উপজেলায় একযোগে বিদ্যুৎ আসে। এরপরও চলতে থাকে লোডশেডিং। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
বিদ্যুৎ না থাকার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালি’কে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে বিউবোর কর্মকর্তারা সঞ্চালন লাইনে ‘সমস্যা’ হওয়ার কথা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়া বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মাহবুব খান বলেন, ‘এখানে বৃষ্টির দু-চারটি ফোঁটা পড়লেই টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এখন চলছে রোজার মাস। এ সময়ে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’
সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। এর নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরসহ সাতটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতাধীন। এখানে গ্রাহকসংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০০। বিউবোর এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অধিকাংশই শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টানা ২৩ ঘণ্টার বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারণে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা সদরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শাহবাজপুর ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নে বিকেল চারটার দিকে বিদ্যুৎ আসে। এ দুটি ইউনিয়নে আবার বিদ্যুৎ চলে যায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। এরপর সরাইল সদর, পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকের বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। রবিবার বিকেল চারটার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। এখানে আকাশে মেঘ দেখা দিলেই এমনটি হয়ে থাকে, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
ছোট দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী রওশন আলী বলেন, ‘সরাইল বিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কাউকে সহায়তা করে না। এ কারণে এখানে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে আরও বেশি।’
স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতের প্রচণ্ড বজ্রপাতের প্রভাবে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়। এ সমস্যা চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনেক দেরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন লঙ্ঘনের দায়ে অবৈধ ইটভাটার এক মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ইট ভাটার আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।
১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ‘ভিআইবি ব্রিকস’ নামে অবৈধ ইটভাটায় এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান, সরাইল ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযুক্ত ইটভাটার মালিক হলেন উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মো. আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, অভিযানে দেখা গেছে ভিআইবি ব্রিকসের কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। এ কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-এর ৪ ধারার লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ ধারায় এই মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।